Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

উচ্চশিক্ষা প্রসারে আগে সক্ষমতা তৈরির পরামর্শ ইউজিসি’র

মো. মাসুম বিল্লাহ

আগস্ট ২৮, ২০২৩, ০৫:০১ পিএম


উচ্চশিক্ষা প্রসারে আগে সক্ষমতা তৈরির পরামর্শ ইউজিসি’র

উচ্চশিক্ষা প্রসারে আগে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতা তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

তিনি বলেন, দেশে অনেক সময় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই ছাড়াই বিভিন্ন বিষয়ের ওপর উচ্চশিক্ষা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে নানা সংকট তৈরি হচ্ছে ও শিক্ষার মান নিম্নমুখী হচ্ছে। কাজেই, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সক্ষমতা তৈরি করে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করা উচিত।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কর্মপরিকল্পনার বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন পর্যালোচনা সংক্রান্ত একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সোমবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউজিসির উপসচিব ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামান।

প্রফেসর আলমগীর বলেন, কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট তৈরি করে হল নির্মাণ করা হচ্ছে। এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। একাডেমিক মাস্টার প্লান অনুযায়ী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে।

প্রফেসর  আলমগীর আরও বলেন, সরকার প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গুণগত শিক্ষা ও মানসম্মত গবেষণা পরিচালনা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য বলে তিনি জানান। 

তিনি বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।  কিভাবে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা যায় ও গ্রাজুয়েটরা যাতে বিশ্ব চাকরি বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যেন গবেষণামুখী হয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা প্রকাশিত হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষকে তিনি বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে কোন ধরনের র্যা গিং এবং শিক্ষার্থী নির্যাতন না হয় সেদিকে কঠোর দৃষ্টি দিতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিবেচনায় নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে ফেরদৌস জামান বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্য বাস্তবসম্মত এবং এসব লক্ষ্য যথাযথভাবে অর্জনের পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, সরকার ভালো কাজের পুরস্কার স্বরূপ শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রবর্তন করেছে।

প্রশিক্ষণে ইউজিসি’র জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও নৈতিকতা কমিটির ফোকাল পয়েন্টগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় কর্মপরিকল্পনার বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করা হয়।

এইচআর

Link copied!