Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

এসকর্ট সার্ভিসে নিরব প্রশাসন

নুর মোহাম্মদ মিঠু

নভেম্বর ১, ২০২২, ১২:১৩ এএম


এসকর্ট সার্ভিসে নিরব প্রশাসন

উচ্চ আদালতের নির্দেশে দেশে পর্নোসাইট বন্ধ হলেও সরকারের একাধিক সংস্থার নামকাওয়াস্ত তদারকিতে বেড়েই চলেছে ভার্চুয়াল অপরাধ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি, বাংলাদেশ পুলিশসহ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর-ডিএনসিসহ একাধিক সংস্থার দুর্বল তদারকিতে ক্রমেই বাড়ছে ভার্চুয়াল অপরাধ। যদিও পৃথকভাবে প্রত্যেকটি সংস্থাই দাবি করছে, এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তারা সবসময়ই তৎপর।

অথচ বাস্তবের সাথে সংস্থাগুলোর বক্তব্যের মিল নেই। এরই মধ্যে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গড়ে উঠেছে এসকর্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। যেখানে অনায়াসে মিলছে দেহব্যবসার সুযোগ, গড়ে উঠছে মাদক বেঁচাকেনার প্ল্যাটফর্ম। যদিও এসব বিষয়ে জানা নেই সংস্থাগুলোর।

জানতে চাইলে উল্টো সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে জানানোর অনুরোধও করছে কোনো কোনো সংস্থা। এ ক্ষেত্রে সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।

এদিকে ফেসবুক, ইমু ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গড়ে উঠেছে এসকর্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের গ্যাং। তাদের মধ্যস্থতায় টাকার বিনিময়ে অনায়াসেই নারী-পুরুষরা পাচ্ছে অনৈতিক মেলামেশার (দেহব্যবসা) সুযোগ।

এছাড়া সহজেই মিলছে দেশি-বিদেশি মাদকও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি এড়িয়ে বাসায়ও পৌঁছে দিচ্ছে মাদক। এসকর্ট সার্ভিসের এমন হাজারেরও কাছাকাছি পেজ কিংবা গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। সরকারের সংস্থাগুলো চাইলেই এখনো এসকর্ট সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যদিও এসকর্ট সার্ভিসের মাধ্যম বহুমাত্রিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সংস্থাগুলোর তৎপরতায় দেখা যাচ্ছে এক ধরনের অনীহা। এসকর্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের দৌরাত্ম্যে এখন আবাসিক হোটেলগুলোতেও চলছে অনৈতিক কার্যক্রম। গড়ে উঠেছে চক্র ও দেহব্যবসার হাট। আর এসবে জড়াচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও। আবাসিক হোটেলকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা চক্রের সদস্যরা শুধু নাম উল্লেখ করে বানানো ভিজিটিং কার্ডের ব্যবহার করছে এক্ষেত্রে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও অলিগলি-ফুটপাতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখছে কার্ড। সেসব কার্ড কুড়িয়েই যোগাযোগ করে আবাসিক হোটেলে যাচ্ছে শিক্ষার্থী ছাড়াও তরুণ-তরুণীরা। এসব কাজে জড়াচ্ছে মধ্য বয়সি নারী-পুরুষও। কখনো কখনো প্রতারণাসহ খুনখারাবির ঘটনা ঘটলেও বেশির ভাগ সময়ই সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই চলছে এ কার্যক্রম।

শুধু ঢাকায় নয়, এ কার্যক্রম ছড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরেও। জেলা পর্যায়ের আবাসিক হোটেল থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আটকের খবরও পুলিশ গণমাধ্যমে দিয়েছে একাধিকবার।

সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে নতুন একটি প্রক্রিয়া চালুর ক্ষেত্রে আইনগত ভিত্তি থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনগত ভিত্তি না থাকলেও থাকে চাহিদা। এসকর্ট সার্ভিস তার একটি। প্রকাশ্যে দেহ বিক্রি আইনগতভাবে বৈধ নয়। সামাজিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপটেও বিধি-নিষেধে রয়েছে। যদিও নারী-পুরুষ সবারই চাহিদা রয়েছে। তবে এসকর্ট সার্ভিসের মধ্যে দিয়ে যেভাবে চলছে এটি নৈতিকতাবর্জিত কার্যক্রম। আইন, সামাজিক ও ধর্মীয় বিধিনিষেধ— এ তিনটি শিষ্টাচারের কোনোটিই এটিকে সমর্থন করে না। সমাজে এসব চলতে থাকলে তরুণদের নৈতিক স্খলন ঘটবে, নারী-পুরুষের শারীরিক মিলনের শৃঙ্খলা থাকবে না।

এছাড়া টাকার বিনিময়ে শারীরিক মিলনের সুযোগ তৈরি করে দিয়ে একটি শ্রেণি এ ব্যবসা করছে। যারা এ ধরনের সম্পর্কে যেতে চায় তাদের টাকার বিনিময়ে নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলে প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে। এ ক্ষেত্রে আবাসকি হোটেল কিংবা এজেন্সির বাসায় শারীরিক মিলনে লিপ্ত হচ্ছে অবাধে। এর মধ্য দিয়ে নৈতিক অধঃপতন ও সাামজিক বন্ধন ভেঙে পড়বে। যেটি রাষ্ট্রের জন্যও মঙ্গলজনক নয়। এটি সাামজিক বিপর্যয়ও বটে। যে বিপর্যয় বহমুখী সংকট ডেকে আনবে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকায় এসকর্ট সার্ভিসের দৌরাত্ম্য সবচেয়ে বেশি। ফেসবুক পেজ কিংবা গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নারীদের সংগ্রহ করে তাদের ছবি প্রদর্শনীর মাধ্যমে খদ্দের সংগ্রহ করছে সার্ভিস প্রোভাইডাররা। সপ্তাহের ২৪ ঘণ্টাই অনলাইনে সক্রিয় থাকে এ চক্র। ফোন কিংবা মেসেজ করলেই সাড়া মিলছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, শুরুতেই টেলিগ্রামের মাধ্যমে মেম্বারশিপ নিতে হয়। মেম্বারশিপ ফি এক হাজার টাকা। এরপরই ক্যাটাগরি অনুয়ায়ী নারী দেখে নির্বাচন করা হয়।

স্থান নির্বাচন ও নিরাপত্তার বিষয়ে তারা জানায়, পুলিশকে ম্যানেজ করা আছে। এরপরও যদি কারো মধ্যে ভীতি কাজ করে সে ক্ষেত্রে থ্রি-স্টার, ফাইভ-স্টার হোটেলগুলোতে পাঠায়। সেখানে তাদের কন্ট্রাক্ট করা থাকে। হোটেলগুলোও চুক্তি অনুযায়ী যাচাই-বাছাই ছাড়াই কক্ষ বুকিং দিচ্ছে। ঢাকায় অনলাইন এসকর্ট সার্ভিসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য— রনক সার্ভিস জোন, ঢাকা রিয়েল এন্টারটেইনমেন্ট জোন, ঢাকা এসকর্ট সার্ভিস, ভিআইপি মডেল সার্ভিস বিডি, ঢাকা রিয়েলে ভিআইপি মডেল সার্ভিস বিডি, ঢাকা এসকর্ট সার্ভিস, মেল এসকর্ট সার্ভিস ঢাকাসহ হাজারো পেজ ও গ্রুপ। এছাড়া ইমুতেও রয়েছে অসংখ্য ভয়েস ক্লাব। যেখান থেকে নারীরা পছন্দ করে পুরুষ, পুরুষরা নারী।

এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য— সিঙ্গেল ছেলেরা আসো, মনের মানুষ চাই, নতুন একটা বন্ধু চাই, ১৬ বছর মেয়েদের পানি, ছোট বাবুরা দূরে থাকো, নাবিলা কল সার্ভিস, মধু রানীর গল্প, শুভ রাত্রি, ক্রাশ খেয়েছি তোমার ওপর, ছোট বাবুদের আসা নিষেধ, ১৬ বছরের মিষ্টি মেয়েরা, ইমুতে নতুন আগুন, ইভা বৌদি, বৌদি, সুমি সুমি গল্প, ৬৪ জেলার ডিভোর্সি পাত্র-পাত্রী, রিয়া বৌদি ইত্যাদি। এ ছাড়া রবিন ভাই, অরুণ দাদা, রহিম-করিম ভাই, রাজু ভাই, মধু ভাই নামে ভিজিটিং কার্ড ছড়িয়েও এসব অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে চক্রটি। ঢাকায় যাত্রাবাড়ী, মিরপুর-১০, বনানী, ফার্মগেট, মহাখালী, ধানমন্ডি ও আজিমপুর এলাকায় এসব কার্যক্রম বেশি চলছে। ঘটছে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের ঘটনাও। সম্মানের প্রশ্নে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হচ্ছে না কেউই।

পর্নোসাইট বন্ধে হাইকোর্টে রিট করা আইনজীবী ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবীর আমার সংবাদকে বলেন, ‘দেশে এ ধরনের কোনো কিছুরই আইনগত বৈধতা নেই। যেহেতু ডিজিটালি হচ্ছে সেহেতু এটি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বিটিআরসির। আইনে তাদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থ পরিপন্থি কিছু হলেই তারা ব্যবস্থা নিতে পারবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও এ ধরনের পর্নোগ্রাফি ওয়েব কিংবা কনটেন্ট তৈরি করা বা এগুলো অফার করা শাস্তিমূলক অপরাধ। পেনাল কোডেও এ ধরনের অশ্লীল ছবি প্রকাশ, প্রচার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।’

তিনি বলেন, ‘বিষয়টা যেহেতু সমাজের সাধারণ মানুষকে বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রভাবিত করছে; সে ক্ষেত্রে জনস্বার্থ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মনিটরিং বাড়াতে হবে। এসব বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ছাড়াও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় এটি বিজনেস ট্রেন্ড হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু বিষয়ে আইনের সুস্পষ্ট বিধান নেই। কিন্তু ঐতিহ্য কিংবা ধর্মীয় অনুশাসন রয়েছে। এসব অশ্লীলতা বন্ধে ও দেশের সার্বিক কল্যাণে মনিটরিং করা দরকার। কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও দেখে না।

ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের বিষয়ে তিনি বলেন, ইনভেস্টিগেশন টিম এসব ক্ষেত্রে অকার্যকর ভূমিকা পালন করছে। কারণ তারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে কে কার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিলো অথবা কে কাকে ব্যক্তিগতভাবে অ্যাটাক করল বা বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয় বিষয়ে বেশি ব্যস্ত। কিন্তু আড়ালে যে মৌলিক বিষয়গুলো সেগুলোতে তারা কাজ করছে অবস্থাদৃষ্টে তা মনে হয় না। অবৈধ কাজ যখন অহরহ হচ্ছে, ব্যাপকভাবে হচ্ছে, এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে নেই এটি বিশ্বাস করা কঠিন। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ধারণা— এভাবে জন্মই নেবে যে, নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় যেহেতু এগুলো হচ্ছে এখানে তাদেরও কোনো ইন্টারেস্ট থাকতে পারে।’

সমাজ ও অপরাধ গবেষক তৌহিদুল হক বলেন, ‘আগে গোপনে হলেও সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্তারের প্রেক্ষাপটে ফেসবুক, ইমুসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে পুঁজি করে যৌনতা বিক্রি নিয়ে এক ধরনের বাজার তৈরি হয়েছে। ইউটিউবে ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করে কোথায় যোগাযোগ করতে হবে, নারী অথবা পুরুষকেও উপস্থাপন করছে।

জানান দিয়েই এসব করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাইলেই খুঁজে বের করা, অভিযান করা কিংবা পুরো গ্যাংকে ধরা সম্ভব। যদিও তারা ম্যানেজ করেই কাজটি করে। পুলিশের কারও কারও সাথে সম্পর্কও আছে। রাজনৈতিক নেতার সাথে সম্পর্ক আছে। হোটেল মালিক বা ব্যবস্থাপনার সাথেও সম্পর্ক রয়েছে। যৌনকর্মের সময় গোপনে ভিডিও চিত্র ধারণ করা, ব্ল্যাকমেইল করার ঘটনা ঘটবে। মাসে মাসে মাসোহারা আদায়ের ঘটনা ঘটে। এটি সামাজিক দুর্যোগ।

শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক আদর্শিক ধারা তৈরি করতে পারেনি। অর্থনৈতিক সংকট থাকতেই পারে। কেউ যদি মনে করে সংকট মেটাতে তার দেহ বিক্রি করবে, ব্যক্তিগত হিসেবে তিনি সেটি করতেই পারেন। কিন্তু তার এ ধরনের আচরণের মাধ্যমে সমাজের অন্যরা যে বিপদে পড়তে পারে, সে কারণেই সমাজ এটিকে সমর্থন করতে পারে না। এ জন্য এ কাজগুলো সবসময় গোপনে হয়। কেউ কেউ এজেন্সি খুলে যৌনতাকে পুঁজি করে ব্যবসা করছে। রাষ্ট্র এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলেই এ ধরনের এসকর্ট সার্ভিসের কাজগুলো করে যাচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা না নিলে মুখোশ উন্মোচন না করলে এসব নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। নদীপথে পিকনিকের নামেও নারী ভাড়া করে অশ্লীল নৃত্য, অনৈতিক কাজের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রকাশ করছে। এভাবেই যদি তরুণ সমাজ বেড়ে ওঠে সে তরুণদের কাছে সমাজ বা রাষ্ট্র কেউই নিরাপদ নয়।  এ অসুখটা ধীরে ধীরে সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ভাঙনের মুখে পড়বে পরিবার ও সমাজব্যবস্থা।’

জানতে চাইলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শ্যাম সুন্দর সিকদার আমার সংবাদকে বলেন, ‘এসব বন্ধে বিটিআরসির অবশ্যই সুযোগ রয়েছে।’

সুনির্দিষ্ট এমন কোনো লিংক থাকলে দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা লিংকগুলোর তালিকা কর্তৃপক্ষকে পাঠাব।’ সার্বিকভাবে বন্ধের উদ্যোগ নেবে কি-না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা ফেসবুকের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখি, মিটিং করি, তাদের ফোকাল পয়েন্ট আছে, তাদের সাথে যোগাযোগ হয়। আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

একই বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আজিজুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, ‘এসব নিয়ন্ত্রণে এনটিএমসিতে আমাদের লোক আছে। সাইবার ক্রাইম বিষয়ে পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব বন্ধে আমরা সর্বদাই তৎপর।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর রহমান বলেন, ‘এসকর্ট সার্ভিসের মাধ্যমে এ ধরনের কাজ কোথায় হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে— নজরে আসা মাত্রই ব্যবস্থা নেবে পুলিশ সদর দপ্তর। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি যেকোনো কাজের বিরুদ্ধে সবসময়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে পুলিশ।’

Link copied!