Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪,

রংপুরে চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসী হামলা, থানায় মামলা

রংপুর ব্যুরো

রংপুর ব্যুরো

এপ্রিল ৪, ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম


রংপুরে চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসী হামলা, থানায় মামলা

রংপুর নগরীর ময়নাকুটি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ময়নাকুটি হিমাগারের স্বত্বাধিকারীরে কাছে চাঁদা দাবি করেন হারাধন রায় নামের এক ব্যক্তি। দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় দলবল নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর অভিযোগে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হিমাগারের স্বত্বাধিকারী নুর মোহাম্মদ।

এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় ময়নাকুটি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড স্বত্বাধিকারী নুর মোহাম্মাদের নিকট দীর্ঘদিন যাবত মোটা অঙ্কের অর্থ চাঁদা দাবি করে আসছে। এতে নুর মোহাম্মদ চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা জানালে কাউন্সিলর হারাধন রায় গত ১৮ মার্চ রাতে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অন্যায়ভাবে হিমাগারে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি গার্ড মাসুম আলী ও স্টোর কিপার শাহজালাল মিয়া ভিতরে ঢোকার বাঁধা প্রদান করলে কাউন্সিলর হারাধন রায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় সিকিউরিটি গার্ড মাসুম আলী ও স্টোর কিপার শাহজালাল।

হামলার শিকার মাসুম আলী বলেন, কাউন্সিলর হারাধন রায় একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির মানুষ, এর আগে সে ময়নাকুটি এলাকার মাদক সম্রাট ছিলেন, আমাদের মালিকের নিকট প্রায় সময় চাঁদাবাজি করতে আসতেন। ঘটনার দিন ওনাকে আমি কোলস্টোরেজের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি ফলে সে আমার উপর হামলা চালায়।

হিমাগারের ম্যানেজার রাকিবুল ইসলাম নিশাত বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মচারী কর্মকর্তা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিতমাসে মাসোহারা নিতেন হারাধন। এখন নতুন লোকজন তাকে মাসোহারা দেয়নি বলেই এ ঘটনার সূত্রপাত।

এবিষয়ে ময়নাকুটি হিমাগারের স্বত্বাধিকারী ও মামলার বাদী নুর মোহাম্মদ বলেন, সে গত মাসের ১৮ তারিখে এই সন্ত্রাসী হামলা চালায়, আমি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার পরেরদিন কাউন্সিলর হারাধন রায় ও তার সহযোগী পিপাস রায়সহ অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনকে আসামি করে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানায় এজাহার দায়ের করি।

মামলার আসামি কাউন্সিলর হারাধন রায় বলেন, ময়নাকুটি হিমাগারের সামনে যত্রতত্রভাবে আলুর ট্রাক রাস্তায় পার্কিং করে রাখছিল, এ নিয়ে আমি একটু রাগারাগি করি, এ নিয়েই তারা আমার নামে মামলা করে। আমি ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছি।

মামলার বিষয়ে রংপুর হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারেসুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলর হারাধন রায় ফোনে যোগাযোগ করে জানিয়েছে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। তবে অফিসিয়ালি এখন পর্যন্ত হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার কাগজপত্রাদি দাখিল করেন নাই।

ইএইচ

Link copied!