ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

উন্নয়নের ভীত শক্ত করতে তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি জরুরি

ড. জান্নাতুল ফেরদৌস

ড. জান্নাতুল ফেরদৌস

জানুয়ারি ২৫, ২০২৩, ০৬:২৫ পিএম

উন্নয়নের ভীত শক্ত করতে তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি জরুরি

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্য বাজেট উত্থাপিত হয় ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। এতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার। প্রশ্ন হলো এত বৃহদাকার বাজেটে তরুণদের কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব গুছতে বড় পরিসরে উদ্যোগ রয়েছে কিনা।

অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বা গড় আয়ু বাড়লেও আদতে দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। বিভিন্ন সূত্রে দেখা যাচ্ছে প্রতিবছর বরং বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। দেশের শ্রমবাজারে বার্ষিক নতুন মানুষের সংযোজন ঘটে ২০ থেকে ২১ লাখ এবং প্রতিবছর কেবল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলো থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ৬৬ শতাংশই বেকার থাকে। এই বাস্তবতায় দেশে বর্তমানে শিক্ষিত তরুণদের ৪৭ শতাংশই বেকার থাকছে।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, করোনার আগে থেকেই দেশে শিক্ষিত বেকারের হার বাড়ছিল। করোনার দুই বছরে ঠিক কতজন চাকরি বা উপার্জন হারিয়েছেন তার সঠিক হিসাব পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জরিপ ও পর্যবেক্ষণ থেকে ধারণা মেলে যে, এই সংখ্যা ২ থেকে ৩ কোটির মতো হবে, যাদের একটি বড় অংশ আর কাজ ফিরে পায়নি। হতাশা, অপরাধপ্রবণতা, মাদকের নেশা এবং সামাজিক অস্থিরতার পেছনে দীর্ঘ বেকারত্বকেই অনেকে দায়ী করছেন।

তবে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ এবং নানা সুযোগ সুবিধা প্রদান এখন অবধারিত হয়ে ওঠেছে। যুবদের প্রশিক্ষণ, যুবদের জন্য আইসিটির বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও যুব উদ্যোক্তা তৈরি করে কর্মসংস্থান এবং আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এটি এখন জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের জন্য। কোভিড ১৯ এর ছোবলে দেশের অর্থনীতি ক্ষত-বিক্ষত হলেও এখন পুরো উদ্যমে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চলছে।

এই মুহূর্তে বৃহত্তর তরুণ ও যুবক জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি অন্যতম একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০১৯-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৪.৯৯ শতাংশ। তবে যুবসমাজের বেকারত্বের হার ১১.৯ শতাংশ, জাতীয় গড়ের আড়াইগুণেরও বেশি। মোট বেকারত্বের মধ্যে বেকার যুবকদের সংখ্যা ৭৯.৬ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি এবং অর্থনীতিবিদরা এখন ভবিষ্যদ্বাণী করছেন আসন্ন বছরগুলোতে এই হারটি লাফিয়ে ওপরের দিকে উঠতে পারে। ২০১৯ সালের বিশ^ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতি তিনজন স্নাতকের মধ্যে একজন বাংলাদেশে বেকার রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

দেশের সবচেয়ে বড় চাকরির বিজ্ঞাপনের সাইট বিডিজবস-এর তথ্যমতে, তৈরি পোশাক খাতের কর্মসংস্থানে আগস্ট ২০২২-এর পর নেতিবাচক ধারা শুরু হয়েছে; কমছে চাকরির বিজ্ঞপ্তি, শূন্য পদ এবং বিজ্ঞাপন দানকারী কোম্পানির সংখ্যাও।

২০২২ সালের শেষ চার মাসে, পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় চাকরির বিজ্ঞাপনের সংখ্যা কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ ও শূন্য পদ কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ। এ সময় কর্মী খোঁজা কোম্পানির সংখ্যা কমেছে প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর ২০২২ সময়কালে বিডিজবস সাইটে তৈরি পোশাক খাতের ১ হাজার ২৫৫টি কোম্পানি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। মোট চাকরির পদসংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৪৮, শূন্য পদ ৫ হাজার ৩৯৩। যদিও ২০২১ সালের শেষ চার মাসে বিডিজবস সাইটে তৈরি পোশাক খাতের ১ হাজার ৩৫৮টি কোম্পানি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চাকরির পদসংখ্যা ছিল ৪ হাজার ২০০, শূন্য পদ ছিল ৬ হাজার ৮১০।

বেসরকারি হিসেবে প্রায় ৬০ লাখ উচ্চ শিক্ষিত বেকার, সঙ্গে শুরু হয়েছে স্বল্প দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমবাজারের বেকারত্ব। একদিকে কর্ম তৈরির সরকারি কৌশলের অভাব, অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও ডলার-সংকট, বেসরকারি ঋণ ও বিনিয়োগ খাতে পাচার এবং কেলেঙ্কারিজনিত মন্দার থাবা। দক্ষতা তৈরিতে শিল্পে ও শিক্ষালয়ে ট্রেনিং পরিকল্পনা নেই। দেশের বেকারত্বের কেন্দ্রীয় ডেটাবেইস ও চাকরি তৈরির মাসিক ড্যাশবোর্ডও নেই। ফলে আদতে সরকার ও পরিসংখ্যান ব্যুরো বেকারত্ব পরিস্থিতি নিয়ে অন্ধকারে।

করোনার অভিঘাতের পরে দেশে চাকরিচ্যুত হয়েছিল শতকরা ৩৬ জন মানুষ। অনেকের চাকরি থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত বেতন-ভাতা পাননি। তবে সঙ্কটকালে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সার্বিক সুরক্ষা ও জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য উন্নয়ন কার্যক্রম এবং জনবান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল সরকার। স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতির চাকা চলমান রাখতে কিছুটা হলেও অবদান রেখেছিল।

তবুও সম্প্রতি ব্রাক ইন্সস্টিটিউট অব গর্ভনেন্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট‍‍`র (বিআইজিডি) এক জরিপে বলা হয়, নতুন করে ৩ কোটি ২৮ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের কাতারে যুক্ত হয়েছে। করোনার প্রথম চার মাসেই বেকারত্ব বেড়েছিল ১০ গুণ। আর্থিক সঙ্কটে পড়া ৪৬ দশমিক ২২ শতাংশ পরিবার সঞ্চয় ভেঙে এবং ৪৩ শতাংশের বেশি পরিবার আত্মীয়-স্বজনের সাহায্য-সহায়তার ওপর নির্ভর করে সংসার চালিয়েছে।

আবার অভিবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও করোনার পরে সেটিও হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৬২ শতাংশে। কোভিড-১৯-এর অভিঘাতের আগেই যুবকদের অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ থেকে ২৪ বছর বয়সি যুব বেকারত্বের হার ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। বিআইডিএস এক গবেষণায় দেখিয়েছে, শিক্ষিত যুবকদের প্রায় ৩৩ শতাংশই ছিল বেকার। আইএলও ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের যৌথ প্রতিবেদন বলছে, করোনার কারণে বাংলাদেশে ১১ দশমিক ১৭ লাখ থেকে ১৬ দশমিক ৭৫ লাখ যুবক বেকার হতে পারে।

এছাড়াও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৮২ লাখ। এর মধ্যে কর্মোপযোগী মানুষের সংখ্যা ছিলো ১০ কোটি ৯১ লাখ। আর কাজে নিয়োজিত আছেন ৬ কোটি ৮ লাখ। বাকি ৪ কোটি ১১ লাখ কাজের বাইরে রয়েছেন। আইএলও জানিয়েছে, ২০২৩ সালেও কর্মবাজারে করোনার প্রভাব থাকবে। তার ফলে ধরে নেওয়া যায় যে, বাংলাদেশে সামগ্রিক বেকারত্বের হার আরও বাড়ার শঙ্কাই বেশি। সাম্প্রতিককালে টিসিবির পণ্যবাহী গাড়ির পেছনে লাইনের দৈর্ঘ্য দেখেও বোঝা যায় পরিস্থিতি সামাজিক জীবনে কতটা চাপ তৈরি করেছে। একইভাবে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এবং বিপুল দেনা করেও অসংখ্য তরুণের বিদেশে পাড়ি দেওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা থেকেও বাস্তব চিত্রের আভাস মেলে।

অবশ্য সরকার কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি ও প্রবাসীদের বিনিয়োগের জন্য ঋণ প্রদান অন্যতম। শিল্প, কৃষি ও ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের গতি বাড়ানো হয়েছে। যোগাযোগ ও জ্বালানি খাতের বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প শেষ হওয়ার পথে রয়েছে। সরকার আশা করছে এসব প্রকল্প শেষ হলে এগুলোকে ভিত্তি করে নানারকম কর্মোদ্যোগ বাড়বে ও তাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এ ছাড়া অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কর্মসংস্থান বাড়ানোর নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে তরুণদের মাঝে নতুন একটি প্রবণতা দেখা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষে উদ্যোক্তা হওয়ার। অপরদিকে বিদেশে উদ্যোক্তাদের অর্থসংস্থানের একটা ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো সরকারি বা বেসরকারি খাত থেকে সেভাবে অর্থ পাওয়া যায় না। পাশাপাশি স্বল্প পরিসরে কেউ কিছু শুরু করলে সেটা থেকে লাভ আসতে কয়েক বছর লেগে যায়। সেই পর্যন্ত এই উদ্যোক্তাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। যারা একটু বেশি টাকা নিয়ে এবং যথেষ্ট দক্ষ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করেন, তারা হয়তো টিকে যান। কিন্তু একে তো উঠতি উদ্যোক্তাদের পর্যাপ্ত টাকার অভাব, সেই সাথে চাহিদানুযায়ী দক্ষ কর্মীও পান না বেশির ভাগই। দিন শেষে তাই ব্যর্থতার পাল্লাই হয় ভারী। সুতরাং এ কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আধুনিক বিশ্বে, বৈজ্ঞানিক যুগে, দক্ষতানির্ভর শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ঠিক কতটা। সাধারণ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আজো হয়তো কিছু শিক্ষার্থী ভালো চাকরি পায়, কিন্তু তাদের পরিমাণ নেহাতই সামান্য। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকেই ঝরে পড়তে হয়, কিংবা কাঙ্ক্ষিত সাফল্যবঞ্চিত হতে হয় সঠিক দক্ষতার অভাবে। 

বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালে মধ্যে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার হার ২০ শতাংশ (মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে) এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই হার ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। বর্তমানে এই হার প্রায় ১৬ শতাংশ। যদিও অনেকে এই হারের সাথে একমত নয়। তাদের মতে, বৃত্তিমূলক শিক্ষা আর কারিগরি শিক্ষাকে এক করে এই হার বেশি দেখানো হয়। তবে সে যা-ই হোক, কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়। এ ছাড়া বিএম, ভোকেশনাল, কৃষি ডিপ্লোমা রয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, যারা এসব কোর্স করছে, তাদের সহজেই কর্মসংস্থান হচ্ছে। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে ফারাক থাকলেও তাদের বেকার থাকতে হচ্ছে না। তবে কারিগরি শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবহেলা ও বঞ্চনার বিষয়টিও অনস্বীকার্য। স্থানীয়ভাবে সুপারিশের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে অগ্রাধিকার পায়। কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নে এ ধরনের মানসিকতার পরিবর্তন আবশ্যক। পরিবর্তন প্রয়োজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানসিকতারও।

কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে পাস করে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বেরোনো শিক্ষার্থীদের চেয়ে চাকরি লাভের হার বেশি। কিন্তু তারপরও অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মনে করেন, এসব চাকরির সামাজিক মর্যাদা কম। কেননা, তারা যে অফিসকেন্দ্রিক চাকরি পেতে বেশি ইচ্ছুক! এ কারণেই, চাকরির বাজারে ব্যাপক মন্দা জানা সত্ত্বেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী এর আশাতেই বসে থাকে, আর চাকরি না পেয়ে অর্ধবেকার বা ছদ্মবেকারে পরিণত হয়। যেমন ৪১তম বিসিএসে আবেদন জমা পড়েছে মোট চার লাখ ৭৫ হাজার, যেখানে পদসংখ্যা দুই হাজার ১৩৫। অর্থাৎ প্রতিটি পদের জন্য দুই শতাধিক প্রার্থী প্রতিযোগিতা করবে এবং শেষ পর্যন্ত প্রতি ১০০ জনে সাড়ে ৯৯ জনেরও বেশি ব্যর্থ হবে! কিন্তু তারপরও, স্রেফ মানসিকতা জনিত কারণে প্রতি বছর অজস্র শিক্ষার্থী যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও, নির্দিষ্ট দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার পরিবর্তে সাধারণ শিক্ষার দিকেই ঝুঁকছে, যার ভবিষ্যৎ একেবারেই অনিশ্চিত। এখন কথা হলো বেকার সমস্যা দূর করতে হলে বেকার যেসব কারণে হচ্ছে সেসব কারণ তো দূর করতে হবে। সমস্যা যে জাগায় সমাধান সে স্থান থেকেই শুরু করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থাকে করতে হবে যুগোপযোগী, মানসম্পন্ন এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষার উপকরণ নিশ্চিত করতে হবে। সাবধান থাকতে হবে অসুস্থ রাজনীতির ছোঁয়া যেনো আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না লাগে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটার সমস্যা সমাধান করতে হবে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারকে আরো বেশি আন্তরিক হওয়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞ মহলের।

লেখক পরিচিতি : সহযোগী অধ্যাপক,

লোক প্রশাসন বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। 

Link copied!