Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দরিদ্র নারী-শিশুদের বঞ্চনার অবসান

ফারিহা হোসেন

ফারিহা হোসেন

জুলাই ১৮, ২০২২, ০১:৫৩ এএম


আশ্রয়ণ প্রকল্প : দরিদ্র নারী-শিশুদের বঞ্চনার অবসান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দরিদ্র, গৃহহীন পরিবারের নারী, শিশুরাও নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা পেল। বলছি আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রসঙ্গে। মূলত ঠিকানাবিহীন, আশ্রয়হীন এবং গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করায় হাজার হাজার নারী ও শিশু এখন অনেকটাই নিরাপদে জীবনযাপনের সুযোগ পেল। 

আশ্রয়ণের জন্য গৃহীত প্রকল্প এলাকায় তাদের কর্মসংস্থানে তথা হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, গবাদিপশু পালন, তাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য স্কুল, মক্তব, মাদ্রাসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ, পানি, রাস্তাঘাটসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। গৃহহীন, আশ্রয়হীন মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার মধ্য দিয়ে মূলত দরিদ্র পরিবারের নারী, শিশুদের বঞ্চনার অবসান হয়েছে। 

একই সঙ্গে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে নারী ও শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী নারী ও শিশুরা এখন ঝুঁকিমুক্ত। এ কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী প্রাথমিকভাবে ৯ লাখ গৃহহীনকে ঘর করে দেয়া হবে। এ পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায় এক লাখ ৫০ হাজার ২৩৩ পরিবারকে ঘর করে দেয়া হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার দেখানো পথেই বঙ্গবন্ধুকন্যা জনবান্ধব কর্মসূচি হাতে নেন। 

১৯৯৭ সালে কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন এবং সারা দেশের মানুষদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গৃহীত হয় ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গত ২৬ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৩২ হাজার ৯০৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ঘর হস্তান্তর করা হয়। 

প্রত্যেক মানুষের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার হচ্ছে বাসস্থানের সুযোগ পাওয়া। নাগরিকের এই মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারটি বাস্তবায়ন হলো, তাদের বাসস্থানের স্বপ্ন একটি বাড়ি পাওয়ার সেই স্বপ্ন সত্যি হলো। কেননা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি খরচে বাড়ি নির্মাণ করে তা তাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন, যার মোট উপকারভোগীর সংখ্যা এক লাখ ৫০ হাজার ২৩৩ জন। 

ঈদুল ফিতরের আগে তার উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের আওতায় উপকারভোগীদের দুই শতক জমিতে টিনশেড আধা-পাকা ঘর প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি নবনির্মিত বাড়ির দলিল ও চাবি বিতরণ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বক্তব্যও মানুষের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৩২ হাজার ৪০৯টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে জমি ও ঘর দিয়েছি। আমি আসন্ন ঈদুল ফিতরের উপহার হিসেবে আজ এসব জমি ও ঘর দিয়েছি।’ তার সরকার মুজিববর্ষের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই দফায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসিত করেছে। ‘যারা ঘর পেয়েছে, তাদের মুখের হাসি আমি খুব পছন্দ করি’ উল্লেখ করে তিনি সবাইকে বিশেষকরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। 


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি উন্নত ও সুন্দর জীবন উপহার দিয়ে জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। মূলত এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সমাজের অবহেলিত, নিগৃহীত বেদে, তৃতীয় লিঙ্গ, চা-শ্রমিক, কুষ্ঠু রোগী, ভিন্নভাবে সক্ষমসহ সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সুন্দর জীবন উপহার দিতে গৃহায়ন প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। 

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি জেলার চারটি স্থানের সাথে যুক্ত হয়ে সুবিধাভোগী এবং অন্যান্য অংশীজনদের সাথে মতবিনিময়ও করেন। স্থানসমূহ হলো— ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার পোড়াদিয়া বালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, বরগুনা জেলার বরগুনা সদর উপজেলার খেজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার অধীনে খোকশাবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার হাজীগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প। 

মুজিববর্ষে দেশের প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে আশ্রয়ণ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার সরকারি অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তিন ধাপে এ পর্যন্ত এক লাখ ৫০ হাজার ২৩৩টি বাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। 

২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি, ৬৩ হাজার ৯৯৯টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার প্রথম ধাপের অধীনে ঘর পেয়েছিল এবং ৫৩ হাজার ৩৩০টি পরিবার গতবছরের ২০ জুন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে তাদের মাথার উপর একটি ছাদ পেয়েছে। এ কর্মসূচির তৃতীয় ধাপের আওতায় সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে আরও ৬৫ হাজার ৬৭৪টি ঘর বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। 

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি বাড়ি হস্তান্তর করেছেন। সারা দেশের ৪৯২টি উপজেলায় এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে এবং ২০২১-২০২২ সালের চলতি অর্থবছর পর্যন্ত এক লাখ ৮৩ হাজার তিনটি বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

ভূমিহীন, গৃহহীন, হতদরিদ্র ও উৎপাটিত পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে জমি ও বাড়ির মালিকানা দেয়া হয়। প্রতিটি ইউনিটে দুটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং একটি বারান্দা রয়েছে, যার মূল্য দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা কর ও ভ্যাট ছাড়াই। ট্যাক্স ও ভ্যাটসহ এর পরিমাণ তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা। 

আশ্রয়ণ-২ এর তৃতীয় পর্বে বাড়িগুলোকে আরও টেকসই এবং জলবায়ু সহনশীল করতে সরকার খরচ বাড়িয়েছে এবং নকশায় পরিবর্তন এনেছে। বাড়িগুলোকে আরও টেকসই করার জন্য শক্তিশালী গ্রেট-বিম, লিন্টেল এবং আরসিসি পিলারবিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করা হয়। চলতি অর্থবছর পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণে এ পর্যন্ত তিন হাজার ৯৭২ কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

খাস জমি ছাড়াও গৃহহীন ও ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার ১৬৮ দশমিক ৩২ একর জমি কিনেছে। ইতোমধ্যেই জমি কেনার জন্য ১১৫ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এসব বাড়ি নির্মাণে সারা দেশে অবৈধ দখল থেকে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি ৯ লাখ টাকা মূল্যের পাঁচ হাজার ৫১২.০৪ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। 

আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে, ১৯৯৭ থেকে মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত মোট পাঁচ লাখ সাত হাজার ২৪৪ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে এবং পুনর্বাসিত পরিবারগুলোকে তিন মাসের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। 

পুনর্বাসিত পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন উৎপাদনশীল এবং আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডেযুক্ত করতে ব্যবহারিক এবং প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সরকারি সংস্থা যেমন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, সমবায়, মহিলা ও শিশু অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়। 

পরিবারগুলোর জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে এবং প্রকল্পের জায়গায় নিরাপদ পানির জন্য নলকূপ স্থাপন ও  পুকুর খনন করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার, প্রার্থনা ঘর এবং কবরস্থান। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। 

ঘর পেয়ে আশ্রয়হীনদের একেক জন তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন নানাভাবে। সেই উপহারের ঘরে বসে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নকশিকাঁথা সেলাই করছেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার গৃহহীন রহিমা আক্তার। তিনি  খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দুটি নকশিকাঁথা সেলাই করেছেন। চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের হাজীগাঁওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন রহিমা আক্তার। প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘কেন আঁচোন অঁনে? (কেমন আছেন আপনি)। 

আপনাকে সরাসরি দেখে, আপনারে সরাসরি চাইয়ে কথা বলার ভাষা অ্যাঁর মুখে দি ন আইয়ে। অঁনেরে দেখে যে, কত খুঁশি লাগের।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমিও খুশি।’ রহিমা বলেন, ‘অ্যাঁই চাইরগো মাইয়া, চাইরগো মাইয়া লইয়ে অ্যাঁই এতদিন ভাড়া বাসাত ছিলাম। অনেক বছর ভাড়া বাসত থাঁয়নের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থন অ্যাঁই একখান বিল্ডিং পাই।’ 

আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পাওয়া নিজের ঘরটিকে ফাইভ স্টার হোটেল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে সমুদ্র। বিল্ডিংটা দেখলে মনে হয়, ফাইভ স্টার হোটেলের মতো। আমি মনে করি আমার বিল্ডিংটা ফাইভ স্টার হোটেল।’ 

প্রধানমন্ত্রীর জন্য নিজে দুটো নকশিকাঁথা সেলাই করেছেন জানিয়ে রহিমা বলেন, ‘আপনার দেয়া ঘরে বসবাস করে দুইটা কাঁথা সেলাই করেছি। আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই এই কাঁথাগুলো নিতে হবে। এর থেকে মূল্যবান আর কিছু আমার দেয়ার নাই। এই দুটি কাঁথা সেলাই করছি। আপনি নিবেন।’ 

রহিমা আক্তার জানান, তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত অন্য বাচ্চাদের আরবি পড়ান এবং তার মেয়ে বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্ক প্রাইভেট পড়ায়। নিজের স্বাবলম্বী হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে রহিমা বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমাদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম হয়। এই আয় দিয়ে একটি ফ্রিজ কিনছি। প্রতিদিন আপনাকে দেখতে পারি তাই একটা টিভি নিয়েছি। একটা খাট নিয়েছি।’

আরেক উপকারভোগী ইয়ার মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি একদম নিরাশ্রয় ছিলাম। আমার মা-বাবাও আশ্রয় দিতে পারে নাই। অ্যাঁর মতো জেলে মানুষকে টোঁয়ায়ে (খুঁজে) একটা ঘর দিছেন। অনেক কৃতজ্ঞ।’ অন্য একজন তার প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের পরশপাথর’ বলেও মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, ‘আপনি আমার সোনার বাংলার পরশপাথর, আপনার ছোঁয়ায় আমার জীবনটাই পাল্টে গেছে।’ একই এলাকায় নতুন ঘর পাওয়া এক ছাত্রী আজিজা সুলতানা স্মৃতি বলেন, আমি সরকারি কলেজের ছাত্রী এবং ক্রিকেটার। আমার বাবা নেই। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। ঈদে আমরা একটা ঘর পেয়েছি। ঈদে ঘর পেয়ে আমরা খুবই খুশি। এমন খুশির ঈদ আমরা কখনো পাইনি। 

তৃতীয় ধাপে এসব ঘর প্রদানের আগে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছে এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি পরিবার। তৃতীয় ধাপের আরও ৩২ হাজার ৭৭০টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। আশ্রয়ণের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চেয়ে তৃতীয় ধাপের ঘরগুলো অনেক বেশি টেকসই। 

ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙনকবলিত ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল আশ্রয়ণ প্রকল্প। এ প্রকল্প আশ্রয়ণ নিশ্চিত করেছে লাখ লাখ মানুষের। প্রত্যাশা থাকবে গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর এই মহতী ও মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে আগামীতেও। 

লেখক : ফ্রিলান্স সাংবাদিক এবং নারী, শিশু, বায়োকেমেস্ট্রি বায়োটেকনোলজি বিষয়ে অধ্যয়নরত।

Link copied!