মে ১১, ২০২২, ১০:০৮ এএম
বরগুনায় স্বামীকে তালাক না দিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়া জামালপুরের তরুণীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহবুব আলম এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, ওই তরুণীর স্বামী ও সন্তান আছে। তিনি বর্তমান স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই আরেকজনকে বিয়ের দাবি নিয়ে তাদের বাড়িতে গেছেন। তিনি একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে তাদের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
বিষয়টি আদালতের নজরে এনে আবেদন করেছিলাম। বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে জাস্টিস অব দ্যা পিস আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বেতাগী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বেতাগী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদার জানান, এখনো আদেশ হাতে পাইনি। আদেশ পাওয়ার পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল বরগুনার চান্দখালির কাঠপট্টি এলাকার মাহমুদ হাসানের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন জামালপুরের এক তরুণী। তাকে দেখে মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাসায় তালা লাগিয়ে গা-ঢাকা দেন।
এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে যান ওই তরুণী। এর দশদিন পর প্রেমিক মাহমুদের বাবা মোশাররফ হোসেন তরুণীর আগের স্বামীকে তালাক দেয়ার কাগজ দেখানোর শর্তে হাসানের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হন। কিন্তু ওই তরুণী তালাকের কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হন।
তরুণী জানান, জামালপুরের সরিষাবাড়িতে তাঁর গ্রামের বাড়ি। তিনি ঢাকার উত্তরায় থাকেন এবং সেখানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে অধ্যায়নরত।
তরুণী বলেন, 'আমি বাধ্য হয়ে এখানে এসেছি। ও আমায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। গত তিন বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক। আমি সর্বস্ব খুইয়ে এখন নিরূপায় হয়ে এখানে এসেছি। বিয়ে করে স্ত্রীর মর্জাদা দিয়ে ঘরে না তুললে আত্মহত্যা করব।