Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪,

রাবিতে ৭০ বছরে ১১ সমাবর্তন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

রাবি প্রতিনিধি

রাবি প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩, ০৭:০২ পিএম


রাবিতে ৭০ বছরে ১১ সমাবর্তন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রতিষ্ঠার প্রায় ৭০ বছর পেরিয়েছে। সমাবর্তন হয়েছে মাত্র ১১ বার। প্রতি বছরে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার নিয়ম থাকলেও তা হচ্ছে না। এতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

মূল সনদপত্রের পরিবর্তে সাময়িক সনদপত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হচ্ছে ডিগ্রিধারীদের। নিয়মিত সমাবর্তন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেক শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে। সর্বশেষ অর্থাৎ একাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর।

প্রথম সমাবর্তনের পর ১৯৫৯, ১৯৬১, ১৯৬২, ১৯৬৫, ১৯৭০, ১৯৯৮, ২০১২, ২০১৫, ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম সমাবর্তন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হতাশা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী সিফাতুল্লাহ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গৌরবের সাথে পাড়ি দিয়েছে দীর্ঘ ৬৯ বছরের পথ।

তবে প্রায় সাত দশকের এই সময়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র ১১টি সমাবর্তন। এটা আসলেই হতাশাজনক। যার ফলে আমার আনুষ্ঠানিকভাবে মূল সনদ গ্রহণের সুযোগ হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিকতা সদিচ্ছাকে দায়ী করে সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মেফতাহুল জান্নাত মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য এক পরম চাওয়ার নাম সমাবর্তন। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর একজন শিক্ষার্থীর কাছে সমাবর্তন মানে দারুণ উপভোগ্য এক অনুভূতি।

কালো রঙের গাউন-টুপি পরে শিক্ষা সনদ গ্রহণ করা গ্র‍্যাজুয়েটদের জন্য বিশেষ একটি মুহূর্ত। সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি আমরা। এটা কর্তৃপক্ষের বড় ব্যর্থতা। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি দ্রুত আমাদের সমাবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লা বলেন, প্রতি বছরই স্নাতক, স্নাতকোত্তর পাস করে শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখছে।

সেই শিক্ষার্থীরা চায় শিক্ষাজীবন শেষে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সনদ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে। তবে দুঃখের বিষয়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনিয়মিত হওয়ায় আমরা সেই সৌভাগ্য অর্জন করার সুযোগ পায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে সমাবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আসতে পারলে আমরা খুশি হবো। উনি যতক্ষণ সম্মতি না দিচ্ছে ততক্ষণ তো আমরা তারিখ ঘোষণা দিতে পারছি না। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি যাতে সমাবর্তন তাড়াতাড়ি অনুষ্ঠিত হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি যতক্ষণ না অনুমতি দিচ্ছে আমরা আয়োজন করতে পারছি না।’

এআরএস

Link copied!