আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আগস্ট ৫, ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন ইসরায়েলের ৬০০-রও বেশি সাবেক সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
সোমবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, একই দিন এই চিঠি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও পাঠানো হয়।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা লিখেছেন, “হামাস এখন আর ইসরায়েলের জন্য কোনো কৌশলগত হুমকি নয়।” চিঠিতে স্বাক্ষর করেন ইসরায়েলের সাবেক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালনসহ অনেকে।
তারা আরও লিখেছেন, “ইসরায়েলি জনগণের একটি বড় অংশের কাছে আপনি (ট্রাম্প) এখনও বিশ্বাসযোগ্য। সেই বিশ্বাস আপনার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার সরকারকে সঠিক পথে পরিচালিত করার সুযোগ করে দেয়। যুদ্ধ বন্ধ করুন, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনুন, দুর্দশা থামান।”
চিঠিটি এমন সময় প্রকাশ পেলো, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের সঙ্গে আলোচনাসমূহ স্থগিত হয়ে গেছে এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন।
গাজায় প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। রক্ত, অনাহার ও আর্তনাদে বিধ্বস্ত উপত্যকাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শুধু সোমবারই ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত হয়েছেন; এর মধ্যে ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে।
খান ইউনিস, দেইর আল বালাহ ও গাজা সিটিসহ সর্বত্র চলছে নিস্তরঙ্গ ধ্বংসযজ্ঞ। এমনকি আকাশপথে ফেলা ত্রাণ সামগ্রীর আঘাতেও প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন গড়ে ২৮ জন শিশু মৃত্যুবরণ করছে।
দাতব্য সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গাজায় প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৮৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে; অথচ ন্যূনতম মানবিক প্রয়োজন মেটাতে প্রতিদিন প্রয়োজন অন্তত ৬০০টি ট্রাক।
এদিকে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল যদি পূর্ণাঙ্গ মানবিক করিডোর খুলে দেয়, তাহলে রেডক্রসকে জিম্মিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে— যেসব অঙ্গরাজ্য ইসরায়েলি কোম্পানিকে বয়কট করবে, তারা ১.৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের দুর্যোগ প্রস্তুতি তহবিল থেকে বঞ্চিত হবে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার একটি ফেডারেল কৌশল।
ইএইচ