রাজধানী ছাড়ছে মানুষ, কমলাপুরে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ছাড়ছে অসংখ্য মানুষ। দুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে টানা দশ দিনের ছুটি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ইতোমধ্যে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন রাজধানীবাসী। ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে নেমেছে ঘরমুখো মানুষের ঢল।

সকাল থেকে কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। স্টেশনে ঢোকার পথে যাত্রীদের তিন স্তরে টিকিট যাচাই করা হচ্ছে—প্রথমে প্রবেশমুখে, এরপর স্টেশন চত্বরে এবং সবশেষে প্ল্যাটফর্মে ওঠার আগে। যদিও অতিরিক্ত ভিড় রয়েছে, তবে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ট্রেনে উঠতে পারছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। এবার ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় না থাকায় যাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ভোর থেকে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ২২টি ট্রেন ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ৬টি কমিউটার এবং বাকিগুলো আন্তঃনগর ট্রেন। সর্বশেষ পঞ্চগড়গামী ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে। সারাদিনে মোট ৬৩টি ট্রেন ঢাকা ছাড়বে বলে জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের খবর পাওয়া যায়নি।

ঢাকা রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, “নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য—নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা।”

অনেক যাত্রীই জানিয়েছেন, এবার অনলাইনে সহজেই টিকিট কাটতে পেরেছেন এবং সময়মতো ট্রেন ছাড়ায় তারা সন্তুষ্ট। স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের জন্য বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে সারিবদ্ধ লাইন তৈরি করা হয়েছে। বিনা টিকিটে কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছেন না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চুরি-ছিনতাইসহ যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

স্টেশনের প্ল্যাটফর্মজুড়ে যাত্রীদের চোখেমুখে বাড়ি ফেরার আনন্দ। কেউ ট্রেনের অপেক্ষায়, কেউবা নির্ধারিত সিটে বসে রওনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যাত্রীরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার অনুভূতি অনন্য। অনেকেই দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরছেন। বিশেষ করে এবার দীর্ঘ ছুটি থাকায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে।

ঈদ উদযাপনের জন্য শান্তাহারগামী রুস্তম আলী বলেন, “প্রতি ঈদেই বাড়ি যাই। এবার ছুটি বেশি, তাই প্রস্তুতিও বেশি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারব, এটা ভেবেই খুব ভালো লাগছে।”

ইএইচ