Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২১ মে, ২০২৫,

আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘মালি’ সোহেলের এমসি বাণিজ্য, তদন্তে স্বাস্থ্য বিভাগ

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

মে ২০, ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম


আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘মালি’ সোহেলের এমসি বাণিজ্য, তদন্তে স্বাস্থ্য বিভাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ‘মালি’ পদে কর্মরত সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) বাণিজ্যের অভিযোগ। রোগীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে এমসি দেওয়ার এই অভিযোগে সরব স্থানীয়রা। সর্বশেষ আখাউড়া পৌর এলাকার বাসিন্দা হেলাল মিয়া লিখিত অভিযোগ করেছেন সোহেলের বিরুদ্ধে, যেখানে তিনি ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, পারিবারিক বিরোধের জেরে হেলাল মিয়া, তার স্ত্রী ও মেয়ে মারধরের শিকার হন। পরে চিকিৎসার জন্য আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান তারা। মামলা করার প্রয়োজনে মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) দরকার হলে হাসপাতালের মালির দায়িত্বে থাকা সোহেল মিয়া তা দিতে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ১০ হাজার টাকায় সমঝোতা হয়। সোহেল মিয়ার কাছে টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন হেলাল মিয়া।

তবে, যথাসময়ে এমসি না পাওয়া ও এতে সঠিক জখমের বিবরণ না থাকায় টাকা ফেরত চাইলে সোহেল মিয়া তাকে ঘুরাতে থাকেন। হেলাল মিয়া অভিযোগ করেছেন, সোহেল মিয়া এখন তার বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন।

২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি ‘মালি’ পদে যোগ দেওয়া সোহেল মিয়া নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করে জরুরি বিভাগে ড্রেসিং, সেলাইসহ বিভিন্ন চিকিৎসাকাজে যুক্ত বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি গোপনে মেডিকেল সার্টিফিকেট বাণিজ্যে জড়িত।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোহেল মিয়া টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করলেও জরুরি বিভাগে রোগীদের ড্রেসিং করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।”

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. নোমান মিয়া বলেন, ‘এমসি নিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ গুরুতর। তদন্তের জন্য একটি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিআরইউ

Link copied!