নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৪, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৪, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
আর মাত্র দুদিন পরে মুসলিম উম্মাহ উদযাপন করতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির পশুর প্রস্তুতির পাশাপাশি দেশজুড়ে সরগরম হয়ে উঠেছে গরম ও কাঁচা মসলার বাজার।
রাজধানীর শ্যামবাজার, কাপ্তান বাজার, চকবাজার ও কাওরান বাজারসহ বড় পাইকারি বাজারগুলোতে মসলা বেচাকেনা এখন জমজমাট।
বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরম মসলার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার বেশিরভাগ মসলার দাম কিছুটা কম, ফলে বাজারে স্বস্তির হাওয়া বইছে।
পাইকারি বাজারগুলোতে প্রতি কেজি গরম মসলার সর্বশেষ দর ছিল—এলাচ ৪,১০০ টাকা, দারুচিনি ৩৮০ টাকা, লবঙ্গ ১,২০০ টাকা, জিরা ৫০০ টাকা, জয়ত্রি ২,৬০০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১,৬০০ টাকা, কালো গোল মরিচ ১,৪০০ টাকা, কিশমিশ ৬০০ টাকা, কাঠবাদাম ১,২০০ টাকা, কাজু বাদাম ১,৭০০ টাকা, গুড়া মরিচ ৩৬০ টাকা এবং হলুদ ৩৫০ টাকা। তুলনামূলকভাবে এগুলোর দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শুধু শুকনো মসলাই নয়, কাঁচা মসলার দামে এবার রয়েছে হাতের নাগালে স্বস্তি।
বর্তমানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, রসুন ১৫০ টাকা এবং আদা ১৫০ টাকা কেজি দরে—যা গত বছর এই সময় ছিল যথাক্রমে ৮০, ২২০ ও ২৪০ টাকা।
চকবাজারে কোরবানির জন্য মসলা কিনতে আসা আজিজুল হক বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার মসলার বাজার একটু সহনীয়। তবে ভালো মানের মসলা কিনতে হলে দাম একটু বেশি দিতে হচ্ছে, এটা স্বাভাবিক।”
অন্যদিকে কাপ্তান বাজার থেকে মসলা কিনে বাড়ি ফিরছিলেন রাইসুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “পেঁয়াজ আর রসুনের দাম কম থাকায় ঘরোয়া বাজার ভালোভাবে সেরে ফেলতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত ঈদের বাজার স্থিতিশীল মনে হচ্ছে।”
মসলার দোকানদার ইমদাদুল হক বলেন, “বাজারে চাপ বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু আমরা অনেক সময় আগের বেশি দামে কেনা মসলা কম দামে বিক্রি করছি। তবুও আশা করছি ঈদের আগের দুই দিনে বিক্রি আরও বাড়বে।”
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে চকবাজার মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন বলেন, “এবার মসলার বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব নেই বললেই চলে। আমদানি পর্যাপ্ত হওয়ায় সংকট দেখা দেয়নি। কোরবানির ঈদের তিন মাস আগেই ব্যবসায়ীদের কাছে মসলা পৌঁছেছে।”
সার্বিকভাবে বলা যায়, কোরবানির আগমুহূর্তে মসলার বাজারে এবার একদিকে সরবরাহ স্বাভাবিক, অন্যদিকে দামে কিছুটা স্বস্তি থাকায় সন্তুষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই।
ইএইচ