Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

পরিচ্ছন্নকর্মীর অ্যাকাউন্টে ৭০ লাখ টাকা! বেড়াতেন ভিক্ষা করে

মো. মাসুম বিল্লাহ

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ০৮:৫৩ পিএম


পরিচ্ছন্নকর্মীর অ্যাকাউন্টে ৭০ লাখ টাকা! বেড়াতেন ভিক্ষা করে

প্রয়াগরাজের সরকারি হাসপাতালে ধীরাজের বাবাও সাফাইকর্মী হিসাবে কাজ করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর এই কাজ পান ধীরাজ। হাসপাতালে ঝাঁট দিতেন। যথাসময়ে বেতনও পেতেন। কিন্তু তা ছুঁয়েও দেখতেন না। সরকারি হাসপাতালে সাফাইকর্মীর কাজ করতেন প্রয়াগরাজের ধীরাজ। কিন্তু গোটা কর্মজীবনে কখনও তিনি ব্যাংক থেকে বেতনের কোনও টাকাই তোলেননি। সম্প্রতি তাঁর মৃত্যুর পর সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে পাওয়া গেল ৭০ লাখ টাকা। অথচ পথে পথে ভিক্ষা করে বেড়াতেন ধীরাজ। ভিক্ষার উপার্জন দিয়ে পেট চালাতেন।

জানা গিয়েছে, প্রয়াগরাজের সরকারি হাসপাতালে ধীরাজের বাবাও সাফাই কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর এই কাজটি পান ধীরাজ। হাসপাতালে ঝাঁট দিতেন তিনি। যথাসময়ে বেতনও পেতেন। কিন্তু সেই বেতন ছুঁয়েও দেখতেন না। আশ্চর্যজনক ভাবে ধীরাজের বাবাও একই ভাবে জীবন কাটিয়েছেন। কখনও বেতন ব্যাংক থেকে তোলেননি তিনিও।

ধীরাজ তাঁর বাবার মতোই পথেঘাটে ঘুরে বেড়াতেন এবং পথচলতি মানুষজনের কাছে টাকার জন্য হাত পাততেন। চেয়েচিন্তে যা পেতেন তা দিয়েই নিজের পেট চালিয়ে নিতেন। ধীরাজের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর মাও। ৮০ বছরের প্রৌঢ়া পেনশন পেতেন নিয়মিত। সেই টাকা দিয়ে সংসার চলত তাঁদের।

ধীরাজের মৃত্যুর পর তাঁর এক বন্ধু বলেছেন, ‘‘ধীরাজ কখনও ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলেননি। ওঁর মায়ের পেনশনেই ওঁদের সংসার চলত। যদি কখনও ধীরাজের টাকার প্রয়োজন হত, তিনি বন্ধু-বান্ধব কিংবা অপরিচিত লোকজনের কাছ থেকেও টাকা চাইতেন। এখন ওঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৭০ লাখের বেশি টাকা জমে গিয়েছে।’’

কয়েক মাস আগেই ধীরাজের এই স্বভাবের কথা জানাজানি হয়েছিল। সরকারি আধিকারিকরা তাঁর কাছে এ বিষয়ে জানতেও এসেছিলেন। ধীরাজের বন্ধু বলেন, ‘‘টাকার জন্যেই ধীরাজ বিয়েও করেননি। তিনি ভাবতেন বিয়ে করলে বৌ এসে সব টাকা শেষ করে দেবেন। এমনকি প্রতি বছর আয়করও দিতেন ধীরাজ।’’

ইএফ

Link copied!