যবিপ্রবি প্রতিনিধি
আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানার নির্দেশে হামলার পরিকল্পনা এবং ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুলিশে হস্তান্তর করেছেন। এ সময় তাদের মোবাইলে প্রায় ২০টি আইডি থেকে নাশকতার পরিকল্পনার প্রমাণ পাওয়া যায়।
আটক হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন—ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের সহ-সভাপতি নাইম আশরাফি সজীব এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াদ রায়হান।
রোববার রাত ৪টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার রাতে রিয়াদ রায়হানের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে আটক করে মোবাইল চেক করলে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা, কিছু শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রস্তুতি এবং ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের প্রমাণ পাওয়া যায়। তার মেসেঞ্জারে নাইম আশরাফি সজীবের সাথে ক্যাম্পাস সংক্রান্ত ষড়যন্ত্রের কথোপকথনের তথ্যও ধরা পড়ে। এছাড়া ফেক আইডি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি প্রদানের প্রমাণও মিলেছে।
আটক রিয়াদ রায়হান স্বীকার করেছেন, তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের পর আবার কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতার সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ক্ষমা চেয়ে জানিয়েছেন, আর তিনি এসব কাজে জড়িত হবেন না।
ইতোমধ্যে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত করেছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং মব জাস্টিস প্রতিরোধ করতে প্রশাসনের সহায়তায় কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
যবিপ্রবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাফিউল হাসান বলেন, “আমরা তাদের সকল প্রকার মব জাস্টিস থেকে রক্ষা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। পরে প্রক্টরিয়াল বডির মাধ্যমে লিখিতভাবে তাদের পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. উমর ফারুক বলেন, “ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সতর্ক থাকায় আমরা ঘটনার সময় সরাসরি উপস্থিত ছিলাম এবং মোবাইলের সূত্র ধরে অভিযুক্তদের আটক করতে সক্ষম হই।”
যশোর কোতয়ালী থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
ইএইচ