Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

জামিনে কারামুক্ত সম্রাট

মো. মাসুম বিল্লাহ

মে ১১, ২০২২, ০৫:৩৮ পিএম


জামিনে কারামুক্ত সম্রাট
ফাইল ছবি

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়ার পর কয়েকটি মামলায় প্রায় আড়াই বছর কারাভোগের পর মুক্ত হলেন যুবলীগের বহিষ্কৃত আলোচিত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট।

বুধবার (১১ মে) বিকেল তিনটার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সম্রাটের জামিনের কাগজপত্র এসে পৌঁছে। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকে বিকেল চারটার দিকে মুক্তি পান। 

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ ঘোষ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে মুক্তি পেলেও এখনই হাসপাতাল ছাড়ছেন না যুবলীগের সাবেক এই আলোচিত নেতা। তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের করোনারি কেয়ার ইউনিটেই (সিসিইউ) আপাতত চিকিৎসা নেবেন। তবে আগে তার পাহারায় পুলিশ মোতায়েন থাকলেও মুক্তি লাভের পর পাহারা থাকছে না।

এর আগে দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় জামিন লাভ করেন সম্রাট। এর আগে আরও তিনটি মামলায় তিনি জামিন পান। এতে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবী।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর যুবলীগের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেই সময়ের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ৩১ মাসের বেশি সময় তিনি কারাভোগ করেন। তবে কারাগারে থাকাকালে বেশির ভাগ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের এবং অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন ১১ এপ্রিল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। আর বুধবার (১১ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে দুদকের মামলায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তারের পর সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে আলোচিত মামলাটি হচ্ছে দুদকের। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

Link copied!