Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০১ মে, ২০২৪,

ধ্বংসাবশেষ দেখতে এখনো গণমানুষের ভিড়

আবু ছালেহ আতিফ

আবু ছালেহ আতিফ

মার্চ ১০, ২০২৩, ০৫:৩০ পিএম


ধ্বংসাবশেষ দেখতে এখনো গণমানুষের ভিড়
  • সিদ্দিক বাজার ট্রাজেডির চতুর্থ দিন
  • সামনের সড়ক দিয়ে চলছে না যানবাহন 
  • পয়তাল্লিশ দিন পরে বোঝা যাবে বিল্ডিং ভাঙতে হবে কি না
  • সিল ট্রপিং করা হয়েছে চারটি পিলারের।
  • (ডিইএ) পরবর্তী সময়ে কতৃপক্ষ বুঝবে ঝুঁকি কতটা

আজ শুক্রবার, সিদ্দিক বাজার বিস্ফোরণের চতুর্থ দিন। গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাজধানীর গুলিস্তান সংলগ্ন সিদ্দিক বাজারে একটি স্যানিটারি মার্কেটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এতে প্রাণ হারান ২৩ জন এবং শতাধিক এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। বিস্ফোরণের দিন থেকে এ নিয়ে আশপাশের এলাকা ও রাজধানীবাসীর নজর এখানেই। সামনের দুই লেনের রাস্তার মাঝখানে তারা আগ্রহ নিয়ে উদ্ধার কাজ দেখছে। এবং একটি লেন দিয়ে গাড়ি যাতায়াতের কারণে ছুটির দিনেও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে বিস্ফোরণ স্থল সিদ্দিক বাজার পরিদর্শন করে এ দৃশ্য দেখা যায়।

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশন এ বিল্ডিং কে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এজন্য সামনের সড়ক বন্ধ রয়েছে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত। যেটি সম্পূর্ণ রাজউক এবং বুয়েটের বিশেষজ্ঞ  দলের উপর নির্ভর করছে।

এ বিষয়ে বর্তমান নির্দেশনা ও পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক) অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী রংগন মন্ডলের সাথে এ প্রতিবেদকের মুঠোফোনে কথা হয়। 

ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং ভাঙার ব্যপারে কোনো নির্দেশনা হয়েছে কি না প্রশ্নের জবাবে রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ) অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী রংগন মন্ডল আমার সংবাদকে বলেন, এটার জন্য গত পরশু দিন উদ্ধারকার্য শেষ হওয়ার পর থেকে আমাদের একটা কমিটি করা হয়েছে বুয়েটের টিমকে নিয়ে।

তিনি বলেন, এটার জন্য কিছু পর্যবেক্ষণ রয়েছে। প্রথমত হচ্ছে, বিল্ডিংয়ের নিচ তলা ও গ্রাউন্ড ফ্লোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটার জন্য আসলে একটি ডিইএ (ডিটেইলস ইঞ্জিনিয়ারিং এসেসমেন্ট) করা হবে। সেখানে যদি বোঝা যায় যে এটাকে ভেঙে ফেলতে হবে তাহলে ভাঙতে হবে। আবার যদি ডিইএতে এমন আসে যে বিল্ডিং টা রিপেয়ার করলে ঠিক হবে তাহলে আর ভাঙতে হবে না।

সামনের সড়ক থেকে ভাড়ি যানবাহন গেলে কেমন ঝুঁকি এ প্রশ্নের জবাবে রংগন মন্ডল বলেন, এটা আসলে কত টনের ভাড়ি বাহন যাচ্ছে; সেটা ব্যপার না। সামনে থেকে স্বভাবতই কিছু গেলে ভাইব্রেশন তো হবেই। সে জন্যই সিটি কর্পোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ বলেছে কিন্তু; রাজউকের ভাষায় আমরা বলবো ক্ষতিগ্রস্ত। আর এ জন্য আমরা শেল্টার দিচ্ছি। আমাদের নিযুক্ত (থার্ড পার্টি) প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে। তাদেরকে বলেছি (সিল ট্রপিং) করার জন্য যেনো ক্ষতিগ্রস্ত কলামগুলো লোড নাও নিতে পারে,সেই লোড টা (ট্রপিং) করে নিচের হার্ড সারফেইসে পৌছে দিচ্ছি,যাতে ভেঙে না পরে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সামনের চারটা কলাম কাজ করা হয়েছে। কিছু কাজ বাকি আছে, ভেতরেও কাজ করতে হবে।

রংগন মন্ডল বলেন, ভেতরে ধ্বংসাবশেষ থাকাতে এখনো সবখানে আমরা পৌঁছাতে পারছি না।এটার জন্য সর্বোপরি সময় দরকার। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সবকিছু মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিংটি কোনো রকম দুর্ঘটনা মুক্ত হতে কতদিন লাগতে পারে  জানতে চাইলে এ রাজউক প্রকৌশলী বলেন, এটাতো আসলে সময় সাপেক্ষে বলা যাবে। তবে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিম বলেছে পয়তাল্লিশ দিনের মধ্যে ডিইএ করতে হবে। ডিটেইলস ইইঞ্জিনিয়ারিং এসেসমেন্টের পরবর্তীতেই বোঝা যাবে যে ভবনটি ভাঙতে হবে নাকি মেরামত করতে হবে।

Link copied!