Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪,

মান্দায় গোলাম রব্বানী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি

আগস্ট ২৪, ২০২৩, ০৬:১৮ পিএম


মান্দায় গোলাম রব্বানী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২

নওগাঁর মান্দায় ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান চালক গোলাম রাব্বানী (৩৫) হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী নাহিদ হোসেন ও তার সহযোগী তুহিন ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বুধবার ভোরে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার নাহিদ হোসেন (১৯) মান্দা উপজেলার উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ও তুহিন ইসলাম (২০) পত্নীতলা উপজেলার শিবপুর এলাকার কবির হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডের শিকার গোলাম রাব্বানী (৩৫) উপজেলা উত্তর শ্রীরামপুর (বিলবাড়িয়া) গ্রামের আক্কাস আলী সরদারের ছেলে।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অটোরিকশার চালক গোলাম রাব্বানী গত ১৪ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ওইদিন দুপুর ২টার পর তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নিখোঁজের ৪ দিন পর (১৮ আগস্ট) বিকেলে মহাদেবপুর উপজেলার সাগরইল বাজার সংলগ্ন গুন্দইল খাড়ির ব্রিজ এলাকা থেকে গোলাম রাব্বানীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার লাশ উদ্ধারের আগেই আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গোলাম রাব্বানী নিখোঁজের পর স্থানীয় জিগাতলা বাজারে ব্র্যাক ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, একই এলাকার নাহিদ ও তুহিনকে নিয়ে মহাদেবপুরের দিকে যাচ্ছিলেন অটোরিকশা চালক গোলাম রাব্বানী।

ঘটনায় ১৭ আগস্ট গোলাম রাব্বানীর বাবা বাদি হয়ে মান্দা থানায় অপহরণের মামলা করেন। পরবর্তীতে র‌্যাব-৫ আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা এলাকা থেকে র‌্যাব-১৪ এর সহায়তায় নাহিদ ও তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনগত ব্যবস্থা নিতে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে মান্দা থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গোলাম রাব্বানী হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের পঞ্চমীতলা মোড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসি।

এইচআর

Link copied!