Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে অসহায় সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়াতে চান দীপ্ত

জবি প্রতিনিধি

জবি প্রতিনিধি

মে ২৭, ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম


প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে অসহায় সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়াতে চান দীপ্ত

গুচ্ছের সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে মায়ের হাত ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে এসেছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দীপ্ত বিশ্বাস। শনিবার (২৭ মে) শ্রুতিলেখক সাব্বির ইসলামের সহায়তা নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি।

দীপ্তর মা দীপিকা রাণী সরকার বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর। চাকরির সুবাদে এখানে থাকা। ছোটবেলা থেকেই আমার বড় ছেলে দীপ্তর রেটিনাতে সমস্যা। ডাক্তাররা জানিয়েছে দীপ্ত একসময় সম্পূর্ণরূপে অন্ধ হয়ে যাবে। যন্ত্র ব্যবহার করে শ্রুতি লেখক ছাড়াই দীপ্ত এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু চোখের অবস্থা এখন আরো খারাপ। এত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও দীপ্ত অনেক ভালো করেছে। দীপ্তর বাবা আর আমি দুজনেই চাকরি করি। ওকে যথাসাধ্য সময় দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের আরেকটি ছেলে আছে ও এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, দীপ্তর বাবা আর আমি চায় দীপ্তর যেটা হওয়ার ইচ্ছা ও যেন সেটাই হয়। দীপ্ত একজন ভালো মানুষ হোক এবং দেশের জন্য কিছু করুক। এটাই আমাদের চাওয়া।

এবিষয়ে দীপ্ত বিশ্বাস বলেন, পরীক্ষা ভালো হয়েছে। প্রশ্ন মানসম্মত হয়েছে । শর্ট সিলেবাস থেকেই প্রশ্ন হয়েছে। ৭০ টি প্রশ্নের মত উত্তর করেছি। আশা করছি এখানে চান্স হবে।

শিক্ষাজীবন সম্পর্কে দীপ্ত বিশ্বাস বলেন, ২০২০ সালে নারিন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে মাধ্যমিক (এসএসসি) পাশ করি। পরবর্তীতে ভর্তি হই কবি নজরুল সরকারি কলেজে । সেখান থেকে ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) শেষ করি। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি।

দীপ্ত বিশ্বাস আরো বলেন, আমার ইচ্ছা বড় হয়ে আমি একজন শিল্পপতি হব। আমার মত যারা প্রতিবন্ধী ও অসহায় আছে এবং যারা সুবিধাবঞ্চিত তাদের পাশে দাঁড়াব। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিব।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম বলেন, ‘আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ববস্থায় দীপ্ত বিশ্বাসের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। কোনো অসুবিধা যাতে না হয় সেজন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, সি ইউনিট তথা ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে মোট আবেদন জমা পড়েছে ৩৯ হাজার ৮৬৪ টি। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে সি ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ৩৪৯৬ টি। আসন প্রতি লড়েছেন ১২ জন ভর্তিচ্ছু।

আরএস
 

Link copied!