ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

নাগরপুরে রাস্তা নির্মাণে জমি-শ্রম সবই দিলেন এলাকাবাসী, পাশে ইসলামী ছাত্রশিবির

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

জুলাই ৮, ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম

নাগরপুরে রাস্তা নির্মাণে জমি-শ্রম সবই দিলেন এলাকাবাসী, পাশে ইসলামী ছাত্রশিবির

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাতিলা গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে চলাচল করছিলেন। যাতায়াতের কোনো পাকা বা কাঁচা রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া, বাজারে পণ্য পরিবহন কিংবা রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া ছিল অত্যন্ত কষ্টকর। এই সংকট দূর করতে কোনো সরকারি সহায়তা না পেয়ে গ্রামবাসীরাই নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এলাকাবাসী নিজেদের প্রয়োজনীয় জমি স্বেচ্ছায় দান করেন এবং বিনা পারিশ্রমিকে মাটি ফেলে রাস্তার প্রাথমিক কাঠামো তৈরি করেন।

এ জনভিত্তিক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ পরিদর্শনে সোমবার আসেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, নাগরপুর উপজেলা শাখার একটি প্রতিনিধি দল। 

প্রতিনিধি দলে ছিলেন উপজেলা সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, সেক্রেটারি আব্দুল হাকিম, অফিস সম্পাদক হাফেজ আব্দুল কাদের এবং বায়তুলমাল সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম মাহিন।

পরিদর্শনকালে ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের স্বেচ্ছাশ্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সেদিন রাস্তা নির্মাণে নিয়োজিতদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, “এলাকাবাসীর এই উদ্যোগ একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। যেখানে সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি, সেখানে জনগণ নিজেরাই জমি দান করে ও শ্রম দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করছেন—এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময়ই জনকল্যাণমূলক কাজে পাশে থাকবে। আজ আমরা শুধু সহানুভূতির জায়গা থেকে নয়, মানুষের এই চেতনা ও আত্মনির্ভরতার প্রতি সম্মান জানাতে এসেছি।”

একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “আমরা বছরের পর বছর কষ্ট করেছি। রাস্তা না থাকায় রোগী নেওয়া, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো—সবই ছিল দুঃসাধ্য। তাই গ্রামবাসী মিলে সিদ্ধান্ত নিই, আর দেরি নয়, নিজেরাই রাস্তাটি করবো। ছাত্রশিবিরের ভাইয়েরা এসে যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়ালেন, তা আমাদের মনোবল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করি, সরকারও এখন নজর দেবে।”

স্থানীয়রা ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আশা করেন, খুব শিগগির এই রাস্তা পুরোপুরি চলাচলের উপযোগী হবে, যা এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

এই ধরনের নাগরিক সচেতনতা ও যুব নেতৃত্বের অংশগ্রহণ সমাজ পরিবর্তনের পথে একটি বাস্তব উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

ইএইচ

Link copied!