Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

রকিব নিজেকে ‘তুলসী পাতা’ বানাতেই বিয়ে করেন মাহিকে; প্রকাশ্যে চমকানো তথ্য!

বিনোদন প্রতিবেদক

বিনোদন প্রতিবেদক

মার্চ ২০, ২০২৩, ০৫:১২ পিএম


রকিব নিজেকে ‘তুলসী পাতা’ বানাতেই বিয়ে করেন মাহিকে; প্রকাশ্যে চমকানো তথ্য!

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে বিয়ে করে আলোচিত রকিব সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে হয়েছে একাধিক মামলাও। তবে অর্থ আর ক্ষমতার জোর খাটিয়ে তিনি থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ রকিবের দরকার ছিল শক্তিশালী গণমাধ্যম। যা চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহীর রয়েছেন। এমনটি জানিয়েছেন একাধিক বিশ্বস্থ সূত্র। তাতেই আরও মরিয়া হয়ে উঠেন গাজীপুরে জমি দখলকারীর শীর্ষয় রকিব সরকার।

মূলত রাজধানী লাগোয়া শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরে চাঁদাবাজি, গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, মাদকের স্পট পরিচালনা, জমি দখল, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে রকিবের বিরুদ্ধে। এছাড়াও আছে হত্যা, ধর্ষণ, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারসহ অরাজকতা সৃষ্টির অভিযোগ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রকিব সরকারের পরিবার বিএনপি-জামায়াত ঘেঁষা। তবে তিনি টাকার জোরে বনে গেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। আর এই পরিচয়ে তিনি করছেন একের পর এক অপকর্ম। এলাকায় প্রচলিত রয়েছে, যার জমিতেই রকিবের নজর পড়ে সেটাই তিনি দখল করেন।

রকিবের বিরুদ্ধে থাকা তিনটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনসহ ডকেট আদালত থেকে উধাও হয়ে গেছে। আর এসবই তিনি করেছেন ক্ষমতা আর অর্থ দিয়ে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও স্বামী রকিব সরকার নতুন করে আলোচনায় আসেন। গত শুক্রবার ভোরে মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব সরকারের গাজীপুর মহানগরীর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে সনিরাজ কার প্যালেসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (জিএমপি) মোল্যা নজরুল ইসলামকে দায়ী করে ফেসবুকে লাইভ ও পোস্ট দেন মাহি। তবে এই ঘটনার সঙ্গে পুলিশের কোনোই সম্পৃক্ততা ছিল না। বরং পুলিশ হামলার পর ঘটনাস্থলে যায়।

মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ এনে ওইদিন রাতেই পুলিশ বাদি হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করে। এছাড়া এই দম্পতির বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী।

সৌদি আরবে ওমরা পালন শেষে শনিবার দেশে ফিরলে মাহিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্তঃসত্ত্বা থাকায় আদালত দুটি মামলায় মাহিয়া মাহিকে জামিন দেন। তবে সেদিন মাহির সঙ্গে ফেরেননি স্বামী রকিব। তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন রবিবার, অর্থাৎ মাহির ফেরার পরদিন।

কে এই রকিব সরকার?

১৯৮২ সালে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ১৫নং ওয়ার্ডের ভোগড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন রকিব সরকার। তার বাবার নাম সামছুদ্দিন সরকার। রকিব সরকারের বড় ভাই সুলতান সরকার। তিনি গাজীপুর জেলা পরিবহন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক। পরিবহন সেক্টরে বড় চাঁদাবাজি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মূলহোতা হিসেবে

রকিবের আরেক ভাই ফয়সাল আহমেদ সরকার বর্তমানে গাজীপুর মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক এবং গাজীপুর সিটি কপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আরেক ভাই কামরুল আহসান সরকার গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক। মহানগর বিএনপি নেতা হাসান উদ্দিন সরকার ও শওকত সরকারও তাদের নিকটাত্মীয়।

রকিবের বিরুদ্ধে যেসব মামলা:

রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ইনতুজা আক্তার রূপা নামে এক নারীকে গনধর্ষণের অভিযোগ আছে। ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল রকির তার সহযোগি আরেফিন খান মৃদুলের বাড়ীতে ওই নারীকে ধর্ষন করে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর-১৪৭, তাং-২৭/০৪/২০১৭। ধারা- ৯(৩)/৩০,২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধন- ২০০৩)। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার প্রমাণ থাকলেও ক্ষমতার জোরে রকিব সরকার মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন বদলে দিয়েছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় রনি সরকারের ‘সরকার ক্যাবল ভিশন’ নামে ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করত আমির হামজা। রকিব সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ী রনির মধ্যে ডিস ও ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিরোধ ছিল। ডিস ও ঝুটের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে রকিবের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আমির হামজা পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে রকিব রনি সকারকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় ম্যানেজার আমির হামজাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর রকিরের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন অজ্ঞাত সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমির হামজাকে টেনে হিছড়ে সরকার ক্যাবল ডিস অফিস থেকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে নলজানি টিএন্ডটি রোডের পাশে জাইকা ড্রেনের কাছে ভিকটিমের রক্তের তাজা দাগ দেখতে পাই পুলিশ। সন্ত্রাসীরা আমির হামজাকে মারপিট, জখম ও কুপিয়ে ওই জায়গায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার অভিযোগে রকিব সরকারকে এক নম্বর আসামি করে নিহতের স্ত্রী মমতাজ বেগম জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। জয়দেবপুর থানার মামলা নম্বর ৭১; তারিখ ১২/১০/২০১৭। ধারা-১৪৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/১১৪। অভিযোগ আছে, রকিব সরকার ও তার ভাইদের চাপে এ মামলা তদন্তে গতি স্থিমিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে হত্যা মামলাটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বাধ্য করে।

এছাড়া ২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর রনি সরকারকে ফাঁসাতে নির্মানাধীন ভবনের একটি রুমে সহযোগীদের মাধ্যমে দুইটি অস্ত্র রাখার ব্যবস্থা করে রকিব। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পিস্তল দুটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ভবনের মালিক রনি সরকারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে রনি ও রকিবের মধ্যে ডিস ও ঝুটের ব্যবসা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার সহযোগী রাজিব সরকার সবুজ ও জোবায়ের হোসেন শুভর মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র সেখানে রাখা হয়। পরে পুলিশ বাদি হয়ে রকিবকে এক নম্বর আসামি করে জয়দেবপুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়। পরে রকিবকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। জয়দেবপুর থানার মামলা নম্বর-৫৯। তারিখ-১/১০/২০১৭। ধারা-১৮৭৮ সলের অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ও ১৯(এফ)।

কিন্তু ক্ষমতা আর অবৈধ অর্থের জোরে রকিব সরকার তার মামলার কার্যক্রম স্থিমিত করে দেয় মর্মে গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে। সূত্র বলছে, রকিব সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ‘ফাইনাল রিপোর্ট’, ‘ডকেট কপি’ আদালত থেকে উধাও হয়ে গেছে।

তার বিরুদ্ধে এতসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার একাধিক সময়ে ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও রকিব সরকারের সাড়া পাওয়া যায়নি।

যার জমিতে নজর পড়ে সেটাই দখল করেন রকিব:

রকিবের বিরুদ্ধে বাসন ও সদর থানা এলাকায় অনেক জমি দখলে অভিযোগ রয়েছে। ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের পূর্ব পাশে এবং জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উত্তর পাশে ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন লাদেন ও মামুন সরকারের সাড়ে ৩২ শতাংশ জমি পাঁচবছর ধরে দখল করে সেখানে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে একটি গাড়ির শো-রুম গড়ে তুলেছেন।

জমির প্রকৃত মালিক নিজের জমির পক্ষে আদালত থেকে রায়ও এনেছেন। কিন্তু এরপরও তিনি দখল পাচ্ছেন না। তাকে প্রায় হুমকি দিয়ে আসছে রকিবের সন্ত্রাসী বাহিনী। আবার রকিব দাবি করেছেন, তাকে দেড় কোটি টাকা দিলে তিনি জমির দখল ছাড়বেন। প্রায় রকিবের লোকজন ইসমাইলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।

অভিযোগ আছে, জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল সড়কের কাশেম টেক্সটাইল সংলগ্ন তিন বিঘা জমি রকিব সরকার দখল করে রেখেছে। জমির মালিক বাবুল ও তার স্বজনরা। তারাও রকিব বাহিনীর ভয়ে তটস্থ।

এছাড়া বাসন থানাধীন চিটাগং রোডের মোগড়খাল রাস্তার উত্তর পাশে বিধবা রহিমা বেগমের মালিকা প্রায় ১০ শতাংশ জমি রকিব দখল করে রেখেছে। বহু মানুষের কাছে ধর্না দিয়েও রহিমা তার জমির মালিকানা বুঝে পাচ্ছে না। তাছাড়া সদর থানাধীন বিলাশপুরের শিমুলতলী রোড সংলগ্ন পূর্ব পাশে একজন অসহায় ব্যক্তির ১৩ শতাংশ জমি দখল করেছেন বলেও অভিযোগ আছে।

তার এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করতে ভয় পান স্থানীয়রা। কারণ, বিএনপি-আওয়ামী লীগের অনেক নেতা তার আত্মীয়। তাদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি কাজে লাগিয়ে রকিব দীর্ঘদিন এসব অপরাধ করছে। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনকে কাজে লাগানোর অভিযোগ আছে। তাছাড়া রকিবের ভাই সুলতান সরকারের পরিবহন শ্রমিকদের ব্যবহার করে এসব সাধারণ ভূক্তভোগীদের ওপর হামলারও ঘটনা ঘটেছে।

থানা পুলিশ জানিয়েছে, রকিব ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগে অন্ত নেই। তবে ভয়ে কেউ সরাসরি কথা বলেন না। আবার কেউ অভিযোগ দিলে তার জন্য এলাকায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে যায়। পুলিশ তাদের অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের চেষ্টা করলে সুলতান সরকারের (রকিবের ভাই) সহযোগিতায় পরিবহণ শ্রমিকদের দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। এতে থানা পুলিশ রকিব সরকার ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে অনেক ক্ষেত্রে পিছু হাটতে বাধ্য হয়।

গাজীপুর মহানগরীর কৌশলগত গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্ট ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস মোড়। রকিব পরিবারের কারও বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হলে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পরিবহন শ্রমিক ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা সড়ক অবরোধ করে।

রকিবের সাঙ্গপাঙ্গদেরও দাপট:

রকিবের ঘনিষ্ট সহযোগিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, মশিউর রহমান সিপাহী, আলমগীর ও সাইফুল ইসলাম। গাজীপুর মহানগরীতে প্রতিনিয়ত মাদক সরবরাহে তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা করে আসছে।

ঝুট পণ্য না পেলেই কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ করান:

গাজীপুর মহানগরীর প্রায় সব গার্মেন্টেসের ঝুট নিয়ন্ত্রণ করেন রকিব সরকার ও তার লোকজন। ঝুটের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য প্রয়োজনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারও করেন। বাসন থানার ল্যাডন্ডার গার্মেন্টস, বটস গ্যালারী, লালতাপুর গার্মেন্টস, হাসান তানভীর ফ্যাশন, লিরিক ফ্যাশন টার্গেট, নেটওয়ার্ক ডটকম, মিকি গার্মেন্টস, স্কয়ার, টি অ্যান্ড জেড গার্মেন্টস তার লোকজনের নিয়ন্ত্রণে।

জানা গেছে, রকিব সরকারের প্রতিমাসে ঝুট নিয়ন্ত্রণে নেন। কোনো গার্মেন্টস মালিক বা কর্তৃপক্ষ ঝুট দিতে অস্বীকৃতি জানালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের উস্কে দেওয়া হয়। তাছাড়া বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে মালিক পক্ষের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। এই ঝুট থেকে প্রতি মাসে ৭০-৮০ লাখ টাকা আয় করেন রকিব। তার ঝুটের ব্যবসা দেখভাল করেন তার ঘনিষ্ট সহযোগী আরিফ, নাজমুল ও আলমগীর।

চাঁদাবাজিসহ সব অপরাধেই রকিব:

গাজীপুর মহানগরীতে চাঁদাবাজি, গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, মাদকের স্পর্ট পরিচালনা, জমি দখল, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি ও অরাজকতা সৃষ্টিসহ নানান অপরাধের সঙ্গে জড়িত রকিব সরকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বাসন থানা এলাকাসহ মহানগরীর প্রায় সব ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে থেকে প্রতিমাসে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা চাঁদা নেন। এছাড়া ভোগড়া বাইপাস ফলের আড়ৎ (সামছুদ্দিন সুপার মার্কেট) এবং কাঁচা বাজারে যেসব ট্রাক-পিকআপ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা হারে চাঁদা নেন। যেখানে প্রতিদিন প্রায় আড়াইশ গাড়ি লোড-আনলোড হয়।

পুলিশ যা বলেছে:

পুলিশের অবস্থানের কারণে গাজীপুরে অপরাধ কমেছে জানিয়ে এই মেট্রোপলিটনের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি শ্রেণি আছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলদারি, মাদক ব্যবসা করছে। জিএমপি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রকিব সরকারের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ ও অস্ত্র—তিনটি মামলায় পুলিশের এফআরটি (ফাইনাল রিপোর্ট ট্রু) রয়েছে।’

Link copied!