ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

পাকিস্তান পুলিশের শীর্ষপদে প্রথম হিন্দু নারী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুলাই ৩০, ২০২২, ০১:৪৬ পিএম

পাকিস্তান পুলিশের শীর্ষপদে প্রথম হিন্দু নারী

প্রথম হিন্দু নারী হিসেবে পাকিস্তানে পুলিশের ডেপুটি সুপার পদে নিয়োগ পেয়েছেন মনীষা রূপেতা। পাকিস্তান পুলিশের এত উঁচু পদে কোনো হিন্দু নারী এর আগে বসেননি।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা ও দ্য ওয়াল।

মনীষা রুপেতার বর্তমান বয়স ২৬। সিন্ধু প্রদেশের জেকোবাবাদের বাসিন্দা। ১৩ বছর বয়সে তিনি তার পিতাকে হারান। তিনি ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। পিতার মৃত্যুর পর তার মা সংসারের দায়িত্ব। চলে আসেন করাচিতে। 

মনীষার তিন বোন চিকিৎসক। ভাইও ডাক্তার হওয়ার জন্য পড়াশোনা করছেন। সিন্ধু পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ১৫২ জন সফল পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৬তম স্থান অধিকার করেন। 

তার অন্যান্য ভাইবোনেরা ডাক্তারি পড়ছেন। মনীষাও এমবিবিএস পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু মাত্র এক নম্বরের জন্য ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে ছিটকে যান। 

তাতে অবশ্য দুঃখ পাননি মনীষা। তার ইচ্ছা ছিল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসা। আপাতত পাকিস্তান পুলিশের উর্দি উঠবে তার গায়ে। 

পুলিশের ট্রেনিং শেষে লিয়ারির মতো অপরাধপ্রবণ এলাকায় কাজে যোগ দিয়েছেন মনীষা।

মনীষা বলছেন, রক্ষণশীলতা ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কঠোর নীতির বিরুদ্ধেই তার লড়াই চলবে। এ দেশে প্রশাসনিক পদে লিঙ্গবৈষম্য প্রবল। মহিলাদের ওপর নির্যাতনের মাত্রাও বেশি। সেখানে প্রথম তিনিই হবেন মহিলা রক্ষক। 

লিঙ্গবৈষম্য ঘুচিয়ে মহিলাদের অধিকার দেওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। যদি পাকিস্তানে এমন গুরুদায়িত্ব পালন করা সহজ ব্যাপার নয় বলেই মনে করছেন অনেকে। 

একজন মহিলা হয়ে তাও আবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের, প্রশাসনিক শীর্ষ পদে টিকে থাকাটাই চ্যালেঞ্জের। মনীষা কতদিন সেই চ্যালেঞ্জ সামলাতে পারেন সেটাই দেখার বিষয়।

এর আগেও অবশ্য পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সরকারি পরীক্ষায় পাস করে পাকিস্তানের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে (পিএএস) পাস করেছিলেন হিন্দু পরিবারের সানা রামচাঁদ। 

এটিই পাকিস্তানের প্রশাসনিক পরীক্ষাগুলির মধ্যে কঠিনতম বলে ধারণা করা হয়। এই পরীক্ষায় পাস করেন মাত্র ২ শতাংশ পরীক্ষার্থী। 

এই পরীক্ষায় পাস করতে পারলে পরের ধাপে পাকিস্তান পুলিশ সার্ভিস, ফরেন সার্ভিসে নিয়োগ করা হয়। সানা সেখানে সফল হয়েছিলেন।

 

আমারসংবাদ/টিএইচ

Link copied!