Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

কারচুপি করলে ব্যবস্থা; ইসি আলমগীরের হুঁশিয়ারি

মো. মাসুম বিল্লাহ

নভেম্বর ১৫, ২০২২, ০৫:৩২ পিএম


কারচুপি করলে ব্যবস্থা; ইসি আলমগীরের হুঁশিয়ারি

ভোটগ্রহণে কারচুপি করলে প্রার্থীর এজেন্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অনেকেই বলেন যে এটা একটা কারচুপির মেশিন। আসলে আমরা এখানে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অতীতের নির্বাচনের যে অভিজ্ঞতা নিয়েছি, তাতে দেখেছি যে ইভিএমে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমরা তো কারিগরি দিক থেকে এক্সপার্ট না, যারা এক্সপার্ট তারা বলেছেন। দলগুলোকেও ডেকেছিলাম তাদের কারিগরি টিম এনে পরীক্ষা করে দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, ইভিএম নিয়ে প্রথমেই যেটা বলা যে প্রোগ্রামিং করে ফল উল্টিয়ে দেওয়া যায়। তো তাত্ত্বিক দিক দিয়ে যারা বলেন তারা হয়তো ঠিকই বলেন। কিন্তু বাস্তবতার দিক দিয়ে এটা মোটেই ঠিক না।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আপনি বলতেই পারেন যে কোনো একটা কোম্পানির ওষুধে ভেজাল থাকতে পারে, কিন্তু সব কোম্পানির ওষুধে কিন্তু ভেজাল না। বিষয়টা হলো যে আমাদের যে ইভিএম এটা ভিন্ন ধরণের ইভিএমে। অনেকেই বলেন যে এটা ভারতের ইভিএমের মতো। আসলে ভারতের সঙ্গে এটার তুলনা করা যায় না। ভারতের ইভিএমে সেটা হলো ভোটার আইডেন্টিফিকেশন করে ম্যানুয়েলি। আমাদের ইভিএমে আইডেন্টিফিকেশন করা হয় ইলেকট্রনিক্যালি। যেহেতু আমাদের ভোটার ডাটাবেজ আছে ছবিসহ এবং ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ। কাজেই ভোটার আসলেই এই কেন্দ্রের ভোটার, আসলে কি ভোটার না অন্য কোনো ব্যক্তি; এটা মেশিনই আইডেন্টিফাই করে। যেটা ভারতের ইভিএম করার সুযোগ নাই।

দুই নম্বর হলো এই ইভিএমটায় যে প্রোগ্রামিং করা হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র যোগ করতে পারে। যে প্রার্থী আছে তাদের ভোটটা যোগ করতে পারে। আর কিছু করতে পারে না। প্রোগ্রামিংটা ওইভাবে করা। কাজেই কেউ যন্ত্রে বা বাইরে থেকে ম্যানিপুলেশন করবে সে সুযোগ নাই। কারণ এটার যে চিপস ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে রাইট করা হয়, এটা হলো ওয়ানটাইম ইউজেবল। কাজেই একবার রাইট করা গেলে রিরাইট বা এডিট করার কোনো সুযোগ থাকে না যোগ করেন তিনি।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, আরেকটা হলো যে ইন্টারেন্টের সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই আমাদের ইভিএমের। ব্যালট ইউনিটের সঙ্গে যে সংযোগ দেওয়া হয়, এটা কিন্তু কাস্টমাইজ করা। বাজারে কেনা কোনো ক্যাবল, ড্রাইভ; কোনো কিছুই এটার মধ্যে ইনসার্ট করতে পারবেন না। কেবল এই ইভিএমের জন্য যে ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে, সেটা ছাড়া আর কোনো ডিভাইস যোগ করতে পারবেন না।

ম্যানিপুলেশন যে করবেন, এটা কোথায় যে কোনটা যাচ্ছে না তা আপনি জানেন না। ম্যানিপুলেট করতে হলে তো আপনাকে বারেবারে প্রোগ্রাম পরিবর্তন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এটা কেবল যোগ-বিয়োগ করে, ক্যালকুলের মতো। ক্যালকুলেটরে যেমন প্রোগ্রাম পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। আমাদের ইভিএমে সে সুযোগ নেই। ইভিএম নিয়ে যে অপপ্রচার আছে, যারা বলেন তারা না জেনে না বুঝে বলেন। তারা চাইলে যে কোনো ইভিএমে চেক করে দেখতে পারেন।

মো. আলমগীর বলেন, ইভিএমে ভোট নেওয়ার সুবিধা হলো ভোটের আগে পরে ভোট দেওয়ার সুযোগ অথবা ভোটার ছাড়া কেউ এসে ভোট দিয়ে যাওয়া সেটার সুযোগ নেই। একটা দুর্বলতা আছে, যে গোপন বুথে যদি ভোটারকে ঢুকতে না দেওয়া হয়, এই সুযোগটা আছে। তবে ভোটার কেন্দ্রে না আসেন তবে সেই সুযোগ নেই। যদি ১০ শতাংশ ভোটার আসে তবে ১০ শতাংশ ভোটই কাস্ট করতে পারবে। আর ব্যালটে ১০ শতাংশ ভোটার আসলে শতভাগ ভোট দেওয়ার সম্ভব। এটার মাধ্যমে জালিয়াতি কোনো সুযোগ নেই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীরা এজেন্টরা কারচুপিতে সহায়তা করলে বা কারচুপি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই বলে এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে থেকে বাইরে রাখা যাবে না। এটা কোনো দলই মানবে না। মশারির ভেতরের মশা ঢুকলে মশালি পুড়িয়ে দিলে তো হবে না। মশা তাড়াতে হবে। তেমনই কোনো এজেন্ট অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ইএফ

Link copied!