Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪,

আ’লীগ নেতা ফারুক হত্যা

লক্ষ্মীপুরে ৮ জনের যাবজ্জীবন

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ১২, ২০২৩, ০৩:০৩ পিএম


লক্ষ্মীপুরে ৮ জনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যার মামলায় আটজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে  বলেন, রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. কাউসার, সাইফুল ইসলাম, মো. সিরাজ, আলাউদ্দিন আলো, মো. আউয়াল, মো. রাজু, মো. জাকের ও মো. তুহিন।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. সুমন, মো. সুজন, সজিব হোসেন, রিয়াজ প্রকাশ চিতা ও মিলন প্রকাশ মিলা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ওমর ফারুক চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় বিএনপির জিসানের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব হয়। ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর জিসানসহ তার লোকজন ফারুককে গুলি করে। দীর্ঘদিন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়ে ফারুক বাড়িতে ফেরেন। এর মধ্যে জিসান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট চন্দ্রগঞ্জ থানার নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে ওমর ফারুক বক্তব্য দেন। তখন তিনি সন্ত্রাসবিরোধী বক্তব্য দিয়েছিলেন। পরদিন ১ সেপ্টেম্বর সকালে প্রতিবেশী ইসমাইল হোসেন বাড়িতে এসে ফারুককে ডেকে নিয়ে যান। বাড়ির কাছাকাছি একটি দোকানে বসে তারা চা পান করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর আসামিরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় ফারুককে উদ্ধার করে নোয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আটজনের বিরুদ্ধে চন্দগ্রঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম হক্কানি ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি মিলন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

আরএস

Link copied!