Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪,

খুলনায় মুঞ্জির মাস্টার হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন

মো. মাসুম বিল্লাহ

জুন ৩০, ২০২২, ০৪:৩৩ পিএম


খুলনায় মুঞ্জির মাস্টার হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন

খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানার মাত্তমডাঙ্গা এলাকার আলোচিত সরদার মুঞ্জির আহমেদ মাস্টার হত্যা মামলায় ২ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। 

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-আনোয়ার হোসেন ও আশরাফ আলী। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় ওই দু'জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি কে এম ইকবাল হোসেন বলেন, এ মামলার চার্জশিটভুক্ত ১২ জন আসামির মধ্যে ৩ জন বিচার চলাকালে ক্রসফায়ারে নিহত হয়। ১ জনকে রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় অব্যাহতি দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাকি ৬ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মুঞ্জির মাস্টার মাতমডাঙ্গা এলাকার শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। স্থানীয় এজিএম যুব সংঘের সদস্য ছিলেন।

চরমপন্থি দল পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা মুঞ্জির মাস্টারের কাছে চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। তারা তাকে হত্যার করারও হুমকি দেয়।

২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মুঞ্জির মাস্টার মাতমডাঙ্গা যুব সংঘের ভেতরে ছিলেন। রাত সোয়া ৯ টার দিকে কয়েকজন সন্ত্রাসী যুব সংঘের ভেতরে প্রবেশ করে বোমা হামলা চালায়।

এতে গুরুতর আহত মুনজির মাস্টারকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত ১ টার দিকে তিনি মারা যান। 

নিহতের ভাই বেনজীর আহমেদ বাদি হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে খানজাহান আলী থানায় হত্যা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করেন।

এ দু'টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন খানজাহান আলী থানার এস আই মো: ফারুকুল ইসলাম। তিনি একই বছরের ১২ ডিসেম্বর বিস্ফোরক ও ২০০৬ সালের ৩০ জুন হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

আমারসংবাদ/এআই 

Link copied!