ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

‘ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা-সন্ত্রাসী বের হয়’

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম ব্যুরো

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ০২:২২ পিএম

‘ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা-সন্ত্রাসী বের হয়’

ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা বের হয় সন্ত্রাসী বের হয়। ছাত্রলীগ করতে করতে কিভাবে ছাত্রলীগ করতে হয় আমরা জানি। হাজার হাজার সংগঠক এইখান থেকে আমি (চট্টগ্রাম কলেজ থেকে) তৈরি করেছি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, হেডাম থাকলে সামনাসামনি দাঁড়াতে বলবেন। ফের বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি মাহমুদুল করিম (সভাপতি চট্টগ্রাম কলেজ) চৌধুরীকে আমার সাথে ফাইট করে দাঁড়াতে পারলে আমি রাজনীতিতে জুতার মালা পরে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে চলে যাব। চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অনুসারীদের মধ্যে  আধিপত্য বিস্তারের জন্য সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এই সময় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক উপরোক্ত কথাগুলো একটি অনলাইন টিভিতে বক্তব্য দেন।

তার বক্তব্য মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাবেক আহবায়ক পটিয়া কলেজ ছাত্রলীগ গোফরান রানা লিখেন, জানি না তাকে কে বা কারা সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছে? বক্তব্যটি শুনে মনে হল মেধাবীদের, ইতিহাস ঐতিহ্যের মেধাবী, সাহসী সংগঠনটি এভাবেই কি তারা কলংকিত করবেন? এদের নেতা কারা জানি না?  তবে দলের আর ও বড় ক্ষতি হওয়ার আগেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ছাত্রলীগকে সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কলঙ্কিত করল। এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না, সে যত বড় নেতাই হউক। খেয়াল রাখতে হবে এই সেই ছাত্রলীগ যার প্রতিষ্টাতা ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই কুলাঙ্গার সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হউক। সে যেন কোন প্রকারেই ছাড় না পাই, সেই প্রত্যাশাই থাকল। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সহ সভাপতি এইচ এম ইফরান চৌধুরী নয়ন লিখেন, একটা সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সন্ত্রাসী ও গুন্ডা বের করার সংগঠন বলে কি বুঝাতে চাই এই সাধারণ সম্পাদক? এরকম মুখের ভাষা একজন ছাত্রলীগের নেতার মুখে কোন রকম শোভা পাই না। ধিক্কার জানায় এমন নেতাকে যে কিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

চট্টগ্রামের সুশীল সমাজ রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ বিভিন্ন মহল বলছেন,আগামীর সোনার বাংলা বিনির্মাণে ছাত্রলীগের বিকল্প নেই। আর সেই ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা সন্ত্রাসী বের হয় বলে দেওয়া বক্তব্য জাতির জন্য খুবেই বেদনাদায়ক ও হুম্মকি। ছাত্রলীগ যদি গুন্ডা ও সন্ত্রাসী তৈরি করার মিশিন হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব হবে না। চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিকের বক্তব্যের পর ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক ছাত্রলীগ অনেক নেতারা সুভাষ মল্লিককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান।

তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী এই প্রতিবেদক বলেন, তার (সুভাষ মল্লিক) বক্তব্য প্রসঙ্গে জেনেছি। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের সাথে কথা হয়েছে। বক্তব্যটা সরাসরি শুনিনি বলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ, কয়েকদিন পরপরই পত্রিকার পাতার শিরোনাম হতে হয় চট্টগ্রাম কলেজকে। তবে সেটি ভালো রেজাল্ট করার জন্য না। কলেজ ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের জন্য। গত এক বছরেই কয়েকদফা সংঘর্ষে জড়ায় বিবাদমান  ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অনুসারীরা। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের গ্রুপটি হলো শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং সাধারন সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে চট্টগ্রাম কলেজে এসব সংঘর্ষের পিছনে যতনা ছাত্রলীগের কর্মীরা দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী স্থানীয় কাউন্সিলর টিনুর প্রভাব বিস্তারের মোহ। চট্টগ্রাম কলেজ ও চকবাজার কেন্দ্রীক সব ধরনের মারামারিতে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন থাকে টিনুর। মারামারির সময় নিজের অনুসারীদের বিভিন্নভাবে  সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে টিনুর বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কলেজে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অনুসারীরা। এতে সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হওয়া, কলেজ সাধারণ সম্পাদকের  আগ্রাসনী বক্তব্য এবং আহত শিক্ষার্থীদের আইনগত কোন বিচার না পাওয়া ও ভাংচুর ইত্যাদির পিছনে কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু বলেন, একজন দায়িত্বশীল ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে তার গতকালে বক্তব্য দুঃখজনক এবং অনুচিৎ।

সম্পৃক্ততার বিষয়ে বলেন, আমি দেশের বাইরে থাকলেও আমার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিরা আমাকে জড়িয়ে দিবেন। ছাত্রলীগ বা কলেজের ঘটনা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে আমার মাথা ঘামানো বা এলাক থেকে ছেলে পাঠাবো কেন। তিনিও ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের সাংগঠনিক শাস্তি ও যারা শিক্ষার্থীদের আহত করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

কেএস

Link copied!