Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

বিদ্যুৎ-পানি-ল্যাট্রিন সংকট

গোপালগঞ্জে আশ্রয়নের ঘরে হাসি নেই

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ১১:৫১ এএম


গোপালগঞ্জে আশ্রয়নের ঘরে হাসি নেই

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশের মত গোপালগঞ্জেও গৃহহীনদের জন্য স্বপ্নের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সেই স্বপ্নের ঘরে নেই বিদ্যুৎ, পানি ও  ল্যাট্রিনের সু-ব্যবস্থা।
স্বপ্নের ঘরে নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর সিলনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৪ পরিবার। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে হতদরিদ্রের পরিবর্তে চাকরিজীবি ও পাকাদালানের মালিকের নামেও  ঘর বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, সিলনা আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে চার মাস ধরে  ৩৪টি পরিবার বসবাস করছে। এই প্রকল্পে এখনও টিউবয়েল বসানো হয়নি। ফলে পানির জন্য তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ৩৪টি পরিবারের মধ্যে ১২টি পরিবার বিদ্যুৎ পেলেও এখনও ২২ পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। এতে প্রচণ্ড গরমের শিশুসহ পরিবারের সদস্যরা অসহনীয় কষ্টের মধ্যে রয়েছে। এখানকার ৩৪ পরিবারের মধ্যে  ১৯ পরিবারে ঘরের ল্যাট্রিনের সঙ্গে পাইপ লাইনের সংযোগ সঠিকভাবে না দেওয়ায় তারা ল্যাট্রিন ব্যবহার করতে পারছেনা। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ নিজেরা ল্যাট্রিন তৈরি করে ব্যবহার করছেন। যাদের সামর্থ নেই তাদেরকে চক্ষু লজ্জা ফেলে অন্যের ল্যাট্রিন ব্যবহার করতে হচ্ছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রহিমা বেগম ও আবুল বসার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে আমরা আনন্দিত। ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে বিদ্যুৎ, পানি ও ল্যাট্রিনের কিছু কাজ বাকি থাকার কারণে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অতিকষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে।

সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্র্তা (পিআইও) আলাউদ্দিন বলেন, বৃষ্টির কারণে কাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে, ২-৩ দিনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করা হবে। কিছু স্বচ্ছল ব্যক্তি ঘর পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী সপ্তায় যাচাই বাছাই করে প্রকৃত ব্যক্তিদের ঘর দেওয়া হবে। এরপর ওই তালিকা বিদ্যুৎ অফিসে পাঠালে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে যাবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসিন উদ্দীন বলেন, বিদ্যুৎ পর্যায়ক্রমে যাবে। তবে টিউবয়েল ও টয়লেটের সমস্যা থাকার কথা না।

সেলিম/এআরএস

Link copied!