ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যু, মূল হোতা গ্রেফতার 

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০২:০৭ পিএম

অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যু, মূল হোতা গ্রেফতার 

শরীয়তপুরে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মূল হোতা সবুজ দেওয়ানকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। 

শনিবার ভোরের দিকে সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় পালং মডেল থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে শিশুটির বাবা নূর হোসেন সরদার।

গ্রেফতার হওয়া সবুজ দেওয়ান (২৮) সদর উপজেলার ধানুকা এলাকার আবু তাহের দেওয়ানের ছেলে।

মামলার এজাহার, রোগীর স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর এলাকার নূর হোসেন সরদারের স্ত্রী রুমা বেগম সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি ছেলে সন্তানের জন্য দেয়। বাচ্চাটি ভূমিষ্ট হওয়ার পর কিছুটা অসুস্থ থাকায় তারা চিকিৎসকের পরামর্শে সেদিন রাতে ঢাকা নেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তবে তাদের ভাড়া করা ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্সটি বাঁধা দেয় স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স চালক সিন্ডিকেট সবুজ দেওয়ান ও আবু তাহের দেওয়ান নামের দুই ব্যক্তি। একপর্যায়ে তারা ঢাকাগামী সেই অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এতে দীর্ঘ ৪০ মিনিট আটকে থাকার পর শিশুটি সেখানেই মারা যায়। 

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নূর হোসেন সরদার শুক্রবার রাতে সবুজ দেওয়ানসহ ৫ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোররাতে র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী মূল হোতা সবুজ দেওয়ানকে সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এমন ঘটনায় অভিযুক্তদের সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।


মামলার বাদী ও নিহত শিশুর বাবা নূর হোসেন বলেন, আমরা চাই এই ঘটনার প্রত্যেক অপরাধীকে প্রশাসন দ্রুত গ্রেফতার করুক। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর কেউ ঘটানোর সাহস না পায়।

এ ব্যাপারে র‍্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর অপরাধীদের ধরতে তৎপর হই। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার মূল হোতা সবুজ দেওয়ানকে গ্রেফতার করে পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করি। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলমান রয়েছে। 

জেএইচআর

Link copied!