Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০১ মে, ২০২৪,

গুলিস্তানে বিস্ফোরণ

বেজমেন্ট থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে: বোম্ব ডিসপোজাল টিম

মো. মাসুম বিল্লাহ

মার্চ ৮, ২০২৩, ১০:১২ এএম


বেজমেন্ট থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে: বোম্ব ডিসপোজাল টিম

সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল টিম জানিয়েছে, রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের ক্যাফে কুইন ভবনের বেজমেন্টে বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে বিস্ফোরকের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণের ক্ষয়ক্ষতি দেখে আমাদের মনে হয়েছে, এতে কোনো বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়নি।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ তথ্য জানান ঘটনাস্থলে আসা সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল টিমের লিডার মেজর মো. কায়সার বারী।

তিনি জানান, আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল টিম নিয়ে বেজমেন্টে প্রবেশ করতে পারিনি। ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থা থেকে বলেছে, বিল্ডিংটা ঝুঁকিপূর্ণ। পর্যবেক্ষণের পর আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, বিল্ডিংয়ের অনেকগুলো ভিম নষ্ট হয়ে গেছে। কলামগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। সে কারণে বিল্ডিংটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

মেজর কায়সার বলেন, আমাদের ডিভাইস দিয়ে যতদূর এপ্রোচ করা সম্ভব হয়েছে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। আমাদের যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে কোনো বিস্ফোরকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এই বিল্ডিংটাকে স্টেবল করার পর বেজমেন্টে যেতে পারলে আমরা আরও কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারব। সিটি কর্পোরেশন ও বুয়েটসহ অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মতামত নিয়ে বিল্ডিংটা স্টেবল করতে হবে।

স্টেবল করতে কত সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্টেবল করতে এক্সপার্ট অপিনিয়ন প্রয়োজন। আমার টিমের মূল এক্সপার্টিজ বোম্ব ডিসপোজাল নিয়ে। তবে স্টেবল করার বিষয়টি জটিল বলে মনে হয়েছে। ভিম ও কলাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনটি সাততলা। ভিমের মাধ্যমে লোড কলামে ট্রান্সফার হচ্ছে না। সে কারণে আমরা এখনি বলতে পারছি না স্টেবল করতে কত সময় লাগবে।

বিস্ফোরণের কারণ জানতে চাইলে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, এখানে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এ ধরণের বিস্ফোরণ ঘটাতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের প্রয়োজন হত। সে পরিমাণ বিস্ফোরক ব্যবহার হলে আমরা গন্ধ পেতাম। আমাদের ডিভাইস ও বিভিন্ন সংস্থার ডগ স্কোয়াডও বিস্ফোরকের কোনো উপস্থিতি পায়নি।

উল্লেখ্য, বিস্ফোরণে নিহত ১৮ জনের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আর ২০০ জনের বেশি মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে ১০০ জনের বেশি মানুষকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এআরএস

Link copied!