আদালত প্রতিবেদক
আগস্ট ৬, ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
বুধবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাজসাক্ষী হিসেবে তালিকাভুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
আজকের কার্যদিবসে আরও দুইজন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দেবেন বলে জানা গেছে। এ পর্যন্ত তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তারা সবাই চলতি বছরের জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যার নৃশংস স্মৃতি তুলে ধরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবি করেছেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্ণনা করেন সেই বিভীষিকাময় সময়ের নানা দৃশ্য—নিরীহ মানুষের ওপর চালানো নির্মম নির্যাতন, নির্বিচার হত্যাকাণ্ড এবং নিখোঁজের ঘটনাগুলো। এতে আদালত প্রাঙ্গণে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবিতে আদালতের বাইরে বিভিন্ন সংগঠন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
এর আগে, চলতি বছরের ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে অভিযুক্ত করা হলেও তারা বর্তমানে পলাতক বলে আদালতে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
একই দিনে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার ছয় আসামিকে। এই মামলায় আজই অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর। মামলাটি ঘিরে অঞ্চলজুড়ে জনমনে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে চলমান এই মামলাটি দেশে ও বিদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের এতে অভিযুক্ত করা হওয়ায় বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার ও কূটনৈতিক মহল। আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও বিশ্লেষণ।
ইএইচ