Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪,

নিয়ম মেনে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সবাই: ঢাবি উপাচার্য

ঢাবি প্রতিবেদক

ঢাবি প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৩:০৪ পিএম


নিয়ম মেনে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সবাই: ঢাবি উপাচার্য

এ বছর নিয়ম মেনে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সবাই বলে জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ মর্যাদায় উৎযাপনের লক্ষ্যে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রফেসর আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তুতি সম্পন্ন হবার সময় তিনি এই কথা বলেন।

ভাষার জন্য রক্ত দেওয়া একমাত্র জাতির বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় চেতনার প্রতীক অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- ২০২৩ উদযাপনের কাজ অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে দেশসেরা বিদ্যাপীঠটি।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিগত বছরগুলোর মতো এবারও শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ এ সতর্কতা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করার জন্য সকলকে আহবান জানানোর পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে সমন্বয় কমিটি কর্তৃক গৃহীত সব কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রেখে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গৃহীত কর্মসূচি ও প্রস্তুতি সমূহ নিম্নরূপ:
১। মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এবং আজিমপুর কবরস্থানে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা থাকবে। 
২। রাষ্ট্রীয় নিয়ম অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদীমূল প্রস্তুত করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং যথাসময়েই তা সম্পন্ন হবে। 
৩। রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদীতে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় মন্ত্রীবর্গ, জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার ও জাতীয় সংসদের মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতা। এরপর পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিন বাহিনীর প্রধানবৃন্দ, সম্মানিত ভাষা দৈনিকল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য সম্মানিত সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবন্দ ঢোকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অনুষদের ডিনবৃন্দ ও হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ।
৪। এবছর প্রতিটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। সুষ্ঠুভাবে দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের সময় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অনুরোধ করছি। 
৫। সর্বস্তরের জনসাধারণ পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহিদ মিনারে যাবেন। শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্ত্বর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে চাঁনখার পুল হয়ে শুধুমাত্র প্রস্থান করা যাবে, শহিদ মিনারের দিকের  রাস্তাটি যাবার জন্য ব্যবহৃত হলেও আসার কোনো সুযোগ থাকবে না।
৬। এছাড়া, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও আজিমপুর কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য একটি রুট-ম্যাপও প্রণীত হয়েছে। রুট-ম্যাপটি শহীদ মিনার এলাকায় লাগানো থাকবে।
৭। একুশে উদ্‌যাপনে সার্বিক ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। কোনো ত্রুটির বা সমস্যা দেখা দিলে সেখানে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
৮। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে উপাচার্যের নেতৃত্বে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে প্রভাতফেরি সহকারে আজিমপুর কবরস্থান এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গমন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। 
৯। ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে অমর একুশে পালনের লক্ষ্যে শহিদ মিনার এলাকায় কোন মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না এবং শহিদ মিনার এলাকায় কোন ব্যানার, পোস্টার বা ছবি টাঙানো যাবে না।
১০। প্রবেশপথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটস, রেঞ্জার ও স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। তাদেরকে যথাযথ সহযোগিতা প্রদানের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল, সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, প্রোক্টর একেএম গোলাম রব্বানী, রেজিস্ট্রার প্রবীন কুমার সরকার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২২ জানুয়ারি নওয়াব আলী সিনেট মিলনায়তনে এক প্রস্তুতি সভায় সব ধরনের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়াকে সমন্বয়কারী, সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাকে যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং প্রোক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে সদস্য-সচিব করে অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া এ উপলক্ষে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়।

কেএস 

Link copied!