Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

পুলিশ চাইলেই সচল না হলে বিকল

নুর মোহাম্মদ মিঠু

নুর মোহাম্মদ মিঠু

মে ১২, ২০২২, ০১:৩৫ এএম


পুলিশ চাইলেই সচল না হলে বিকল
  • সবসময় সব ঘটনায় সিসি ক্যামেরার যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না 
  • ছিঁচকে চোর, ছিনতাইকারী, ডাকাত ধরায় সফল হলেও খুন কিংবা দুর্ঘটনায় মেলে না ফুটেজ 
  • রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবিত হওয়ার ঘটনাগুলোতেই ফুটেজ পায় না পুলিশ: অভিযোগ ভুক্তোভোগীদের 
  • সরকারি ক্যামেরায় মেইনটেন্যান্স জটিলতা, বাসাবাড়ির (ব্যক্তিগত) ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহেও অনীহা  
  • তদন্তে বড় ধরনের সাপোর্ট দিচ্ছে সিসি ক্যামেরা, তবে দু-একটি ঘটনায় ব্যতিক্রম হতেই পারে: মো. ফারুক হোসেন, মুখপাত্র, ডিএমপি 
  • অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক বা পেশিশক্তির কাছেও কাবু পুলিশ: নুর খান, মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক, আসক

অজ্ঞাত অপরাধী শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ক্লোজ সার্কিট-সিসি ক্যামেরা। অপরাধীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা এই ক্যামেরার ফুটেজ ব্যবহার করেই গত দু-চার বছরে প্রায় পাঁচ শতাধিক চুরি, ছিনতাই, দস্যুতা কিংবা ডাকাতির সাথে জড়িতদের আটকের কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবসময় সব ঘটনায় এই ক্যামেরার যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে এমনটা নয়। ক্যামেরার কল্যাণেই ছিঁচকে চোর, ছিনতাইকারী বা ডাকাত ধরায় পুলিশের সফলতা থাকলেও অধিকাংশ সময় ক্যামেরাবন্দি খুন কিংবা দুর্ঘটনার অভিযোগ হলেও তদন্তে নেমে কখনো কখনো ঘটনা বিশেষে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়— ফুটেজই পাওয়া যাচ্ছে না। ক্যামেরা বিকল। 

ভুক্তভোগীদের স্বজনরা বলছেন, পুলিশের কতিপয় সদস্যের স্বেচ্ছাচারিতায় ফুটেজ না পাওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। এই অভিযোগও নতুন নয় যে, দুর্ঘটনা কিংবা খুন খারাবির পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভিই বিকল। 

অথচ পুলিশ যে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পায়নি বলে জানায়, সে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমেও প্রকাশ হতে দেখা যায়— বলছেন ভুক্তোভোগীদের স্বজনরা। এতে সরকারি সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর মেইনটেন্যান্সের বিষয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ সময় সরকারি ক্যামেরাগুলো বিকলের কথা বলা হলেও পুলিশ আশপাশের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাসাবাড়িতে বসানো ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও রহস্যজনক কারণে অনীহা দেখায়। প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ কেন ফুটেজ পাচ্ছে না? 

এ নিয়ে ভুক্তোভোগী অনেকেরই অভিযোগ, মেইনটেন্যান্স জটিলতা ছাড়াও রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবিত হওয়ার ঘটনাগুলোতেই  তদন্ত সংশ্লিষ্ট কিছুু পুলিশ কর্মকর্তাই ফুটেজ পান না বলে জানান। এমনকি প্রকৃত ঘটনাও তারা সামনে আনতে চান না। এক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগই বেশি পুলিশের বিরুদ্ধে।

ডিএমপির মুখপাত্রের দেয়া তথ্যে, ঢাকায় বর্তমানে তাদের ১৬শ ক্যামেরা রয়েছে। যার মধ্যে এলওসিসির মাধমে গুলশান জোনে রয়েছে হাজার খানেক। বাকি ৬০০ ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে, যা সেন্ট্রাল জোন থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ব্যক্তিগতসহ ঢাকায় এই সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি। যদিও পুলিশ ক্ষেত্রেবিশেষে সেসব ফুটেজ খতিয়ে দেখা কিংবা সামনে আনার আগ্রহই দেখাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপরাধ দমন ও অপরাধী শনাক্তে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবিত হওয়ায় সিসিটিভি ফুটেজের ব্যবহারও হচ্ছে পুলিশের মর্জিমতো। রাজধানীতে এমন একটি ঘটনা ঘটে গত বছরের ২২ জানুয়ারি। শান্তিনগর মোড়ে সস্ত্রীক সিএনজিতে থাকা ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন দুলালকে বহনকারী একটি সিএনজিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় রানার কোম্পানির একটি ট্রাক। 

পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে নাছির উদ্দিনকে ইউনাইটেড হাসপাতালে আর সিএনজিচালককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ঘটনার পাঁচ দিন পর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাছির উদ্দিন দুলাল। ঢামেকে মারা যান সিএনজিচালক। এ ঘটনায় রমনা থানায় মামলা করেন নিহতের স্বজনরা।

মামলার পর পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ কিংবা ঘাতক ট্রাক বা দুর্ঘটনাস্থলের কোনো ক্লুই তারা পায়নি। অথচ পরবর্তীতে জানা যায়, পুলিশেরই একটি প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজে নিয়োজিত ছিল রানার কোম্পানির সেই ঘাতক ট্রাক। ঘটনাস্থলের আশপাশের সব সিসি ক্যামেরা বিকলের কথা পুলিশ জানালেও নিহতের স্বজনরা সিদ্ধেশ্বরী কলেজের সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ থাকার কথা নিশ্চিত হন। সেই ফুটেজের কথা পুলিশকে জানানো হয় এবং কলেজ কর্তৃপক্ষও তাদের ফুটেজ দেয়ার কথা বলেও পরবর্তীতে রহস্যজনক কারণে আর দিতে সম্মত হয়নি। 

এ ঘটনায় পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় হতাশ নাছির উদ্দিন দুলালের স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশ রানার গ্রুপের সাথে আঁতাত করেই সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনেনি এবং সিদ্ধেশ্বরী কলেজের সিসিটিভি ফুটেজও সামনে আনতে দেয়নি। একইভাবে হাতিরঝিলের বেগুনবাড়ি এলাকায় সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুর পরও পাওয়া যায়নি সিসিটিভি ফুটেজ। ওই এলাকার ৩৫টি সিসিটিভিই নষ্ট থাকার কথা বলা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। অথচ এর দু-একদিন পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে সেখানকার একটি সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। 

ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাস্থল এলাকায় বেলচা হাতে কয়েক ব্যক্তি দৌড়ঝাঁপ করছে। পুলিশের ভাষ্যমতে, এখনো দুর্ঘটনাজনিত কারণে বলেই চাউর থাকলেও অনেকেই বলছেন, হাবীবের মৃত্যু রহস্যজনক। তবে পুলিশ এখনো সেই রহস্যের কুলকিনারাই করতে পারেনি। গত বছরের ডিসেম্বরে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি সড়কে এক বিচারপতির ছেলের গাড়িচাপায় বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং আহতের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও ১৪ দিন পর মামলা নেয় পুলিশ। এ ঘটনা সিসিটিভি বিকল বলা না হলেও প্রভাবিত হয়েই পুলিশ মামলা গ্রহণে গড়িমসি করেছে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। অথচ এ মামলার বাদী খোদ পুলিশেরই সদস্য সার্জেন্ট মহুয়া হাজং। পুলিশের সার্জেন্ট হয়েও ঘটনার পর মামলা করতে তাকে ঘুরতে হয়েছিল ১৪ দিন। 

এর আগে ঘটনাস্থল থেকেই বিচারপতির ছেলেকে থানা নিয়ে যায় পুলিশ। গাড়িও জব্দ করা হয়। কিন্তু কিছু সময় পরই রহস্যজনক কারণে ছেড়েও দেয়া তাকে। চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বংশালে যানজটের মধ্যে রাস্তা পার হওয়ার সময় সাংবাদিক সাহেদ শফিক ও মূসা মিয়াকে মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা দেন রাসেল নামের একজন। কারণ জানতে চাইলে উল্টো দুই সাংবাদিককে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি লাথি মারেন রাসেল। সাহেদের পেট, বাম হাত, মাথায় এবং বুকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে রাসেলের সঙ্গীরা। রাস্তায় লুটিয়ে পড়লেও সাহেদকে আঘাত করা হয়। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘঠনাস্থল থেকে চলে যায়। অথচ প্রকাশ্যে দিবালোকের এ ঘটনায়ও পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের সংকট দেখিয়ে মামলা নিতে গড়িমসি করে। 

সাহেদ শফিক বলেন, ঘটনাস্থলে আটটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে চাপ সৃষ্টি করলে ১৩ দিন পর মামলা নেয় পুলিশ।  ২৭ মার্চ রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে খুন হন চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল। ওই ঘটনায় পর মামলা করেন তার স্ত্রী। এ ঘটনায়ও শুরুতেই পুলিশ বলেছিল ঘটনাস্থলের কোনো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। মিরপুর মডেল থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমানও সে সময় ঘটনস্থলের পাশে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই বলে জানিয়েছিলেন। অর্থাৎ বুলবুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যার কোনো দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় নেই। 

অথচ ঘটনার তিনদিন পর সংবাদ সম্মেলন করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার কে এম হাফিজ আক্তার জানান, বুলবুলকে হত্যার পেছনে অন্য কোনো মোটিভ ছিল না। শুধু ছিনতাইয়ের উদ্দেশেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজসহ বেশ কিছু বিষয় যাচাই-বাছাই করে পুলিশ এটি নিশ্চিত হয়েছে।

একইভাবে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর ঘটনার শুরুতেই সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায় পুলিশ ও বুয়েট কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে বুয়েটের সধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। সেই ফুটেজের কল্যাণেই আবরারের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা হয়। কেন এই সংকট এমন প্রশ্নের সদুত্তর নেই পুলিশে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে সিসিটিভি ফুটেজের কল্যাণেই বেশির ভাগ ঘটনার তদন্তে সফলতা পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়। 

বর্তমানে রাজধানীতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এক হাজার ৬০০ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে বলে আমার সংবাদকে জানিয়েছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, এলওসিসির মাধ্যমে ডিএমপির গুলশান জোনেই আছে হাজার খানেক ক্যামেরা। আর সেন্ট্রাল জোন থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আরও ৬০০ ক্যামরা বসিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। 

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় অভিযোগের পর তদন্তে নেমে সিসিটিভি বিকল এবং ফুটেজ না পাওয়ার কথা বলা হয় কেন— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গত দু-চার বছরে আমরা পাঁচ শতাধিক ছিনতাইকারী, দস্যুতা ও ডাকাতির সাথে জড়িত থাকা ব্যক্তিকে শনাক্ত ও আটক করেছি। এ সংখ্যার বেশির ভাগই সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে। তদন্তের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সাপোর্টও দিচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে দু-একটি ঘটনায় (ব্যতিক্রম হতেই পারে) লস তো থাকবেই। গেল রমজানেও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় সচল থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা জড়িতদের শনাক্ত করা গেলেও গ্রেপ্তার করা হয়নি, বরং গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির নেতাকে— এমনটা জানালে তিনি বলেন, এ ঘটনায় র্যাব গ্রেপ্তার করেছে তিনজন, আমরা করেছি পাঁচজন। এসবই সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করেই।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধীকারকর্মী নুর খান লিটন আমার সংবাদকে বলেন, ‘শুধু সিসি ক্যামেরাই নয়, তদন্তের ক্ষেত্রে সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহে পুলিশের অনীহা থাকে। যে পরিমাণ ফোর্স দরকার তা না থাকা বা একজনের ওপর অনেকগুলো দায়িত্ব দেয়ায় তদন্তের ক্ষেত্রে এক ধরনের ত্রুটি বা দুর্বলতা থেকেই যায়। এ জায়গাগুলোতে সরকার ও বাহিনীকেও মনোনিবেশ করতে হবে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে দলিল দস্তাবেজ বা সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে এক ধরনের তুচ্ছতাচ্ছিল্য বা দুর্বলতা প্রদর্শন করে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের বিষয়ে নানা ধরনের কথা শোনা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই এটা প্রমাণিত যে, তারা নানাভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। অর্থের কাছে অনেক সময় অসহায়ত্ব দেখায়। রাজনৈতিক বা পেশিশক্তির কাছে তারা অনেক সময় কাবু হয়ে যায়। অথনৈতিক, রাজনৈতিক বা পেশিশক্তির কাছে দৃশ্যত কাবু হয় পুলিশ। সেটা হুমকি-ধমকির ফলে হোক আর আর্থিক লাভেই হোক।’ 

এদিকে সার্বিক বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট উইংয়ের ডিআইজির কাছে জানতে চাইলে তিনি এআইজি (মিডিয়া) কামরুজ্জামানকে প্রশ্ন জানাতে বলেন। তার মাধ্যমে মতামত জানাবেন বলে জানান তিনি। যদিও এ বিষয়ে কামরুজ্জামানকে প্রশ্ন উল্লেখপূর্বক ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো প্রতিউত্তর করেননি।
 

Link copied!