আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মে ২, ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মে ২, ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম
আলোচিত ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি ও অর্থপাচার মামলায় কংগ্রেসের সাবেক সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তার ছেলে এবং ভারতের বর্তমান প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীকে তলব করেছেন নয়াদিল্লির একটি আদালত। শুক্রবার নয়াদিল্লির বিশেষ জজ আদালত নোটিশ জারির মাধমে এ আদেশ দিয়েছেন।
আজ বিশেষ জজ আদালতে এই মামলার শুনানি হয়েছে। আগামী ৮ মে হবে পরবর্তী শুনানি। আদালতের আদেশ অনুযায়ী আগামী ৮ মে আদালতের এজলাসে হাজির হতে হবে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে।
আদেশে বিচারক বিশাল গোগনে বলেছেন, “ন্যায়বিচারের স্বার্থেই আগামী শুনানির দিন তাদের উপস্থিত থাকা জরুরি।”
১৯৩৮ সালে ভারতের কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামীকে সঙ্গে নিয়ে ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ প্রতিষ্ঠা করেন কংগ্রেসের সাবেক প্রেসিডেন্ট পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু। প্রতিষ্ঠার অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই এই ইংরেজি দৈনিক কংগ্রেসের মুখপাত্র হয়ে ওঠে। স্বাধীনতার পরও বেশ দাপটের সঙ্গে চলছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড। ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি ও উর্দু ভাষার সংস্করণও বের হতো এ পত্রিকার।
প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পর, ২০০৮ সালে প্রায় ৯০ কোটি রুপি ঋণের বোঝা নিয়ে বন্ধ হয়ে যায় ন্যাশনাল হেরাল্ড।
ন্যাশনাল হেরাল্ড ও তার দুই অঙ্গসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল) এবং ইয়াং ইন্ডিয়া লিমিটেডের (ওয়াইআইএল) পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন কংগ্রেসন নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী।
২০১২ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা ও আইনজীবী সুব্রামানিয়ান স্বামী ন্যাশনাল হেরাল্ড, এজেএল ও ইয়াং ইন্ডিয়ার তহবিল তছরুপ ও মুদ্রাপাচারের অভিযোগ আনেন সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীসহ পর্ষদের আরও ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত আসামিরা ন্যাশনাল হেরাল্ড তহবিলের প্রায় ২ হাজার কোটি রুপির তহবিল তছরুপ ও অর্থপাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআিই আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে জানায়, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সিবিআইয়ের প্রতিবেদনের পর আদালত সেই মামলা খারিজও করে দেন।
তার পরের বছর, ২০২১ সালে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করতে আদালতে আবেদন করে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রণালয়ের এক্তিয়ারভুক্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানে বলা হয়, এই মামলা ইডি নিজে তদন্ত করতে চায়।
এ আবেদনে সাড়া দিয়ে মামলা পুনরুজ্জীবিত করেন আদালত। তদন্তের পাশপাশি মামলা পরিচালানার দায়িত্বও দেওয়া হয় ইডিকে।
মামলার তদন্তকাজের অংশ হিসেবে ২০২২ সালে একাধিকবার সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। -সূত্র: এনডিটিভি অনলাইন
আরএস