জুন ১৯, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
সপ্তম দিনে গড়িয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত। একে অপরকে লক্ষ্য করে শত শত মিসাইল ছোড়ার পাশাপাশি নিয়মিত ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দেশ দুটি। ইরানের শক্তি খবর্ব করতে একের পর এক পারমানবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বসে নেই ইরানও; নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে এরই মধ্যে দূর্বল করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের সর্বাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। দিনের শুরুতেই আরও একটি বড় হামলা চালিয়েছে দেশটি।
ইরানের এবারের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সরাসরি আঘাত হেনেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কমান্ড অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স (আইডিএফ সি৪১) সদর দপ্তর এবং গ্যাভ-ইয়াম টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত সামরিক গোয়েন্দা শিবিরে। এ সময় সেখানে অবস্থিত এক হাজার শয্যার একটি হাসপাতালও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের শকওয়েভের কারণে। এছাড়া তেল আবিবে অবস্থিত ইসরায়েলের স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চরমভাবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ’র বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন সকালে বড় পরিসরে হামলা চালিয়েছে ইরান। কমপক্ষে ২৫টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ তাদের টেলিগ্রামে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ‘প্রধান লক্ষ্যবস্তু’ ছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কমান্ড অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স (আইডিএফ সি৪১) সদর দপ্তর এবং গ্যাভ-ইয়াম টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত সামরিক গোয়েন্দা শিবির’।
স্থাপনাটি বে’র শেভায় সোরোকা হাসপাতালের পাশে অবস্থিত। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে সৃষ্ট ‘শকওয়েভের কারণে’ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাসপাতালটিও। এ ঘটনায় বহু হতাহতের আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া, তেল আবিব স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে ডজনখানেক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে একইদিন। আল জাজিরা ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইসরায়েলে কমপক্ষে ৩২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ইরানের সবশেষ হামলায়।
এদিকে ইরানের সবশেষ এ হামলায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ইসরায়েল। সোরোকা মেডিকেল সেন্টারের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়াকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী উরিয়েল বুসো। কঠিন প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বিআরইউ