বোরহান উদ্দিন
মে ৩১, ২০২৫, ১১:২২ এএম
বোরহান উদ্দিন
মে ৩১, ২০২৫, ১১:২২ এএম
সময় বদলেছে। মোবাইল ফোন এখন শুধু কথা বলার যন্ত্র নয়, লেনদেনের হাতিয়ারও। কাগুজে নোটের বদলে লেনদেন এখন হচ্ছে স্ক্রিনে টোকা দিয়েই। এমন প্রযুক্তিনির্ভর লেনদেনের দুনিয়ায় সবচেয়ে আলোচিত নামগুলোর একটি—‘গুগল পে’।
এই আধুনিক ডিজিটাল পেমেন্ট মাধ্যম শিগগিরই বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে। এতে দেশের আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থায় এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে।
গুগল পে কী?
গুগল পে হলো গুগলের তৈরি একটি ডিজিটাল ওয়ালেট ও পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম। ব্যবহারকারীরা এটি দিয়ে মুহূর্তেই টাকা পাঠাতে, নিতে বা খরচ করতে পারেন। প্রযুক্তি নির্ভর এই অ্যাপ কাজ করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, কার্ড সংযুক্তিকরণ এবং কিউআর কোড স্ক্যানিং প্রক্রিয়ায়।
এই অ্যাপে সংযুক্ত করা যায় ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট) এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। লেনদেন করা যায় ফোন নম্বর, কিউআর কোড কিংবা এনএফসি ট্যাপ করে।
গুগল পে ব্যবহার করতে চাইলে—
১. প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।
২. গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগ ইন করতে হবে।
৩. নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ড যুক্ত করতে হবে।
৪. পিন/বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা সেট করতে হবে।
এরপর আপনি তৈরি! এখন QR কোড স্ক্যান করে, নম্বর দিয়ে বা ট্যাপ করে লেনদেন করা যাবে খুব সহজেই।
কী সুবিধা মিলবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা, অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত তরুণেরা, এমনকি ফ্রিল্যান্সার ও প্রবাসী রেমিটেন্স গ্রহীতারাও এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন।
নিরাপত্তায় কতটা নির্ভরযোগ্য?
গুগল পে অ্যাপটি এনক্রিপশন প্রযুক্তি, বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন, পিন কোড এবং রিয়েল-টাইম নোটিফিকেশন ব্যবহার করে। ফোন হারালেও তথ্য থাকবে সুরক্ষিত।
এছাড়া, গুগলের নিজস্ব ফ্রড মনিটরিং সিস্টেম সব সময় সক্রিয় থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটাল পেমেন্ট নীতিমালা অনুযায়ী এটি চালু হবে, তাই ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই।
বিআরইউ