ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad
গবেষণার আলোয় দেশের উন্নয়ন

অস্টে আইইওএম সোসাইটির ‘রিসার্চ সিম্পোজিয়াম ১.০’

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১১, ২০২৫, ০৮:১০ পিএম

অস্টে আইইওএম সোসাইটির ‘রিসার্চ সিম্পোজিয়াম ১.০’

গবেষণা শুধু জ্ঞানের সীমানা বাড়ায় না, এটি সমাজ ও দেশের উন্নয়নেরও চাবিকাঠি। এই চিন্তাকে ধারণ করে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইওএম সোসাইটি স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘রিসার্চ সিম্পোজিয়াম ১.০’।  

এই আয়োজন শিক্ষার্থীবান্ধব একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যেখানে তরুণ গবেষকরা তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলো উপস্থাপন করে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগ পাবে এবং বিশ্ব দরবারে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে। একইভাবে, রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তন ও পরিকল্পনায় তাদের উদ্ভাবনী মেধাকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।  

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অস্টের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল হক।  

তিনি তার বক্তব্যে গবেষণার গুরুত্বকে তুলে ধরে বলেন, ‘গবেষণা শুধু অ্যাকাডেমিক সাফল্যের জন্য নয়, এটি সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নের মূল হাতিয়ার। তরুণ গবেষকরা তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে দেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। তাদের হাতেই আগামীর বাংলাদেশ।’  

সিম্পোজিয়ামে অংশ নেওয়া দলগুলোর গবেষণা প্রস্তাবনাগুলো ছিল দেশের উন্নয়ন ও সমাজের চাহিদাকে কেন্দ্র করে। ওয়াসিফ হাম্মাদের নেতৃত্বে ‘টিম ক্যাটালিস্ট’ চ্যাম্পিয়ন হয়।  

ওয়াসিফ তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি প্রথমবারের মতো এমন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল সর্বোচ্চ চেষ্টা করা ও ভালো কিছু করা। চ্যাম্পিয়ন হয়ে দারুণ লাগছে। দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারলেই আমাদের পরিশ্রম স্বার্থক হবে।’  

তাদের গবেষণা প্রস্তাবনা ছিল শিল্প ও প্রযুক্তি খাতে নতুন মাত্রা যোগ করার, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মোহাম্মদ আদনানের নেতৃত্বে ‘টিম রেস্পায়ার’ প্রথম রানারআপ এবং রাইসা আনজুম ইফতির নেতৃত্বে ‘টিম র্যাভেঞ্জারস’ দ্বিতীয় রানারআপ স্থান অর্জন করে। তাদের প্রস্তাবনাগুলোও ছিল সমাজ ও পরিবেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার উপযোগী।  

একটি বিশেষজ্ঞ বিচারক প্যানেল অংশগ্রহণকারীদের গবেষণা প্রস্তাবনাগুলো গভীরভাবে মূল্যায়ন করেন। প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন মি. শেখ সালমান, মি. শাহ মুর্তোজা মোরশেদ, আফিয়া আহসান (অস্টের শিক্ষক সদস্য) এবং মি. শিহাব শাকুর। তাদের গঠনমূলক পরামর্শ ও মূল্যায়ন অংশগ্রহণকারীদের গবেষণা দক্ষতা উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।  

এই আয়োজন সম্পর্কে অস্টের শিক্ষক আফিয়া আহসান বলেন, ‘আমি প্রথমবারের মতো এভাবে কাজ করছি। ছাত্রজীবনে আমি নিজেও এমন সাহস দেখাতে পারিনি, যা এই প্রজন্ম করে দেখাচ্ছে। তারা খুবই ভালো কাজ করছে এবং আগ্রহ নিয়ে গবেষণায় অংশ নিচ্ছে। তবে সরকার যদি এই ছেলে-মেয়েদের কাজের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করত, তাহলে তারা আরও ভালো কিছু করতে পারত।’

এই সিম্পোজিয়াম শুধু একটি প্রতিযোগিতা ছিল না, এটি ছিল গবেষণার মাধ্যমে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে তরুণদের অংশগ্রহণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। শিক্ষার্থীবান্ধব এই আয়োজন তরুণ গবেষকদের মধ্যে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এবং তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে বলে জানান এই গবেষণা টিমের উপদেষ্টা মি. শাহ মুর্তোজা মোরশেদ।  

তিনি জানান, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এমন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে তরুণ গবেষকরা তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। 

গবেষণার আলোয় আলোকিত হবে দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র—আয়োজকদের পক্ষ থেকে এমন অঙ্গীকার ঘোষণা করা হয়েছে।

আরএস

Link copied!