প্লে-ব্যাকে সময় কাটছে কণার

বাংলাদেশে সিনেমার গানে এ সময়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সংগীতশিল্পী কণা। আগের দিনের সিনেমায় রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিনের গান থাকাটাকে প্রযোজক-পরিচালক যেমন আশীর্বাদ মনে করতেন, পরবর্তীতে কনক চাঁপার গান গাওয়াটা আশীর্বাদ মনে করতেন। 

সেই ধারাবাহিকতায় ন্যািসর মিষ্টি কণ্ঠেরও ঠিক তেমনি চাহিদা ছিল সিনেমার গানে। সময়ের ধারাবাহিকতায় কণাও সে অবস্থানে নিজেকে নিয়ে এসেছেন। এখানে যে পাঁচজন গায়িকার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, পাঁচজনই সিনেমায় গান গেয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। 

কণা প্রথমবারের মতো চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য কবির বকুলের লেখা ও ইমরান মাহমুদুলের সুর করা ‘তুই কী আমার হবি রে’ গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আবার কিছুদিন আগেই কণার বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য তার মা লুৎফুন নাহার প্রথমবার ‘মা পদক’ ২০২২-এ ভূষিত হন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রুনা লায়লার হাত থেকে কণার মা ‘মা পদক’ গ্রহণ করেন। 

কণার ভাষ্যমতে, মায়ের এই পদকপ্রাপ্তি তার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। কারণ, তার কারণেই তার মায়ের হাতে উঠে এসেছে এই সম্মাননা। কণার আপাতত স্টেজ শোতে ব্যস্ততা নেই। তবে ব্যস্ত আছেন একের পর এক সিনেমার গান নিয়ে। এরই মধ্যে তিনি ‘জল জোছনা’সহ রুকাইয়া জাহান চমকের সিনেমায় গান গেয়েছেন। শিগগিরই তিনি জাহিদ হোসেনের ‘সুবর্ণভূমি’ ও রায়হান রাফির ‘দামাল’ সিনেমায় গান গাইবেন। 

এছাড়া ভয়েজ ওভার নিয়ে তো ব্যস্ততা রয়েছেই। রয়েছে জিঙ্গেলে ব্যস্ততা। আর ঈদের পর সময়-সুযোগ পেলেই তিনি ছুটে যাচ্ছেন বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর থানার ডোয়াই বাড়িতে। এটা তাদের গ্রামের বাড়ি। গ্রামের বাড়িতে নির্মল পরিবেশে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে কণার। কণা বলেন, ‘যখন স্টেজ শো নিয়ে কোনোরকম ব্যস্ততা থাকে না, তখন প্লে-ব্যাক নিয়ে ব্যস্ত থাকি। পাশাপাশি ভয়েজ ওভার, জিঙ্গেল নিয়েও ভীষণ ব্যস্ততা থাকে।

এরই মধ্যে কয়েকটি সিনেমায় গান গেয়েছি। সামনে আরও কয়েকটি সিনেমায় গান গাইব। এর মধ্যে একটু বিরতি পেয়েছি। বাবা-মাকে নিয়ে ডোয়াই বাড়িতে চলে এসেছি। এখানেই নিরিবিলি কাটছে সময়।

 উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে কলকাতার নজরুল মঞ্চে শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী হিসেবে ‘টেলিসিনে’ (আন্তর্জাতিক সম্মাননা) অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন কণা। সে সময় নজরুল মঞ্চে আজীবন সম্মাননা পেয়েছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক।