ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

উদ্যোগের ফল নেই রেমিট্যান্সে

মো. মাসুম বিল্লাহ

ডিসেম্বর ১, ২০২২, ০৭:৩৯ পিএম

উদ্যোগের ফল নেই রেমিট্যান্সে
  • নেই কাগজপত্রের ঝামেলা, মওকুফ হয়েছে চার্জ, ছুটির দিনেও খোলা থাকছে এক্সচেঞ্জ হাউজ এবং আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার
  • নভেম্বরে এসেছে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা

রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতির ফলে দেশে চলমান ডলার–সংকটের মধ্যে ধারাবাহিক কমতে থাকা প্রবাসী আয় অর্জনে আশানুরুপ অগ্রগতি হয়নি। কাগজপত্রে ছাড়, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও প্রণোদনাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েও যখন গতি ফিরছিল না তখন রেমিট্যান্স পাঠানোর চার্জ মওকুফ করে দেয় ব্যাংকগুলো।

প্রবাসীদের টাকা পাঠাতে সুবিধার কথা বিবেচনা করে ছুটির দিনেও বিদেশে এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলা রাখা হচ্ছে। সবশেষ সরাসরি মোবাইলে ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আনার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবুও কাঙ্খিত রেমিট্যান্স আসছে না। সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসে আগের মাসের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসলেও পরের দুই মাসে ধ্বস নামে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রবাসীরা ১৫৯ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৬৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে)। এর আগের মাসে এসেছিল ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। অর্থাৎ আগের মাসের তুলনায় নভেম্বরে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।

রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) যৌথভাবে ব্যাংকগুলোকে রেমিট্যান্স কেনার জন্য দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। বর্তমানে ১০৭ টাকায় রেমিট্যান্স ও ১০০ টাকায় রপ্তানি বিলের মাধ্যমে আসা ডলার সংগ্রহ করছে ব্যাংক।

এর সাথে আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এতেও গত মাসগুলোতে কোনো কাজ হচ্ছিল না। তবে সর্বশেষ চার্জ মওকুফ ও ছুটির দিনে রেমিট্যান্স পাঠানোর সুযোগ দেয়ার পর নভেম্বর মাসে আগের তুলনায় রেমিট্যান্সের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের নভেম্বরে সরকারি মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ২১ লাখ ডলার।

সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। বেসরকারি খাতের এ ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ডলার। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৫৭ লাখ ডলার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থপাচার ও কালো টাকা না কমলে বৈধ পথে রেমিট্যান্সও বাড়বে না। বিভিন্ন মহলের এমন বার্তার পর হুন্ডি প্রতিরোধের নতুন কৌশলে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠন করা হয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

সম্প্রতি হুন্ডির মাধ্যমে প্রেরিত রেমিট্যান্সের ২৩০ জন বেনিফিশিয়ারির হিসাবে সাময়িকভাবে উত্তোলন স্থগিত করে বিএফআইইউ। বলা হয়, ভবিষ্যতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাবে এমন প্রতিশ্রুতি দিলে হিসাবগুলো খুলে দেওয়া হবে। হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রতিরোধে নতুন কৌশল নিয়েছে বিএফআইইউ।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে ১৫২ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এই অংক গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ১৪৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম।

টিএইচ

Link copied!