ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad
শতাধিক ঘর-বাড়ি বিলীনের আশঙ্কা

ফেনীতে বানের পানির স্রোতে তীব্র হচ্ছে নদী ভাঙন

ফেনী জেলা প্রতিনিধি:

ফেনী জেলা প্রতিনিধি:

সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ০২:১৩ পিএম

ফেনীতে বানের পানির স্রোতে তীব্র হচ্ছে নদী ভাঙন

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার ধকল কাটার আগেই ফেনীর কালিদাস পাহালিয়া নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।।এতে ঘর-বাড়ি বিলীনের আশঙ্কায় শতাধিক পরিবার উদ্বেগে রয়েছে।

বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের উত্তর নেয়ামতপুর গ্রামে বন্যার পানি নেমে গেলেও ক্ষতচিহ্ন দৃশ্যমান। রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা। মনির উদ্দিন ভূঞা বাড়ির বাসিন্দারা বন্যার পানিতে ভিজে যাওয়া কাপড়চোপড় শুকাতে ব্যস্ত।

এর মধ্যেও সবার চোখে-মুখে আতঙ্ক। বাড়ির পাশ ঘেঁষা কালিদাস পাহালিয়া নদী। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। ভাঙন রোধে নদীর পাড়ে ফেলা ব্লক ও জিও ব্যাগ পানির প্রবল স্রোতে তলিয়ে গেছে। ফলে সেখানকার অন্তত ১২০ পরিবারে আতঙ্ক রয়েছে।

মনির উদ্দীন ভূঞা বাড়ির বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন মালদ্বীপ থাকেন। ক’দিন আগে ঘরে বন্যায় পানি হাঁটুপানি নিমজ্জিত ছিল। এখন হঠাৎ বাড়ির পাশে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে পরিবার-পরিজন নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি।

জাহাঙ্গীর আলম নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানান, ক’দিন আগেও ঘরে ৪ ফুট উচ্চতা পানি ছিল। এখন ঘর-বাড়ি ভাঙলে আমরা কোথায় যাবো। ভাঙন ঠেকাতে দুই-একদিনের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলা জরুরি।

স্থানীয় বাসিন্দা কলেজ ছাত্র সাইমুন জানান, বর্তমানে বসতঘর থেকে ৭ ফুট দূরত্বে নদী চলে এসেছে। এখনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে শতাধিক ঘর-বাড়ি ও মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তিনি অদ্যাবধি কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।

স্থানীয়রা জানান, উত্তর নেয়ামতপুর এলাকা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী লেমুয়া এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে ফেনীস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে ছনুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ টংগীরপাড় এলাকার কালিদাস পাহালিয়া নদীর পাড় ঘেঁষে তৈরি হওয়া অন্তত ৫০ ঘর বিলীন হয়ে যায়। আরো শতাধিক ঘর বাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। মাথা গোঁজানোর শেষ সম্বল বসতবাড়ি বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে ঘুরে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় পেশকার বাড়ির রাকিব আফসার জানান, পার্শ্ববর্তী অন্তত ৫০টি ঘর বিলীন হয়ে যায় এবং শতাধিক ঘর এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

স্থানীয় আইয়ুব কোম্পানির ছেলে আজিজুল হাকিম পিয়াস জানান, এমন কিছু মানুষের ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়। যেটি ছিল তাদের শেষ সম্বল। তাদের লেমুয়া ব্রিজের পাশে থাকা দোকানপাটে ঘর হারানো কিছু মানুষ আশ্রয় নেয়।

আলী আজ্জম মোল্লা বাড়ির আরমান জানান, তাদের পিছনে অন্তত ১৫ ফুট বাড়ির জমি নদীতে বিলীন হয়ে যায় এবং ক্রমশ ভাঙন ঘরের দিকে এগোচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অতিদ্রুত নদী ভাঙন এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।

স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, নেয়ামতপুর, টঙ্গিরপাড় ও লেমুয়া ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে ভাঙনের দৃশ্য দেখেছি। ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি চলছে।

বিআরইউ

Link copied!