Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪,

সদরঘাটের দুর্ঘটনা

দুই লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল, ম্যানেজারসহ আটক ৫

আমার সংবাদ ডেস্ক:

আমার সংবাদ ডেস্ক:

এপ্রিল ১১, ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম


দুই লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল, ম্যানেজারসহ আটক ৫

সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পন্টুনে থাকা ৫ যাত্রী নিহতের ঘটনায় দুজন চালকসহ পাঁচজনকে আটক করেছে নৌপুলিশ। এছাড়া এমভি ফারহান-৬ ও এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান রুট পারমিট বাতিলের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর এই দুই লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

অবশ্য অভ‍্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী, দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানের ফিটনেস ও রুট পারমিট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকালে সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে শিশুসহ ৫ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন নারী, তিনজন পুরুষ ও একটি শিশু।

অপরদিকে সদরঘাটে তাসরিফ–৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে সেই রশির আঘাতে পাঁচজনের প্রাণহানির ঘটনায় পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদরঘাট নৌ থানা–পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম।

পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে যাদের—এমভি ফারহান–৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খাঁন (৭৬)। এই লঞ্চের ধাক্কাতেই লঞ্চ বাঁধার রশি ছিঁড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। হেফাজতে নেওয়া বাকি দুজন হলেন—এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৪)।

উল্লেখ্য, ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামক দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান-৬ নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচ জন যাত্রী লঞ্চে ওঠার সময় গুরুতর আহত হয়।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিআরইউ

Link copied!