ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

‘এক মুজিব লোকান্তরে, লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে’ — আদালত চত্বরে পলক

আদালত প্রতিবেদক

আদালত প্রতিবেদক

আগস্ট ২০, ২০২৫, ০২:২০ পিএম

‘এক মুজিব লোকান্তরে, লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে’ — আদালত চত্বরে পলক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে দায়ের করা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে আজ আদালতে তোলা হয়। একই সঙ্গে আরও এক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। 

আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, “এক মুজিব লোকান্তরে, লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে।”

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে সাবেক দুই মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, আতিকুল ইসলাম এবং জুনাইদ আহমেদ পলককে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এরপর তাদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তিনজনকে হাতকড়া, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এজলাসে তোলা হয়।

এজলাসে ওঠানোর আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে পলক বলেন, “এক মুজিব লোকান্তরে, লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে।” এরপর তিনি আদালতের এজলাসের দিকে এগিয়ে যান।

সকাল ১০টার দিকে বিচারক এজলাসে আসেন। শুনানিতে বিচারক মামলার জিআরওকে জিজ্ঞাসা করেন, ঘটনাটি কবে ঘটেছে এবং কেন এ মামলায় পলককে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী জানান, তদন্তে আসামি হিসেবে পলকের নাম এসেছে।

এরপর তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আকতারুজ্জামান আদালতে বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই ট্রাকচালক মো. হোসেন হত্যা মামলায় পলকের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের পক্ষে যুক্তি দেন। তিনি বলেন, “১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে আন্দোলনকারীদের হত্যা করা হয়। আসামিরা মোহাম্মদপুরে গণকবরও দিয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য পলককে গ্রেফতার দেখানো জরুরি।” শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।

একই দিনে উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মো. নাজমুল সাকীব আসামি কিরণের সাত দিনের রিমান্ড এবং আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুমনও এর পক্ষে যুক্তি দেন। তিনি বলেন, আসামিরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যা করেছে। বিস্তারিত তদন্তের জন্য কিরণের রিমান্ড প্রয়োজন।

অন্যদিকে, আসামিদের পক্ষের আইনজীবী মোরশেদ আলম শাহীন রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। তিনি বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের জামিন দেওয়া উচিত। শুনানি শেষে আদালত কিরণের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং আতিকুলকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই ট্রাকচালক মো. হোসেন গাবতলীতে ট্রাক পার্কিং করে বাসায় ফিরছিলেন। দুপুর আড়াইটার দিকে চাঁদ উদ্যানের হোসেন মার্কেট এলাকায় পৌঁছালে আসামিদের গুলিতে তিনি আহত হন। গুলিটি তার বুকের বাম পাশ ভেদ করে যায়। পরদিন রাত ৩টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ ঘটনায় নিহতের মা রীনা বেগম গত বছরের ৩১ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে, কিরণ ও আতিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৮ জুলাই ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদ ও অন্যরা কর্মসূচিতে যোগ দেন। এ সময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। এতে ইশতিয়াক মাহমুদের পেটে গুলি লাগে। পরে তিনি বাদী হয়ে গত বছরের ২৯ অক্টোবর উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

ইএইচ

Link copied!