ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad
আট ব্যাংকের প্রভিশন

ঘাটতি ২০ হাজার কোটি টাকা

রেদওয়ানুল হক

মে ৩০, ২০২৩, ১২:৩৫ এএম

ঘাটতি ২০ হাজার কোটি টাকা
  •  তিন মাসে বেড়েছে এক হাজার ১১১ কোটি টাকা
  • কমিশন গঠনে মতামত বিশ্লেষকদের
  • ঝুঁকিতে গ্রাহকের আমানত

ঋণমান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে আটটি ব্যাংক। ফলে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের আমানতে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ঋণ বিতরণে স্বচ্ছতা না থাকায় নির্ধারিত সময়ে কিস্তি পরিশোধ হয় না। এতে ঋণ মন্দ মানে পরিণত হয়। খেলাপি ঋণ অব্যাহত বৃদ্ধির ফলে এর বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যাংকের ওপর চাপ তৈরি হয়। তখন তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়। তাই ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষা ও  ঝুঁকি বিবেচনায় দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে আটটি ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। তিন মাস আগে এই ঘাটতি ছিল ১৯ হাজার ৪৮ কোটি টাকা; অর্থাৎ তিন মাসে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে এক হাজার ১১১ কোটি টাকা। খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকে আমানতের নিরাপত্তা কম। খেলাপি ঋণ, পুনঃতফশিল, প্রভিশন ঘাটতি সমস্যা সমাধানে একটি ব্যাংক কমিশন গঠন করা উচিত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চ শেষে সরকারি তিন ব্যাংক, বেসরকারি চার এবং বিশেষায়িত এক ব্যাংকের সামষ্টিক প্রভিশন ঘাটতির অঙ্ক ২০ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। কয়েকটি ব্যাংক প্রয়োজনের তুলনায় বেশি প্রভিশন সংরক্ষণ করায় পুরো ব্যাংক খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯ কোটি টাকা।

রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে সরকারি বেসিক ব্যাংকের। মার্চ শেষে ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা। এরপরই রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে অগ্রণী ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ছিল চার হাজার ১১ কোটি টাকা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে রূপালী ব্যাংক। তিন হাজার ৮০ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে ব্যাংকটি।

বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে নানা সমস্যায় জর্জরিত ন্যাশনাল ব্যাংকের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি। মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতির অঙ্ক সাত হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকা ব্যাংকের ৪৯৭ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ৩৬০ কোটি টাকা ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১৬০ কোটি টাকা। এছাড়া বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের (বিকেবি) প্রভিশন ঘাটতির অঙ্ক তিন কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক যদি প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের মূলধন ঘাটতিতে পড়ার শঙ্কা থাকে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে না। তাই শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হন।  এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ব্যাংকের ওপর। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় আমানত। এসব সমস্যা সমাধানে একটি ব্যাংক কমিশন গঠন করা উচিত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ মাস শেষে ব্যাংক খাতের মোট ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা; যা মোট ঋণের আট দশমিক ৮০ শতাংশ। অর্থাৎ উচ্চ খেলাপির ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ব্যাংক খাত। কারণ, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী খেলাপি ঋণের হার সর্বোচ্চ তিন শতাংশ সহনীয় বলে ধরা হয়। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। তিন মাস আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের হিসাবে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত নানা নীতিমালা কাজে আসছে না বলে মত ব্যাংকারদের। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদনকালে যেসব শর্ত দিয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিন শর্ত দেয়া হয়েছে ব্যাংক সেক্টর সংস্কার প্রশ্নে। এটি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়।

Link copied!