নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ৯, ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গত ১৬ বছর ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে গুম-খুন এবং নির্যাতনের রাজত্ব চালিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। কিন্তু আর নয়, এবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে আয়োজিত পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মানচিত্র, মাটি ও জনগণ রক্ষার দায়িত্ব দেশের ছাত্র, তরুণ ও যুবসমাজের কাঁধে। সেই দায়িত্ব নিয়েই এনসিপি মাঠে নেমেছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের আধিপত্যবাদ আমাদের মানবিক মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব বার বার ক্ষুণ্ণ করেছে। পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে এ জাতিকে বার বার অবনমন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গত ৫৪ বছর ধরে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এই আহ্বায়ক বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গার দর্শনার এক কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা শুনেছি- সাতদিন আগে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। সাতদিন পর লাশ ফেরত এসেছে।
তিনি বলেন, গত ৫৪ বছরে সীমান্তে হাজারের বেশি মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। যার মধ্যে চুয়াডাঙ্গায়ই দুই শতাধিক জেনেছি। গরু পাচারকারী কিংবা চোরাচালানি আখ্যা দিয়ে বিএসএফ নির্বিচারে নিরীহ কৃষক হত্যা করছে। অথচ গত ৫৪ বছরে কোনো সরকারই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
এই এনসিপি নেতা বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক চায়, তাহলে সেই সম্পর্ক হতে হবে সমতা, ন্যায্যতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে। কেবল বাংলাদেশ নয়, ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষাও বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল। এটা ভারতকে বুঝতে হবে।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের পরিচালনায় এ সময় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান, চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রধান সমন্বয়কারী খাজা আমিরুল বাশার বিপ্লব, ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা সদস্য সচিব সাফফাতুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইএইচ