Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪,

মাদারীপুরে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২, ০৮:০৩ পিএম


মাদারীপুরে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

মাদারীপুরে হত্যার হুমকি দিয়ে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বখাটের বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে ওই শিক্ষার্থী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। বিষয়টি স্থানীয় স্থানীয় মাদবরের কাছে জানালে দফায় দফায় হুমকিও দেয়া হচ্ছে নির্যাতিতা পরিবারকে। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত জিসান ও তার পরিবার। পুলিশ বলছে, ঘটনা যাছাই করে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।

নির্যাতিতার পরিবার জানায়, ৬ মাস আগে মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খাটোপাড়া গ্রামের কিরণ মাতুব্বরের বখাটে ছেলে ৫ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ওই শিক্ষার্থীকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভয় আর আতঙ্কে ১২ বছরের মেয়েটি বিষয়টি পরিবার থেকে গোপন রাখে।

সম্প্রতি শিক্ষার্থীর পেটে ব্যথা হলে পরিবারের লোকজন সদর উপজেলার কালিরবাজার এলাকার মোহাম্মদালী মেমোরিয়াল হসপিটালে নিয়ে যায়। প্রথমে টিউমার মনে হলেও চিকিৎসক রেজাউল করিম রেজা আল্টাসনোগ্রাম করলে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে স্থানীয় মাদবরদের জানালে দফায় দফায় নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এই ঘটনার নায্য বিচার পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী।

নির্যাতিতার মা বলেন, আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। এলাকার নেতাদের কাছে বলছি, তারা কোন সুরহা করতেছে না।

শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, মাদবরদের কাছে জানাইছি তারা শুধু সময় নিচ্ছে সমাধান করার জন্য। এছাড়া হুমকিও দিচ্ছে অনেকেই। আমার মেয়ের সর্বনাশ যে করছে, তার সাথে আমার বিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমি আইনের আশ্রয় নিবো।

মোহাম্মদালী মেমোরিয়াল হসপিটালের মেডিকেল অফিসার রেজাউল করিম রেজা জানান, মেয়েটির এখন ফুল রেস্ট দরকার। পরিবারের লোকজন বাচ্চা নষ্ট করতে চেয়েছিল। কোন অবস্থাতেই বাচ্চা নষ্ট করা যাবে না। এতে বাচ্চা ও মেয়ে দুজনেরই জীবনহানি হতে পারে।

জিসানের ফুফু সাহিদা বেগম বলেন, এটা ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। মেয়ে ও তার পরিবারের লোকজন ভাল না। এছাড়া এলাকার লোকের উসকানি রয়েছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্তের বাবা গ্রিস প্রবাসী। ঘটনার পর জিসান লিবিয়া হয়ে ইতালি যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। আমরা মেয়েটির পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করবো।

এসএম

Link copied!