Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

আটকদের ছবি অযাচিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ

পুলিশের মিডিয়া ট্রায়াল বিতর্ক

নুর মোহাম্মদ মিঠু

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২, ০১:৩৭ এএম


পুলিশের মিডিয়া ট্রায়াল বিতর্ক

গত ১৬ মে কক্সবাজারের চকরিয়া সিটি হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সনদ জটিলতার কারণে গ্রেপ্তার করা হয় কুমিল্লার বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিনকে। উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সে সময় সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় তাকে চকরিয়া থানা পুলিশ কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠায়।

এসব প্রক্রিয়ার ফাঁকেই হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ফরিদ উদ্দিনের ছবি তুলে চকরিয়া থানা পুলিশ। ভুয়া ডাক্তার, প্রতারক— এসব শব্দ ব্যবহারসহ তার পিতা-মাতা ও প্রকৃত ঠিকানা উল্লেখ করে সেই ছবিটিই জেলা পুলিশের নামে খোলা ফেসবুক পেজে পোস্ট করে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। যা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয় কুমিল্লাসহ সারা দেশেই। ফরিদ উদ্দিন বিষয়টি না জানলেও কারাগারে দেখা করতে গেলে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানতে পারেন। দেখতেও পান জেলা পুলিশের করা সেই পোস্টে তারই গ্রামের বাসিন্দাদের করা নেতিবাচক মন্তব্যের স্ক্রিনশটও।

অপরিচিতদের নেতিবাচক মন্তব্য তো রয়েছেই। এর কদিন পরই পরিবারের সদস্যরা যখন জরিমানার টাকা জোগাড় করে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন; তখনই কারাগার থেকে খবর আসে স্ট্রোক করে মারা গেছেন ফরিদ উদ্দিন। পরিবারের অভিযোগ, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়ার পর পুলিশের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সামাজিকভাবেও তাকে এক ধরনের মানসিক সাজার সম্মুখীন করেছে পুলিশ।

একদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ডে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে দুশ্চিন্তা অন্যদিকে সামাজিক সম্মানহানির মানসিক চাপ সইতে না পেরেই স্ট্রোক করেন ফরিদ উদ্দিন। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগেরও ইচ্ছা ছিল পরিবারের। কিন্তু পুলিশ সম্পর্কে সমাজের মানুষের নানান ভীতিকর বর্ণনায় আর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের দুঃসাহস দেখাননি তারা।

এভাবে প্রায় প্রতিদিনই বাহবা কুড়ানোর প্রতিযোগিতায় কিংবা এই প্রক্রিয়ায় অপরাধ কমিয়ে আনার ভ্রান্ত ধারণায় আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে হাজারো ফরিদকে সামাজিক সাজার সম্মুখীন করছে পুলিশ। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করেই মিডিয়া ট্রায়ালের ঘটনা তো ঘটছেই।

দেশে বিভিন্ন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক কিংবা গ্রেপ্তারের পর নারী-পুরুষদের প্রায়ই গণমাধ্যমের সামনে হাজির করার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হলেও এখন তার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার প্রবণতাই বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। সেখানে জব্দ করা জিনিসপত্র সাজিয়ে এমনভাবে তাদের উপস্থাপন করা হচ্ছে ও বর্ণনা তুলে ধরা হচ্ছে, তাতে বিচারের আগেই জনমনে দোষী চিহ্নিত হচ্ছেন তারা। প্রদর্শিত ব্যক্তির বক্তব্য দেয়ার সুযোগও  হচ্ছে না। অনেকের ক্ষেত্রে নানা রকম আপত্তিকর বিশেষণও ব্যবহার হয়। এরকম কর্মকাণ্ড বন্ধে ২০১২ সালে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও আদৌ বন্ধ হয়নি এ প্রক্রিয়া।

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিংবা মামলার প্রেক্ষাপটে যদি কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়; সে ক্ষেত্রে তার ছবি কিংবা তথ্য আদালতে প্রমাণের আগেই গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অথবা পুলিশের ফেসবুক পেজে ছড়িয়ে দেয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আইনি সেবা দেয়াই পুলিশের দায়িত্ব। মানুষকে অসহায়ত্ব কিংবা অপরাধমূলক পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করাই পুলিশের কাজ। যদি পুলিশ নিজেই কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার সুযোগ তৈরি করে তখন পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থাও অনেকটাই কমে যায়।

এ ক্ষেত্রে পুলিশ অনেক সময় বলার চেষ্টা করে এর মধ্য দিয়ে এ ধরনের ব্যক্তিরা সামাজিকভাবে চাপের মধ্যে থাকে; পরবর্তীতে আর অপরাধের সাথে জড়ায় না। বাস্তবে এর সত্যতা খুব বেশি লক্ষ করা যায়নি। তবে উল্টোটাই ঘটছে বেশি। অপরাধ না করেও যখন কেউ সামাজিকভাবে অপরাধের সাজা ভোগ করে, তখন তার মধ্যে প্রতিশোধের মানসিকতাই গড়ে ওঠে।

হাইকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জোতির্ময় বড়ুয়া আমার সংবাদকে বলেন, ‘ফেসবুকের বিষয়ে আলাদা কোনো অর্ডার না থাকলেও মিডিয়া ট্রায়ালের বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের জাজমেন্ট ছিল। জাজমেন্টে ছিল— গ্রেপ্তার যখন করছেন, বিচার যখন চলছে, নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একজন মানুষ নির্দোষ। আইনি নীতিগুলো এভাবেই প্রতিষ্ঠিত। যখন কাউকে চোর-ডাকাত উল্লেখ করে কাগজ লিখে, ছবি তুলে কনফারেন্স করে সেটি আসলে স্পেসিফিক আইনকে ভায়োলেশন করে। তাকে সোশ্যালি হেয় করা, মিডিয়া ট্রায়াল করে শাস্তি দেয়ার ঘটনা ঘটে যায়। সেটি না করার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আছে হাইকোর্ট বিভাগের।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু পুলিশ ফেসবুকেও দিচ্ছে; এটিও এক ধরনের পাবলিকেশন্স। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব ছড়িয়ে পড়ে আরো দ্রুত গতিতে। এ ক্ষেত্রে এসব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকাই হচ্ছে উচ্চ আদালতের প্রতি সম্মান দেখানো। পুলিশের এ ধরনের এখতিয়ার নেই।’

তবে পুলিশসহ সব ডিপার্টমেন্টই সাকসেস স্টোরিগুলো শেয়ার করতে চায়, পুলিশও সেটি করতে পারে। সাকসেস স্টোরি শেয়ার করতে গিয়েও যেন কারো সম্মানহানি না হয়, নিজস্ব আইনের লঙ্ঘন না হয়, সে দিকটিও খেয়াল রেখে যতটুকু প্রাইভেসি রক্ষা করে তথ্য শেয়ার করা যায় ততটুকুই হয়তো পুলিশ পারত। কারো কোনো তথ্য না দিয়ে ঘটনার বিবরণ দেয়া— এ রিপোর্টিংয়ে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু যখন পরিচয় প্রকাশ করছেন তখনই সমস্যা। এটি না করাটাই হবে আদালতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন।’

সমাজ ও অপরাধ গবেষক তৌহিদুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, ‘আদালতে অপরাধ প্রমাণের আগেই কাউকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার কোনো সুযোগ বা অধিকার কারো-ই নেই। বিভিন্ন অপরাধের প্রেক্ষাপটে হওয়া মামলা বা সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে কাউকে গ্রেপ্তার করা হলেও সেটি আদালতে যুক্তিতর্কে কিংবা বিচার-বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হওয়ার পরই অপরাধীর ছবি প্রকাশ করা যেতে পারে। কিন্তু দোষী কিংবা নির্দোষ প্রমাণের আগে গ্রেপ্তারের ছবি প্রকাশ করা হলে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরিবার, সহকর্মী ছাড়াও সমাজের চোখেও ভুক্তোভোগী ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে প্রমাণিত হন। এটি আমরা মিডিয়া ট্রায়াল হিসেবে দেখি। এতে সামাজিকভাবে ভুক্তভোগী ব্যক্তির সাজাভোগের বিষয়টি শুরু হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে তার পরিবারসহ তাকে বিভিন্নভাবে কলঙ্কিতও করা হয়। দেয়া হয় বিভিন্ন অপবাদ। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের বা পরিচিতদেরও হেয় প্রতিপন্ন করা হয়— এমন শব্দ ব্যবহার করে ডাকার ঘটনাও আমরা সমাজে দেখি।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন পরিস্থিতি বা ঘটনার নেপথ্যের প্রেক্ষাপট কি প্রক্রিয়ায় সংগঠিত অপরাধ সমাধান করা যায় এমন অনেকগুলো বিষয় বিশ্লেষণ করেই গ্রেপ্তারকৃত অপরাধীদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় পুলিশকে। সে ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার চলমান ধারার সাথে পুলিশও মিল রেখে চলবে— এটি আইনের সাথেও সাংঘর্ষিক। এ ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন ইউনিট বা পুলিশের যেসব ডিপার্টমেন্ট রয়েছে, তাদের সেবার যে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে, প্রতিটি ইউনিটই সেটি চিন্তা করবে যে, কীভাবে অধিক সেবা দেয়া যায়। কোনোভাবেই যেন নির্দোষ ব্যক্তিকে অপরাধী প্রমাণের আগেই দোষী বানানো না হয়। কেউ গ্রেপ্তার হলেই অপরাধী বিষয়টি এমন নয়। এ অবস্থায় কোনো ব্যক্তি যেন অস্বস্তিকর অবস্থায় না পড়ে এবং সমাজের চোখে কলঙ্কিত—তিরস্কৃতও হতে পারে, সমাজের চোখে ভুক্তভোগীর পরিবার এক ধরনের মর্যাদা সংকটের মধ্যেও পড়তে পারে, এমন আচরণ যদি পুলিশের কাছ থেকে তৈরি হয় তখন অপরাধী চক্রও সেই সুযোগটি নেয়ার চেষ্টা করে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষও পুলিশের সেবা প্রদানের বিষয়টিসহ পুলিশের সার্বিক ভূমিকাকে সন্দেহের চোখে দেখে।’

তবে তিনি বলছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়া করবে; সেটিও অবস্থা বুঝে। কিন্তু গ্রেপ্তারকৃত একজন ব্যক্তিকে প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই অপরাধী বলা যাবে না। কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে, পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বা নজরদারিতে রয়েছে— এমন কোনো ছবি বা বক্তব্য প্রকাশ না করাই ভালো। যদিও অনেক সময় তথ্য গোপন করা হয়, পরিবার বা স্বজনদের কেউ যদি জানতে চায় তখন তথ্য জানানোই পুলিশের দায়িত্ব। কিন্তু ছবিসহ জানানোটা কখনো কখনো ব্যক্তিকে ছোট করে, হেয় প্রতিপন্ন করে। সমাজের চোখে ব্যক্তিকে নিন্দনীয় অবস্থায় ঠেলে দেয়। এ অবস্থায় পুলিশ প্রশাসনের আচরণগত সংশোধনীর বিষয়ে নাগরিক সমাজ থেকে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে যে বক্তব্য আসে, সে জায়গা থেকে পুলিশকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে এবং এসব থেকে বিরত থাকতে হবে। তাতে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বা পুলিশ যে সেবা দিতে চায় তার গতি আরও ত্বরান্বিত হবে।’

আইন ও সালিশকেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নুর খান লিটন আমার সংবাদকে বলেন, ‘যখন কাউকে গ্রেপ্তার করে তার নাম ব্যঙ্গাত্মকভাবে প্রকাশ করা শুরু করল আইনশৃখলাবাহিনী এবং অপরাধ প্রমাণের আগেই গ্রেপ্তার করার সাথে সাথেই ছবি প্রকাশ করা শুরু করল— তখন হাইকোর্ট থেকে একটি নির্দেশনা এসেছিল, ‘যে এ ধরনের কাজ থেকে যাতে তারা দূরে থাকে। দুর্ভাগ্যবশত তারা একইভাবে আজ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে যাচ্ছে। এতে করে মানুষের মান-সম্মান-নিরাপত্তা, তিনটিই বিঘ্নিত হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে।’

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তাদের ইমেজের কথা বলে। কিন্তু তারা যে সাধারণ মানুষের ইমেজ একদম ভুলুণ্ঠিত করে দিচ্ছে তাদের কাজকর্ম দিয়ে— সেটি দেখভাল করার কেউ নেই। তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এটি পর্যবেক্ষণ করার কথা (বন্ধ করা উচিত), তারা এদিকে মোটেই মনোনিবেশ করছেন না। আমরা মনে হয়, যখন পুরোপুরি একটি পুলিশনির্ভর রাষ্ট্র তৈরি করবেন, তখন পুলিশ এ ধরনের কার্যক্রম করবে। কারণ সে জানে, তার এই কাজকে কেউ চ্যালেঞ্জ করবে না।’

জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান আমার সংবাদকে বলেন, ‘আসামিদের ছবি প্রকাশ করার কথা নয়। এ নিয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কোনো আসামির ছবিই পুলিশ এভাবে প্রকাশ করতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশ এটি ভুল করছে। কারণ এখানে হাইকোর্ট থেকে তাদের নিষেধ করা আছে, কোনো আসামির ছবি এভাবে দেয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে কেউ যদি দিয়ে থাকে তারা এটি ঠিক করছে না।’ যদিও সারা দেশেই পুলিশের দু’-একটি ইউনিট ব্যতীত প্রায় সব ইউনিটই একই কাজ করে যাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। যে কারণে কেউ কেউ পুলিশের এ কার্যক্রমের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্টও করছেন।

ভুক্তভোগী, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরাও বলছেন, মামলা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মামলা করার অধিকার সবার আছে। আবার তা ফেস করার অধিকারও সবার আছে। মামলা চলাকালীন কেউ অপরাধী নয়। সে কারণে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার পরও তিনি অপরাধী নন; এটি প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। ‘অভিযুক্তদেরও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। সে জন্য গ্রেপ্তার করার পরপরই মানুষটিকে অপরাধী সাজিয়ে ক্যামেরার সামনে আনা ও তার প্রচার করা স্পষ্টত মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

সার্বিক বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আমার সংবাদকে বলেন, ‘হাইকোর্টের নিয়ম না মানলে যে ঘটনা ঘটবে তারা সেটি ফেস করবে। তারা একটি সোর্স পেলেই বক্তব্য দিতে হাজির হয়ে যায়, এগুলো দেখতেছি আমি। মানা করে তো সামলাতে পারছি না। যাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করছে পুলিশ. তাদের পরিবারেরও সামাজিক মর্যাদাহানি হচ্ছে বলে দাবি করছে আইনবিদ, মানবাধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন মহল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো পুলিশের মহাপরিদর্শককে অবহিত করুন। তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, এগুলো মানা হচ্ছে না, এখন আপনি কি ব্যবস্থা নেবেন?’
 

Link copied!