অনিরাপদ খাদ্য প্রস্তুতকারীরা অপরাধী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “যারা জেনে-বুঝে অনিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন, তারা অপরাধী। এই ধরনের খাদ্য মানুষের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে—অসুস্থতা থেকে শুরু করে মৃত্যুর কারণও হচ্ছে এসব অনিরাপদ খাদ্য।”

শনিবার টাঙ্গাইলে ব্যুরো বাংলাদেশের আঞ্চলিক কার্যালয়ে ‘নিরাপদ খাদ্য সম্মেলন ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত ‘নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বৃক্ষরোপণ ও খাদ্য নিরাপত্তার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে সব গাছ পরিবেশবান্ধব নয়—পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছ নির্বাচন এড়িয়ে পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণের পরামর্শ দেন তিনি।

চাষকৃত মাছ ও প্রাণিসম্পদের খাদ্যে ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, “বাজারে প্রচুর চাষের মাছ আসছে, তবে এর সঙ্গে অনিরাপদ মাছও রয়েছে। গবাদিপশু ও মাছের খাদ্যে ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক মেশানো হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি।”

প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “যদি কোনো ফিডে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যায়, তবে অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল আলম, উবিনীগের পরিচালক সীমা দাস সীমু, ব্যুরো বাংলাদেশের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ইস্তাক আহাম্মেদ, আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন এম. এ. রশীদ, সবুজ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রতিনিধি ও নয়াকৃষির কৃষকরা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সবুজ পৃথিবীর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সহিদ মাহমুদ এবং নয়াকৃষি আন্দোলনের টাঙ্গাইল শাখার সমন্বয়ক মো. রবিউল ইসলাম চুন্নু।

তাঁত শিল্প রক্ষা ও কর্মসংস্থান উদ্যোগ এদিন বিকেলেই উপদেষ্টা ফরিদা আখতার টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে কয়েদিদের জন্য তাঁতযন্ত্র স্থাপন ও তাঁত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে তাঁতশিল্প সংরক্ষণ এবং কারাবন্দিদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করা হবে বলে জানা গেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেল সুপার মো. শহীদুল ইসলাম ও জেলার অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা।

আরএস