ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

১৭ দিন পর সেই কৃষকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনী প্রতিনিধি

নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০৭:৫৭ পিএম

১৭ দিন পর সেই কৃষকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার কৃষক মোহাম্মদ মেজবাহ (৪৭) এর লাশ ১৭ দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিলোনিয়া চেকপোস্ট এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে লাশটি হস্তান্তর করা হয়।

এসময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তা, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও কৃষক মেজবাহারের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। হস্তান্তরের পর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

মেজবাহার পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে। কৃষিকাজের পাশাপাশি তিনি স্থানীয়ভাবে গরু ব্যবসা করতেন। গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে কৃষক মেজবাহকে সীমান্ত এলাকা থেকে জোর করে বিএসএফের সদস্যরা ধরে নিয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে।

গত ১৬ নভেম্বর সকালে সীমান্তের কাঁটাতারের পাশে শূন্যরেখার ভারতীয় অংশে মেজবাহর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ১৭ নভেম্বর ভোরে আইন অনুযায়ী লাশ ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিএসএফ তার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এর ১৩ দিন পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই কৃষকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ।

বিজিবি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১টা ২০ মিনিটে বিলোনিয়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকায় লাশটি নিয়ে আসে বিএসএফ। পরে বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ লাশ হস্তান্তর করে। এসময় ভারতের ত্রিপুরার বিলোনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক পরিতোষ ঘোষ, পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো: সাইফুল ইসলাম, বিএসএফ কর্মকর্তা সত্যপাল সিং, এম এম লাল, বিলোনিয়া থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণ পাল, বিজিবির গুথুমা সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার সুবেদার ওমর ফারুক, বিলোনিয়ার মজুমদারহাট কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মনিরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরিবারের পক্ষে নিহতের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার, বোন পারুল আক্তার, পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল ও স্থানীয় কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

পরে মেজবাহর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পরশুরাম থানা পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এসময় স্বজনেরা লাশটি একনজর দেখতে না পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

মেজবাহর স্ত্রী মরিয়ম বেগম জানান, ভিটেমাটি ছাড়া তাদের কোনো জমিজমা নেই। স্বামী অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতেন। এ বছর ১ একর জমিতে আমনের চাষ করেছিলেন। জমি সীমান্ত এলাকায়, পাকা ধান কাটতে গেলে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। তার স্বামী কোনো অন্যায় করেননি। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হত্যার বিচার দাবি করেন।

তিনি আরও বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম লোকটাকে হারিয়ে আমরা এখন অন্ধকার দেখছি।

এসএম

Link copied!