নোয়াখালী প্রতিনিধি
মে ৩, ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম
নোয়াখালী প্রতিনিধি
মে ৩, ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার এক প্রবাসী পরিবারকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে জেলা শহর মাইজদীর ইউরো শপিং কমপ্লেক্সে একটি পত্রিকা অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য শাহ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের মাহবুবুর রশীদ রাজু, তার স্ত্রী রেহানা পারভীন, মাহবুবুল আলম দুলাল, জামসেদ, গৃহপরিচারিকা রহিমা বেগম ও মমতাজ আমাদের বিরুদ্ধে বারবার মিথ্যা মামলা ও হুমকি-ধামকি দিয়ে হয়রানি করছে। বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে পুরো পরিবার দিশেহারা।
তিনি জানান, তাদের তিন ভাইয়ের একজন আমেরিকায় থাকেন এবং বাকি দুই ভাই দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চট্টগ্রামে বসবাস করছেন। ধন্যপুর গ্রামে তাদের পৈত্রিক ৪০১ শতক জমি রয়েছে। শাহ আলমের দাবি, এই জমির ফলমূল ও পুকুরের মাছ তাদের অনুপস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক ভোগ করে আসছে মাহবুবুর গং।
২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর শাহ আলম তার স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তানসহ বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করলে মাহবুবুর গং অসন্তুষ্ট হয়ে বিরোধ শুরু করে। একাধিকবার আক্রমণ ও হুমকির মুখে পড়ে তিনি সোনাইমুড়ী থানায় জিডি করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাটি সত্য প্রমাণ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
শাহ আলম আরও জানান, তাদের ১৭ ডিসমিল জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে মাহবুবুর গং। জমি দখলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো জমি বিক্রির টাকা পাওয়ার দাবি করে সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দেন। একপর্যায়ে প্রভাব খাটিয়ে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জোরপূর্বক টাকা ফেরতের একটি লিখিত রায় আদায় করে শাহ আলমকে পুনরায় হুমকি দেওয়া হয়। পরে তাকে হয়রানি করতে একের পর এক তিনটি মামলায় জড়ানো হয়।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহবুবুর রশীদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বর্তমানে শাহ আলমের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই এবং আমি তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করিনি।”
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, “দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছে, কিন্তু কোনো পক্ষই আমাদের পরামর্শ মানছে না।”
ইএইচ