Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪,

ব্যর্থতার বৃত্তে আইডিআরএ

জাহিদুল ইসলাম

অক্টোবর ৩০, ২০২২, ০১:০৩ এএম


ব্যর্থতার বৃত্তে আইডিআরএ

স্বাধীনতার পর বিমা খাতের উন্নয়নে ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিমা অধিদপ্তরকে পরিবর্তন করে বিমা আইন-২০১০ এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) গঠন। পাশাপাশি সংস্থাটিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

আইডিআরএ গঠনের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিমা খাতের উন্নয়নে বাহ্যত কাজ করে যাচ্ছে। নিয়েছে একের পর এক নানা পদক্ষেপ। কিন্তু প্রতিষ্ঠার এক যুগ পার হলেও বিমা খাতের সার্বিক উন্নয়নে আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আর্থিক খাতের অন্যান্য অনুষঙ্গ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেভাবে নিজ নিজ সেক্টর মনিটর করছে, একইতালে সেভাবে মনিটরিং করতে পারছে না বিমার এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে আইডিআরএর নির্দেশ অমান্য করেই সিইওর চলতি দায়িত্ব পালনের মতো ঘটনাও রয়েছে। এমন কার্যক্রমে কোম্পানিগুলোর সাথে আইডিআরএর দূরত্ব ও সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বিমা খাত নিয়ে সরকারের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি পুরোপুরি সফল হচ্ছে না।

তথ্য মতে, বিগত বছরগুলোতে বিমা খাতের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে আইডিআরএ। এগুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল— অনিয়মের দায়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে প্রশাসক বসানো, নন-লাইফে এজেন্ট কমিশন বন্ধ, অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত ও বাকি ব্যবসা বন্ধ, বিমা খাতে একই সাংগঠনিক কাঠামো প্রণয়ন, পরিচালকদের উল্লেখযোগ্য শেয়ার ধারণে বাধ্য করা, দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সিইওর চলতি দায়িত্ব পালন না করা, বিমা দাবি প্রদানে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিমায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিমা খাতের উন্নয়নে দক্ষ জনবল ও প্রযুক্তির ব্যবহারে সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অর্থায়নে প্রকল্প পরিচালনা করা।

তবে উল্লেখযোগ্য, এসব পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যর্থতার পাল্লাও কম নয়। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রতি বছর বিশেষ নিরীক্ষা চালানোর নিয়ম রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেই কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি তা আবার চালু হয়েছে বলে জানা গেছে। আবার সার্ভেয়ার কোম্পানির যোগসাজশে গ্রাহকের প্রকৃত ক্ষতির তুলনায় নামমাত্র মূল্য দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া বিমা খাতে সিইওদের হুটহাট চাকরিচ্যুত থেকে রক্ষা করতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি সংস্থাটি। আবার বিমা আইনের কিছু ত্রুটির পাশাপাশি এখনো প্রবিধান সম্পূর্ণ না হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে এসবকে ছাপিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কয়েকজন কর্তাব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগই খাতটির মূল সমস্যা বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, গুটিকয়েক অসাধু কর্মকর্তার জন্য ম্লান হতে বসেছে বিমা খাতের উন্নয়নে আইডিআরএর অনেক ভালো উদ্যোগ। তবে আইডিআরএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিমা খাতের মালিকরা সাধারণত রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী।

এরফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলেও অনেক সময় সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে তা হয় না। তা ছাড়া ব্যাংক খাতের মতোই বিশাল এই ইন্স্যুরেন্স খাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পর্যাপ্ত জনবলের সংকটকেও দায়ী করছেন তারা। কর্মকর্তারা এতটাই অসহায় যে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক মতামত দিতে কেউ রাজি হচ্ছেন না।  

এ খাতের অনিয়মের চিত্র অনুসন্ধানকালে আমার সংবাদের কথা হয় কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে। এর মধ্যে একজন চাঁদপুরের মতলব উপজেলার শাহিনা আক্তার। ২০০৮ সালে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স বিমা করে তার স্বামী মো. বিপ্লব। ১০ বছর মেয়াদি বিমা পলিসি প্রিমিয়াম নিয়মিত জমা দিয়ে ২০১৮ সালে বোনাসসহ মূল টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বোনাস তো দূরের কথা, তিন বছর ঘুরেও জমাকৃত আসল টাকা তুলতে পারেননি তিনি।

পরে চলতি বছরের মার্চ মাসে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগের পর আইডিআরএর এক শীর্ষ কর্মকর্তার পরামর্শে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেন ওই গ্রাহক। কিন্তু টাকা না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করে চলেছে কোম্পানিটি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পাঁচ হাজার টাকার দাবি পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে তারা। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা সত্ত্বেও এক লাখের বড় দাবি পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু শাহিনা আক্তার নন, চাঁদপুরে এমন সহস্রাধিক গ্রাহক রয়েছেন যারা দীর্ঘদিন যাবত দাবির টাকা পাচ্ছেন না। ক্ষুব্ধ মানুষকে সামাল দিতে চেক দেয়া হলেও ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় চেক ডিজঅনার হচ্ছে। এতে বিপাকে উন্নয়নকর্মী ও কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে চাঁদপুরের শাখাটি বন্ধ করে দেয় সানলাইফ কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও বিমা কোম্পানির এই হয়রানি থেকে নিস্তার পাচ্ছে না। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল রিস্ক বিমা করে কানাডা-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত নান্নু স্পিনিং মিলস লিমিটেড। ওই বছরের ডিসেম্বরে একটি অগ্নিদুর্ঘনায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক ক্ষতি হলে নিয়মানুযায়ী বিমা দাবি পেতে আবেদন করে নান্নু স্পিনিং। এরপর গত তিন-চার বছর ধরে গ্রাহক প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকের অনুকূলে ঋণ প্রদানকারী ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাধিক্রমে সাত-আটবার চিঠি দিলেও অদ্যাবধি দাবির টাকা দেয়নি সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।

বিষয়টি নিয়ে আইডিআরএর কাছে অভিযোগ জানালেও মেলেনি প্রতিকার। মূলত নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ ও মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে গ্রাহকদের বিভিন্ন দাবির প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়াও আইন বহির্ভূত কমিশনবাণিজ্য, বাকিতে ব্যবসা, প্রিমিয়াম সংগ্রহের চুক্তিনামার ভুয়া কাগজ তৈরি, গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্য লোক নিয়োগ, শীর্ষ ব্যক্তিদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জালিয়াতি, কোম্পানির সম্পদ ক্রয়ে বড় ধরনের অর্থ লোপাট, বিশেষ করে জমি ক্রয়কালে দুই-তিনগুণ বেশি মূল্য দেখানো, অন্য সব পণ্য ও সম্পদ ক্রয়েও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি, একই ব্যক্তি একাধিক গাড়ি ব্যবহার, কোম্পানির গাড়ি পারিবারিক কাজে এমনকি রেন্ট-এ-কার’-এ ভাড়া খাটানো, কর্তাব্যক্তিদের কোম্পানি থেকে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা হাতানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বিমা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে।

খাত বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিমা খাত অনিয়মের মধ্যে চলে আসছিল। এ জন্য আইডিআরএ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তাৎক্ষণিক ওই সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়। এরই সুযোগে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কতিপয় কর্তাব্যক্তি নিজেদের অসদুদ্দেশ্য চরিতার্থে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর ওপর প্রভাব খাটান। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনিয়ম হলেও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেন না আইডিআরএ সেই কর্তাব্যক্তিরা। অবশ্য আইডিআরএ কর্মকর্তাদের নিয়ে এমন অভিযোগ হরহামেশাই ওঠে।

এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফারইস্ট ইসলামি লাইফ থেকে অবৈধভাবে অর্থ নেয়ার অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়া গেছে। শুধু তিনি একাই যে এই কাজে জড়িত ছিলেন, বিষয়টি তেমন নয়— আইডিআরএর বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই তখন এই অনিয়মে সহযোগী ছিলেন বলে জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও আইন অনুসারে অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ না করেও বিমা খাতে অনেকেই সিইও হয়েছেন। এসব জানার পরও নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি জনসম্মুখেও আসেনি এসব তথ্য। কিন্তু অডিট অধিদপ্তর পরবর্তীতে অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন প্রকাশের পর তথ্যগুলো গণমাধ্যমে এলে সবাই এ বিষয়ে জানতে পারে। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা এ ক্ষেত্রে আইডিআরএ অবহেলাকেই দায়ী করছেন।

তাদের মতে, সিইও হতে যখন নিয়ন্ত্রক সংস্থায় সব কাগজপত্র জমা দেয়া হয়, তখন সে সব তথ্যের বিষয়ে তেমন একটা যাচাই করে না আইডিআরএ। এ ক্ষেত্রে নিজেদের ওপর দায়ভার না নিতে তারা অনুমোদনকালে লিখে দেয়— উপস্থাপিত তথ্যের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে কোনোটি মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হলে তার পদ অপসারণ হবে। এছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানেই দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিত সিইও নেই। সে বিষয়ে তেমন জোরালো ভূমিকা রাখতে পারেনি সংস্থাটি। ফলে নিজেদের ইচ্ছেমতো সিইও নিয়োগ দিয়ে গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমার একাধিক সিইও এবং বিশ্লেষক জানান, বিমা খাতের এখনো সাত-আট জন সাবেক সিইও আছেন যারা সব দিক দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও বেকার জীবন যাপন করছেন।

আইডিআরএর উচিত ছিল অযোগ্যদের ব্যাপারে কঠোর হয়ে সাবেক ওই সিইওদের নিয়োগ দেয়া। তারা আরো বলেন, এখন বিমা খাতে এমন সিইও আছেন যাদের অপসারণ করতে আইডিআরএ নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো আইডিআরএর সেই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে যোগ্যতার শর্ত পূরণে ব্যর্থ ওই কর্মকর্তাদের পদে বহাল রেখেছে।

এতেই বোঝা যায়, আইডিআরএ বিমা খাতের উন্নয়নে কতটা সক্ষম। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে,  অনিয়ম দূর করার প্রথম ও প্রধান বাধা লোকবল সংকট। দেশে ব্যাংক ও নন-ব্যাংক প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ৯০টি। এগুলো মনিটরিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জনবল প্রায় ছয় হাজার। যেখানে শুধু সিনিয়র অফিসারই আছে তিন হাজার। পক্ষান্তরে ৮৩টি বিমা কোম্পানি মনিটরিংয়ে আইডিআরএর জনবল মাত্র ১৫৫ জন এবং অফিসার আছেন সর্বোচ্চ ৬৫ জন। দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার জনবল এমন ব্যবধান থাকলে কার্যক্রমেও ব্যবধান থাকবে এটিই স্বাভাবিক। এছাড়া দক্ষ জনবলের সংকটকেও অনিয়মের জন্য দায়ী করেন আইডিআরএর কর্মকর্তা ও বিমা খাতের বেশ কয়েকজন সিইও।

তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিমা কোম্পানিতে দক্ষ জনবল না আসার মূল কারণ বেতন কাঠামোর বৈষম্য। এখানে এন্ট্রি লেভেলে যে বেতন-ভাতা দেয়া হয় তা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে খুবই কম। ফলে দক্ষ ও মেধাবী জনবল এখানে আসে না। এ অবস্থা উত্তরণে আইডিআরএর মাধ্যমে একটা সমন্বিত রিক্রুটিং গাইডলাইন ও বেতন কাঠামো প্রণয়ন করা দরকার।

এদিকে বিমার শীর্ষ কর্মকর্তাদের (সিইও, সিএফও, সিএস, হেড অব ক্লেইম এবং হেড অব কমপ্লায়েন্স) চাকরির নিশ্চয়তায় কোম্পানিগুলোর গঠনতন্ত্র ও সার্ভিস রুলে সংস্কার আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, প্রায় প্রতিটি কোম্পানি তাদের গঠনতন্ত্র ও সার্ভিস রুলে কিছু ফাঁকিবাজির আশ্রয় নিয়ে থাকে। এসব বন্ধ করে যদি আইডিআরএর পক্ষ থেকে কিছু কঠিন শর্তারোপ করা যায় তবে এ ধরনের অনিয়ম বন্ধ হবে। এ জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আইডিআরএকে নির্দেশনা প্রদান জরুরি।

তারা আরো জানান, যেখানে অধীনস্ত প্রতিষ্ঠানের ভবনেই নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম চালাতে হয় সেখানে আইডিআরএর কার্যক্রম কিভাবে জোরালো হবে। প্রতিষ্ঠার প্রায় এক যুগ পরও কেন বিমা খাতের দীর্ঘদিনের অনিয়ম বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারেনি আইডিআরএ, খাত বিশ্লেষকদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় আইডিআরএর কাছে; কিন্তু সংস্থাটির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক এস এম শাকিল আখতার এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।   

Link copied!