চট্টগ্রাম ব্যুরো
জুলাই ৯, ২০২৫, ০৭:১১ পিএম
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে নালায় পড়ে মরিয়ম নামে তিন বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।
বুধবার দুপুর ৩টার দিকে আনন্দপুর এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মরিয়ম বাড়ির পাশের একটি দোকানে যাচ্ছিল। পথে একটি নালার স্ল্যাব না থাকায় ওপরে পানি জমে ছিল এবং সেটি খালি চোখে বোঝার উপায় ছিল না। অসাবধানতাবশত শিশুটি সেখানে পা দিলে নালায় পড়ে যায় এবং পানির স্রোতে ভেসে যায়। স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধারে চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে আগ্রাবাদ স্টেশন থেকে একটি ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, “খবর পেয়ে দ্রুত ডুবুরি দল পাঠানো হয়। তারা শিশুটিকে অল্প সময়ের মধ্যেই উদ্ধার করেন, তবে তাকে জীবিত রাখা সম্ভব হয়নি।”
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম শহরে নালা-খালে পড়ে শিশু ও পথচারীদের মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই ঘটে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় খোলা নালা ও অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে উন্মুক্ত নালায় পড়ে যান দুই নারী ও তাদের সঙ্গে থাকা ছয় মাস বয়সী শিশু সেহরীস। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে দুই নারীকে উদ্ধার করলেও শিশুটি তলিয়ে যায়। পরদিন চাক্তাই খাল থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটির মরদেহ।
২০২১ সালের ২৫ আগস্ট মুরাদপুর মোড়ে বৃষ্টির সময় সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদ নালায় পড়ে নিখোঁজ হন। দীর্ঘ উদ্ধার অভিযান চালিয়েও তার মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়নি। একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদ এলাকায় হাঁটার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া উন্মুক্ত নালায় পড়ে মৃত্যুবরণ করেন।
এছাড়া, ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর ষোলশহর এলাকায় শিশু কামাল নালায় পড়ে নিখোঁজ হয়। তিন দিন পর মুরাদপুর এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট আগ্রাবাদ রঙ্গীপাড়ায় ১৮ মাসের শিশু ইয়াসিন আরাফাত উন্মুক্ত নালায় পড়ে মারা যায়। ১৭ ঘণ্টার অভিযানের পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ইএইচ