Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সন্তানসম্ভবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর প্রতিনিধি

মে ১৪, ২০২২, ১০:৩০ এএম


ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সন্তানসম্ভবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে এক সন্তানসম্ভবা নারীকে ধর্ষণের পর ওই নারীর গর্ভফুল নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। আহত ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী কাজী পাড়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানালেও পুলিশ বলছে তারা কিছু জানেনা। অন্যদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিকটিমের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মে রাত সাড়ে আটটার দিকে একই গ্রামের সোবহান শেখ নামে এক ব্যক্তি পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে বাড়িতে এসে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামীকে কোমল পানিয় টাইগার ড্রিংক পান করায়। এরপর তারা দুজনে ঘুমিয়ে পড়লে ওই নারীর সম্ভ্রমহানি করা হয়। সকালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ওই নারীকে বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার আলট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। রির্পোটে তার গর্ভের সন্তান এবোরশন অবস্থায় রয়েছে দেখা যায়। বিষয়টি আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য তাকে শুক্রবার ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওই গৃহবধূর স্বামী জাহিদ মিয়া বলেন, একই গ্রামের মো. আবু বক্কর শেখের ছেলে  সোবহান শেখের (২৮) সাথে তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। একসাথে কাজ করার সুবাদে সোবহান তাদের বাড়িতে প্রায়ই আসতেন। সেদিন রাতে বাড়িতে এসে সোবহান তাদের দুজনকে টাইগার ড্রিংক পান করায়। এরপর তারা ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তাদের ঘুম ভাঙলে বিষয়টি টের পান তারা। তার স্ত্রী এসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

গৃহবূর মা নাছিমা বেগম বলেন, সোবহান শেখ আমার মেয়ে এবং জামাইকে টাইগার ড্রিংকের সাথে ঘুমের ওষুখ খাওয়ানোর পর অকাজ করে। এতে আমার মেয়ের গর্ভের দুই মাসের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে সোবহান আমাদের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন কোন অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানেন না। থানায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হতে ভিকটিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, তারা লিখতে পারেন না। তাই থানায় এসে একজনকে দিয়ে ওই অভিযোগটি লিখিয়ে নেন। এরপর ওই ব্যক্তি সেটি থানায় মামুন নামে এক ব্যক্তির কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানান। তবে বোয়ালমারী থানায় কর্মরত এসআই মামুন বলেন, তার কাছে কেউ এমন কোন অভিযোগ দেননি।

আমারসংবাদ/কেএস 

Link copied!