মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো
এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো
এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
চট্টগ্রামে ব্যাটারি রিকশায় শিশু মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে সর্বত্র চলছে আলোচনা সমালোচনা। সকল গণমাধ্যমে ভালোভাবে জায়গা করে নিয়েছে ব্যাটারি রিকশা।
রবিবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিক্সাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ অভিযান পরিচালনা করছেন এবং বিদ্যুৎ বিভাগ আংশিক অভিযান পরিচালনা করছেন। পরিচালিত অভিযানকে লোক দেখানো অভিযান বলে অভিযোগ তুলেছেন রিকশা চালকরা। ট্র্যাফিক বিভাগে জরিমানা পরিশোধ করার পর ফের দাপট দেখাবেন সড়কে।
দৈনিক আমার সংবাদের সাথে কথা বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির মজুমদার। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগকে নাড়া দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের সাথে যৌথ এবং আমাদের নিজস্ব আংশিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন তাদের বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে।এখানে বাণিজ্যিকভাবে আমরা বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আমাদের করার কিছুই নেই। বিদ্যুৎ দিয়ে আমরা রাজস্ব পাচ্ছি। যদি তাদের আমরা বিদ্যুৎ না দিতাম তাহলে চুরি করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতো। এতে আমাদের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতাম। বৈধ অনুমোদন নিয়ে মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি আছে এমন কর্মকাণ্ডে আপনাদের কিছু করণীয় আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমাদের হাত পা বন্ধ। আমরা নিয়ম মতো বিদ্যুৎ দিই। আপনারা সিটি কর্পোরেশনকে বলেন।ট্র্যাফিক বিভাগ অভিযান পরিচালনা করার পর থেকে খোশ মেজাজে দেখা গেছে প্যাডেল চালিত রিকশা চালকদের এবং সিএনজি ট্যাক্সি চালকদের।
অপরদিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের চিন্তার ভাজ উপলব্ধি করা গেছে।প্যাডেল চালিত রিকশা চালক ও সিএনজি ট্যাক্সি চালকদের সাথে কথা বললে জানতে পারি, ব্যাটারি চালিত রিকশা চালকদের দাপটে খেয়ে না খেয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছে তাদের। ৭০% ভাড়া তাদের কমে গিয়েছিল।আজ রবিবার সকাল থেকে ভালো টাকা আয় করেছেন বলেই জানান।
অপরদিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা অভিযোগ করেন, পুলিশের তাদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করেন।শিশু মৃত্যুর ঘটনা ও যেকোনো দুর্ঘটনা তাদের কাদায়।পরিবার নিয়ে ডাল ভাত খাওয়ার কোনো উপায় না পেয়ে ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে সড়কের নেমে পড়ে।সরকার তাদের কর্মসংস্থান না করে হুট করে পুলিশি অভিযান করার মাধ্যমে পেটে লাথি মারেন।আমরা কি এ দেশের জনগণ নয়।
ট্র্যাফিক বিভাগের উপ-পুলিশকমিশনার(ট্রাফিক-উত্তর) নেছার উদ্দিন আহমেদ কথা বলেন দৈনিক আমার সংবাদ এর সাথে, তিনি শুরুতেই বলেন ব্যাটারি চালিত রিকশা সম্পূর্ণ অবৈধ।তাদের আটক করে ২৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করে ফের ছেড়ে দিতে হয়।সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কোন নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত একেবারে আটক রাখা সম্ভব না। অন্যদিকে আমাদের ডাম্পিং প্লেস না থাকাই রাখা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে প্রশ্ন,কিসের ভিত্তিতে শিল্পকারখানার মতো বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন। অনুসন্ধানে ব্যাটারিচালিত রিকশার সাথে থেকে লাভবান হচ্ছেন, ট্র্যাফিক বিভাগ বিদ্যুৎ বিভাগ ও রাজনৈতিক নেতা। ট্র্যাফিক বিভাগ মামলা দিয়ে দুই হাজার ৫শ টাকা রাজস্ব জমা দেন বলে জানান।
তবে ব্যাটারি চালিত রিকশা চালক বলেন,কম হলে ৫ হাজার টাকা দিতে হয়।এলাকাভিত্তিক চালানোর জন রাজনৈতিক নেতাদের দিতে হয় মাসিক চাঁদা। ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে গুনতে হয় আলেদা টাকা। সব অতিরিক্ত টাকা যায় যাত্রীর পকেট থেকে। একাধিক খাত সুবিধা পাওয়ার ফলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডাক্তার শাহাদাত হোসেন বলেন, অ্যাকশান শুরু হয়ে গেছে আগামীতে আরো দেখবেন।
আরএস